পুলিশের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ এর মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছে ফায়ার ব্রিগেড৷
বার্তা সংস্থা ডিপিএ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে রাজনৈতিক দল সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এসপিডি এর কার্যালয়ের কাছে৷ আহতদের একজনকে পাশের একটি খাল থেকে উদ্ধার করা হয়৷ বাকিরা রাস্তায় পড়েছিলেন৷
পুলিশ বলছে, ঘটনার কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারে নি তারা৷ তবে কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যও খুঁজে পাওয়া যায়নি৷
এই ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদের অনুসন্ধানে নেমেছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী৷ ঘটনাস্থলের আশেপাশে হেলিকপ্টার প্রদক্ষিণ করতে দেখা গেছে৷ সাবওয়ে স্টেশনে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ৷
বার্লিনে বিভিন্ন দল আর অপরাধী গোষ্ঠীর মধ্যে এর আগেও এমন গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে৷
এফএস/জেডএ (রয়টার্স, ডিপিএ)
-
জার্মানিতে পুলিশের ওপর হামলা
স্টুটগার্টের হাঙ্গামা
কয়েকশ যুবক গিয়ে দোকান ভাঙচুর করে। জিনিস লুঠ করে। রাস্তায় ফেলে। তারপর পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। দোকানের ভাঙা কাচে ভরে যায় রাস্তা।
-
জার্মানিতে পুলিশের ওপর হামলা
ফ্রাঙ্কফুর্টেও সংঘর্ষ
ফ্রাঙ্কফুর্টের ছবিটাও আলাদা ছিল না। এখানে যুবকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে বোতল ছোড়ে। আশপাশের লোকেরা যুবকদের থামানো দূরের কথা, বরং তাদের উৎসাহিত করছিলেন।
-
জার্মানিতে পুলিশের ওপর হামলা
ফ্রান্সের সঙ্গে তুলনা
স্টুটগার্ট ও ফ্রাঙ্কফুর্টে যা হয়েছে তার সঙ্গে ফ্রান্সের তুলনা করা হচ্ছে। ফ্রান্সের শহরতলিতেও একই ঘটনা ঘটেছে। জার্মানির মতো সেখানেও অভিবাসী যুবকরা দাঙ্গা করেছেন, পুলিশকে আক্রমণ করেছেন। জর্জ ফ্লয়েডের হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ থেকে সহিংসতা হয়েছে।
-
জার্মানিতে পুলিশের ওপর হামলা
করোনাকালে কেন
বিতর্কটা জার্মানিতে শুরু হয়ে গিয়েছে। করেনাকালের কড়াকড়ি, ঘরবন্দি থাকতে বাধ্য হওয়া, ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা ও হতাশার বহিঃপ্রকাশ কি এই হামলা? কিছু বিশেষজ্ঞ বলছেন, করোনার সময়ে হতাশা আসা স্বাভাবিক। কিন্তু শুধু সে জন্যই এই হাঙ্গামা সেটা বলা অতি সরলীকরণ হবে। কারা হাঙ্গামা করছে, কেন করছে, সেটাও বুঝতে হবে।
-
জার্মানিতে পুলিশের ওপর হামলা
কেন অভিবাসীরা
জার্মানি ও ফ্রান্সে হাঙ্গামা ও পুলিশকে আক্রমণের সঙ্গে জড়িত মূলত অভিবাসীরা। যে প্রশ্নটা উঠছে, তা হলো, এটা কি নিছক আইন-শৃঙ্খলার সমস্যা, না কি সমস্যাটা অভিবাসীদের? নানা কারণে কি তাঁদের মধ্যে সহিংসতার প্রবণতা বাড়ছে? বিশেষজ্ঞরা এ নিয়ে একমত নন।