বিশাল মোরগের রমরমা ব্যবসার দেশ ব্রাজিল
ব্রাজিল আর শুধু ফুটবল, কার্নিভাল, আমাজন নদী বা আমাজন রেইনফরেস্টের দেশ নয়, দক্ষিণ অ্যামেরিকার দেশটি এখন বিশেষ ধরনের বিশাল মোরগের জন্যও বিখ্যাত৷ ছবিঘরে বিস্তারিত...
লম্বা পায়ের বিশাল মোরগ
ছবিতে একটি ‘জায়ান্ট ইন্ডিয়ান উরুবু ক্যানেলা আমারেলা’ জাতের মোরগের পা মেপে দেখছেন রুবেন্স ব্রাজ৷ কৃষিবিদ ব্রাজ মেপে দেখাতে চাইছেন স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বড় এই মোরগটির পা অন্যান্য মোরগের চেয়ে কত বড়৷
প্রায় চার ফুট উঁচু মোরগ!
ব্রাজিলের গোইয়াস রাজ্যে নিজের খামারে দীর্ঘ দিনের চেষ্টায় রুবেন্স ব্রাজ যে নতুন জাতের মোরগ ‘উদ্ভাবন’ করেছেন, তা ১২০ সেন্টিমিটার, অর্থাৎ ৪৭ ইঞ্চি বা প্রায় চার ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়৷ ওপরের ছবিতে সেরকম এক ‘জায়ান্ট ইন্ডিয়ান রুস্টার’৷
অন্য মোরগ বাদ দিয়ে কেন ‘জায়ান্ট ইন্ডিয়ান রুস্টার’?
কৃষিবিদ রুবেন্স ব্রাজের একসময় মনে হলো তার মোরগ তো ব্রাজিলে মাংসের চাহিদা পূরণেও ভূমিকা রাখতে পারে, তাতে ব্যক্তিগত শখ তখন জনকল্যাণকরও হবে৷ সেই ভাবনা থেকেই সাধারণ মোরগ বাদ দিয়ে বিশালদেহী মোরগ চাষের পরিকল্পনা নেন রুবেন্স ব্রাজ৷ হিসেবটা খুব সহজ- বড় মোরগ মানে বেশি মাংস, ফলে মাংসের চাহিদা পূরণে সেই মোরগ বড় ভূমিকা তো রাখবেই৷
মোরগ ব্যবসায়ীদের পছন্দের আভিকুলতুরা জিগান্তে
রুবেন্স ব্রাজের খামারের নাম আভিকুলতুরা জিগান্তে৷ ২০ বছর আগে যখন খামারটিতে বাণিজ্যকভাবে মোরগ প্রজননের চিন্তা করেন, তখন বলতে গেলে কেউই তার এই খামার চিনতেন না৷ তবে কয়েকটি ‘জায়ান্ট ইন্ডিয়ান রুস্টার’ বিক্রির পর দ্রতই ছড়িয়ে পড়ে পরিচিতি৷ এখন অনেক মোরগ ব্যবসায়ীর কাছেই খুব প্রিয় নাম আভিকুলতুরা জিগান্তে৷
মোরগের দাম চার লাখ ৩৮ হাজার!
রুবেন্স ব্রাজের খামারে এক সঙ্গে সর্বোচ্চ ৩০০টি মোরগ রাখা যায়৷ মোরগ কম বলে চাহিদা খুব বেশি৷ একটি মোরগের দাম ৪০০০ ডলার, বাংলাদেশের মুদ্রায় যা চার লাখ ৩৮ হাজার ৩৬০ টাকার মতো৷ এই দামে মোরগ বিক্রি করেও কুলিয়ে উঠতে পারছেন না রুবেন্স ব্রাজ৷