1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাবাকে পাঠানো চিঠি প্রকাশ করায় মামলা

২ অক্টোবর ২০১৯

বাবার কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন মেগান মার্কেল৷ ব্রিটেনের ট্যাবলয়েড ‘মেইল অন সানডে' তা হাতে পেয়ে প্রকাশ করে দেয়৷

https://p.dw.com/p/3QeOS
Meghan, Herzogin von Sussex und Prinz Harry, Der Herzog von Sussex
ছবি: picture-alliance/Photoshot/AvalonLFI/J. Edwards

পত্রিকাটির এই কাজের তীব্র সমালোচনা করেছেন৷ বিষয়টি গড়াচ্ছে আদালতেও৷

মেগান, দ্য ডাচেস অব সাসেক্স, এবং তাঁর স্বামী প্রিন্স হ্যারি মঙ্গলবার জানিয়েছেন যে, মেইল অন সানডে পত্রিকার প্রকাশকের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছেন তাঁরা৷ কারণ, পত্রিকাটি বাবাকে লেখা মেগানের একটি ব্যক্তিগত চিঠি প্রকাশ করেছে৷

চলতি বছরের শুরুর দিকে ট্যাবলয়েডটি মেগানের হাতে লেখা একটি চিঠি প্রকাশ করে, যেটি তিনি তাঁর বাবা টমাস মার্কেলকে পাঠিয়েছিলেন৷ চিঠিতে তিনি বাবার সঙ্গে তাঁর ভেঙে পড়া সম্পর্ক এবং ট্যাবলয়েড গণমাধ্যমের সঙ্গে বাবার যোগাযোগের কারণে সৃষ্ট মনোবেদনার কথা জানান৷ মেয়ের লেখা সেই চিঠিটিও মেইল অন সানডেকে দিয়েছেন টমাস মার্কেল৷

হ্যারি দম্পতি তাঁদের পক্ষে মামলা লড়ার জন্য সিলিংস আইনজীবীদের নিয়োগ দিয়েছেন৷ তাঁরা ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডটির বিরুদ্ধে ‘‘ব্যক্তিগত তথ্যের অপব্যবহার, মেধাসত্ব আইন ভঙ্গ এবং তথ্য সুরক্ষা অ্যাক্ট ২০১৮'' অবমাননার অভিযোগ এনেছেন৷

এদিকে, নিজের ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটে একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছেন হ্যারি৷ সেখানে তিনি পত্রিকাটির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্তের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন৷ তিনি লিখেছেন যে, বারংবার চেষ্টার পরও পত্রিকাটিতে মেগান এবং তাঁর বাবার মধ্যকার তিক্ত সম্পর্ক নিয়ে ধারাবাহিকভাবে লেখালেখি থামানো যায়নি৷ পত্রিকাটি মেগানের ব্যক্তিগত চিঠি প্রকাশ করায় তাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সুযোগ তৈরি হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি৷

ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডটি ‘ইচ্ছাকৃতভাবে ধ্বংসাত্মক মানসিকতা' নিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে লেখালেখি করেছে উল্লেখ করে এর কুফলের উদাহরণ হিসেবে নিজের মায়ের কথা লিখেছেন প্রিন্স হ্যারি৷

‘‘আমি দেখেছি যে, আমি ভালোবাসি এমন একজনকে এমনভাবে পণ্যে পরিণত করা হয়েছিল যে, তাদের আর প্রকৃত মানুষ হিসেবে দেখা বা বিবেচনা করা হতো না৷ আমি আমার মা-কে হারিয়েছি এবং এখন একই শক্তিশালী শক্তি আমার স্ত্রীকেও ভুক্তভোগী বানাতে চাচ্ছে,'' লিখেছেন হ্যারি৷

হ্যারির মা প্রিন্সেস ডায়না ১৯৯৭ সালে প্যারিসে এক গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান৷ তাঁকে সেই সময় পাপারাৎসিরা তাড়া করছিল৷

অ্যালিস্টার ওয়েলস/এআই