বিখ্যাত বিড়ালদের কথা
কিছু বিড়াল সারা বিশ্বে অনেক মানুষের চেয়েও বেশি বিখ্যাত, জনপ্রিয়৷ সবই অবশ্য কাল্পনিক চরিত্র৷ কার্টুন বা চলচ্চিত্রের সেইসব বিড়ালদের নিয়েই আজকের ছবিঘর৷
অপ্রতিরোধ্য এক বিড়াল
‘শ্রেক’ ছবিতে দেখা যায় তাকে৷ বিড়ালটির নাম ‘পুস ইন বুটস’৷ বিড়াল হলে কী হবে, অপরাধীকে শায়েস্তা করতে তার জুড়ি মেলা ভার৷ ভীষণ ক্ষিপ্রগতির এ বেড়ালের থাবায় অনেক শক্তি৷ আর নখগুলো এমন ধারালো যে তা দিয়ে অনায়াসে কাচও কাটা সম্ভব৷ এত ক্ষমতা যার, সে বিখ্যাত বা জনপ্রিয় না হয়ে পারে!
অভিজাত ‘অ্যারিস্টোক্যাটস’
ওয়াল্ট ডিজনির ‘অ্যারিস্টোক্যাটস’ যাঁরা দেখেছেন, তাঁরা কখনোই ডাচেস নামের এক বিড়ালি আর তার তিন সন্তানের কথা কোনোদিন ভুলতে পারবেন না৷ বিড়ালদের সমাজে আভিজাত্যের জন্য পরিচিত তারা৷ আভিজাত্যের সমস্যাও অনেক৷ ও’ম্যালি এবং অন্যান্য রাস্তার বিড়ালের সঙ্গে হাঙ্গামা লেগেই থাকে তাদের৷ অ্যানিমেশন মুভিটির বিড়ালদের আবার সংগীত, বিশেষ করে জ্যাজ সংগীত এবং চাঁদের আলোর রোমান্টিকতা খুব পছন্দ৷
রক ‘এন’ রোল এবং যৌনতা প্রিয় বিড়াল
গত শতকের সত্তরের দশকে তৈরি হয় অ্যানিমেশন মুভি ‘ফ্রিটজ দ্য ক্যাট’৷ রবার্ট ক্রাম্ব-এর কল্পনার জগত থেকে নেমে আসা বিড়ালেরা সেখানে মানুষের মতোই পানাহারে অভ্যস্ত৷ অবসরে রক ‘এন’ রোল শোনে, সেক্স পার্টিও উপভোগ করে তারা৷
অসহায় সিলভেস্টার
সাড়া জাগানো আরেক অ্যানিমেটেড মুভি ‘সিলভেস্টার অ্যান্ড টুইটি’৷ সেখানে অবশ্য বিড়ালটি দোর্দণ্ড প্রতাপশালী নয়৷ সিলভেস্টার নামের বিড়ালটি বরং ছোট্ট এক গানের পাখি টুইটির সামনেই অসহায়৷ সিলভেস্টারের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য টুইটিকে ধরে শায়েস্তা করা৷ কিন্তু কিছুতেই সেই লক্ষ্য পূরণ হয়না৷ প্রত্যেকবার টুইটির গতির কাছে হেরে যায় সিলভেস্টার৷
অস্কার মাতানো টম অ্যান্ড জেরি
সেই ১৯৪০ সাল থেকে শিশু-কিশোরদের মাতিয়ে রেখেছে ‘টম অ্যান্ড জেরি’৷ প্রথমে আত্মপ্রকাশ রূপালি পর্দায়৷ ১৯৬৭ সালে টেলিভিশনেও হাজির হয় টম নামের এক বিড়ালের সঙ্গে জেরি নামের এক ইঁদুরের মজাদার দ্বন্দ্বের গল্প৷ টমও চায় জেরিকে ধরে শিক্ষা দিতে৷ কিন্তু আকারে ছোট হলেও বুদ্ধি আর গতিতে অনেক এগিয়ে জেরি৷ তাই বারবার শেষ পর্যন্ত টমই হারে৷ টম অ্যান্ড জেরি অস্কারেও ভীষণ সফল৷ এই কাহিনীর সাতটি ছবি অস্কার জিতেছে৷
মানুষের ভাষা জানা বিড়াল
পেটারসন অ্যান্ড ফিনডাস’ সুইডিশ সাহিত্যিক সভেন নর্ডকভিস্ট-এর লেখা শিশুতোষ গ্রন্থ৷ মূল কাহিনী এক বৃদ্ধ আর তাঁর দুষ্টু বিড়াল কিটি-কে ঘিরে৷ দুষ্টুমি করলেও কিটির সঙ্গে কেউ বেশিক্ষণ রাগ করে থাকতে পারেনা৷ সব প্রাণীর সঙ্গে কথা বলতে পারে বলে কিটি মন ভোলানো কথায় সবাইকে খুশি করে দেয়৷ তবে মানুষের মধ্যে শুধু মনিবের সঙ্গেই কথা বলতে পারে কিটি৷ ‘পেটারসন অ্যান্ড ফিনডাস’ গল্পটি নিয়ে পরে অ্যানিমেটেড মুভিও হয়েছে৷