1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিজেপি-র আরো এক বিধায়ক তৃণমূলে

৩১ আগস্ট ২০২১

প্রথমে গিয়েছিলেন মুকুল রায়। তারপর সোমবার বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ তৃণমূলে যোগ দিলেন।

https://p.dw.com/p/3zi7P
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন আরো এক বিধায়ক। ছবি: Syamantak Ghosh/DW

মুকুল রায়ের মতো তন্ময়ও বিধায়কপদে ইস্তফা দেননি। দলবদল আইনের তোয়াক্কা না করেই এখন বিধায়ক, সাংসদরা দলবদল করছেন। তন্ময়ও একই পথে হেঁটেছেন। তিনি দক্ষিণ কলকাতার একটি হোটেলে তৃণমূলের মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর হাত থেকে তৃণমূল পতাকা নেন। ভোটের ঠিক আগে তিনি বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন। ভোটের পর জিতে তিনি আবার তৃণমূলে ফিরলেন।

বিরোধী নেতা এবং নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোর কৃতিত্বের অধিকারী শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, তন্ময়কে পুলিশের ভয় দেখিয়ে তৃণমূল তাদের দলে নিল। ঘটনা হচ্ছে, অন্য রাজ্যে বিজেপি যখন কংগ্রেস ও অন্য দলের বিধায়ক বা সাংসদদের ভাঙায়, তখন ঠিক এই অভিযোগই করে বিরোধী দলগুলি। আর পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ক্ষমতায় নেই। সেখানে বিজেপি থেকে তৃণমূল যখন বিধায়ক ভাঙাচ্ছে, তখন একই অভিযোগ উঠে আসছে মোদী-শাহের দলের নেতাদের গলায়।

শুভেন্দু বলেন, তিনি তন্ময় ঘোষকে চিঠি দেবেন। তাকে রাজনৈতিক অবস্থান ব্যাখ্যা করতে বলবেন। বিরোধী নেতার বিশ্বাস, তন্ময় কোনো জবাব দিতে পারবেন না। তবে শুভেন্দু মনে করছেন, তন্ময় অপেক্ষা করতে চেয়েছিলেন। কারণ, মুকুল রায়কে নিয়ে মামলা এখন আদালতে বিচারাধীন। তার রায় দেখে তিনি সিদ্ধান্ত নিতে চেয়েছিলেন। শুভেন্দুর অভিযোগ, সাবেক মন্ত্রী শ্যামাপদ মুখোপাধ্যায়কে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তন্ময় দলবদল না করলে তাকেও করত। তাই ভয়ে তিনি আগেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তবে শুভেন্দুর হুমকি, তিনি সুবিচার না পেলে তন্ময়কে নিয়েও আদালতে যাবেন। একই অভিযোগ রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি দিলীপ ঘোষেরও। 

বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি মোট ৭৭টি আসনে জিতেছিল। দুই সাংসদ বিধানসভা আসনে জিতলেও তা ধরে রাখেননি। তারা সাংসদ পদই রেখেছেন। আর মুকুল ও তন্ময় তৃণমূলে যোগ দেয়ায় তাদের সংখ্যা কমে দাঁড়াল ৭৩। 

দলত্যাগ বিরোধী আইন অনুযায়ী, এইভাবে দল ছাড়লে, তার বিধায়কপদ বাতিল হওয়ার কথা। তবে সেই সিদ্ধান্ত নেবেন স্পিকার। তিনি কতদিনের মধ্যে তা নেবেন তা আইনে বলা হয়নি। মুকুল ও তন্ময় যেমন বিধায়ক পদ না ছেড়েই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন, তেমনই বর্ধমানের সাংসদ সুনীল মন্ডল সাংসদ পদ না ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন। শুভেন্দুর বাবা শিশির অধিকারীকে নিয়েও একই প্রশ্ন রয়েছে।  লোকসভার স্পিকারের কাছে তৃণমূল এবং বিধানসভার স্পিকারের কাছে বিজেপি নালিশ জানিয়েছে। বিষয়টি স্পিকারের বিবেচনাধীন।

জিএইচ/এসজি(পিটিআই, আনন্দবাজার)