বিএলএ : বেলুচিস্তানের স্বাধীনতা চায় যারা
বেলুচ লিবারেশন আর্মি বা বিএলএ পাকিস্তানের একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী৷ তারা বেলুচিস্তানকে স্বাধীন করতে চায়৷
বেলুচিস্তান
পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমের প্রদেশ বেলুচিস্তান আয়তনে সবচেয়ে বড় প্রদেশ৷ তবে সেখানে অন্য প্রদেশগুলোর তুলনায় সবচেয়ে কম মানুষ (প্রায় দেড় কোটি) বাস করেন৷ ইরান ও আফগানিস্তানের সঙ্গে বেলুচিস্তানের সীমান্ত রয়েছে৷ ছবিতে চীনের অর্থায়নে বেলুচিস্তানে তৈরি একটি মহাসড়ক দেখা যাচ্ছে৷
বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী
বেলুচিস্তানে কয়েকটি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী সক্রিয় রয়েছে৷ তারা স্বাধীন বেলুচিস্তান চায়৷ এসব গোষ্ঠীর মধ্যে সবচেয়ে বড় হচ্ছে বেলুচ লিবারেশন আর্মি বা বিএলএ৷ বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোর অভিযোগ, বেলুচিস্তানে যে গ্যাস ও খনিজ সম্পদের বিপুল ভান্ডার রয়েছে সেগুলো থেকে লাভবান হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ কিন্তু বঞ্চিত হচ্ছে বেলুচিস্তান৷
খনি ও সমুদ্রবন্দর
বেলুচিস্তানের মরু ও পাহাড়ি এলাকায় বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ খনি আছে৷ এর মধ্যে একটি রেকো দিক৷ এটি বিশ্বের অন্যতম বড় সোনা ও তামার খনি বলে বিবেচনা করা হয়৷ ক্যানাডার ব্যারিক গোল্ড সেখানে খননকাজ চালাচ্ছে৷ এছাড়া চীনও একটি সোনা ও তামার খনি পরিচালনা করছে৷ প্রদেশের দক্ষিণে চীনের সহায়তায় গোয়াদর সমুদ্রবন্দর (ছবি) গড়ে উঠেছে৷
হামলার লক্ষ্য চীন
বিএলএ মনে করে, বেলুচিস্তান থেকে কেন্দ্রীয় সরকার অন্যায়ভাবে যে লাভ নিয়ে যাচ্ছে তাতে সহায়তা করছে চীন৷ সে কারণে চীনা প্রকল্প ও চীনাদের উপর প্রায়ই হামলা করে বিএলএ৷ তাদের হামলায় বেলুচিস্তানে কয়েকজন চীনা নাগরিক নিহত হয়েছেন৷ এছাড়া করাচিতে বেইজিংয়ের কনসুলেটেও হামলা (ছবি) হয়েছে৷
স্থাপনা ও নিরাপত্তা ঘাঁটিতে হামলা
বেলুচিস্তানের বিভিন্ন অবকাঠামো প্রকল্প ও নিরাপত্তা ঘাঁটিতে প্রায়ই হামলা করে বিএলএ৷ প্রদেশের বাইরেও হামলা করে তারা৷ যেমন করাচিতে পাকিস্তানের স্টক এক্সচেঞ্জ ভবনেও হামলা করেছে বিএলএ৷ ২০২২ সালে কয়েকটি সেনা ও নৌঘাঁটিতেও হামলা করেছে বিএলএ৷
হামলার কৌশল
সাধারণত গেরিলা বন্দুকধারীদের দিয়ে হামলা করে বিএলএ৷ তবে সম্প্রতি নারী আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীদেরও ব্যবহার শুরু হয়েছে৷ যেমন করাচির এক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে চীনা নাগরিকদের উপর হামলায় তাদের ব্যবহার করতে দেখা গেছে৷