বাণিজ্য উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে সমাজসেবা, লক্ষ্য দু'টোই
৯ নভেম্বর ২০১১ব্যবসা উন্নয়নের কাজ করেন অপর্ণা৷ ব্যবসা উন্নয়ন বলতে কী বোঝায়? ব্যাপার হল, বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজারের পদে একা হাতে অনেক কিছুই সামলাতে হয় অপর্ণাকে৷ যে বেসরকারি সংস্থায় তিনি কাজ করেন, তারা চামড়ার ফ্যাশন সামগ্রী বানায়৷ তাদের কাজের প্রয়োজনে নানা জায়গায় ঘোরাঘুরিও করতে হয় অপর্ণাকে৷ বাণিজ্য বাড়াতে অন্যান্য সংস্থায় গিয়ে নিজেদের প্রডাক্ট বা উপাচারের বিষয়ে তুলে ধরতে হয়৷ করতে হয় প্রেজেন্টেশন৷ তাছাড়া ওয়েবসাইট বা আন্তর্জালের কাজকর্ম তো আছেই৷ সেগুলি তৈরি, আপডেট করা, তার উন্নয়নের জন্য সতর্ক থাকা, ইত্যাদি৷
অপর্ণা এই পেশায় এসেছেন সৃজনশীলতাকে ভালোবেসে৷ ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে এমএ পাশ করার পর প্রথমে শিক্ষকতা করতেন তিনি৷ এরপ সে কাজটার থেকেও যেটা তাঁর পছন্দ হত, তা হল সৃজনশীল লেখালিখি৷ যা অপর্ণা পছন্দ করতেন আগাগোড়াই৷ অপর্ণা মনে করেন, সৃজনশীলতার একটা মনন না থাকলে তাঁর পেশায় আসা সম্ভব নয়৷ সেটাই তাঁকে টেনে আনে এই দিকে৷
ব্যবসার সঙ্গে এর অর্থ, সৃজনশীলতাকে মিলিয়ে নিয়েছেন অপর্ণা৷ এরপর যেটা রয়ে গেছে, তা হল পারিবারিক জীবনের কিছু সমস্যা৷ যা তাঁর পেশার পথে প্রতিবন্ধকতা হতেই পারত৷ যেমন তাঁর স্বামী মদ্যাসক্ত হয়ে পড়েছিলেন৷ অপর্ণা মনে করেন, ‘আমরা কেউ মদ খেলে তাকে মাতাল বলে ছেড়ে দিই, কিন্তু এ একটা রোগ৷ এর চিকিৎসা করা আশু প্রয়োজন৷ পরিবারের মানুষদের সেই মানুষটির পাশে দাঁড়ানো দরকার৷' সে কাজ তিনি নিজেই করেছেন৷ জয় করেছেন প্রতিবন্ধকতাকে৷ আরও ছিল তাঁর একমাত্র পুত্রের বড় হয়ে ওঠা৷ যে কাজটি করতে নিজের পেশাকে বাতিল করে দেননি অপর্ণা৷ দুটোই একহাতে সামলেছেন৷
অপর্ণা পথের জন্তু জানোয়ারদের কল্যাণের কাজে নিজেকে নিয়োজিত করে থাকেন৷ কাজ করেন তাদের জন্যও৷ এছাড়া, যে সমস্ত বয়স্ক মানুষ নানা কারণে বাংলাদেশ বা ভারতে পথে বাস করতে বাধ্য হন, তাঁদের সেবা করার চেষ্টাও করেন এই নারী৷ উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য, এদের জন্য আরও কিছু করা অদূর ভবিষ্যতে৷ যাতে জীবনের শেষ বছরগুলো এই দুর্ভাগা মানুষদের জন্য একটু আনন্দময় হয়ে ওঠে, তার জন্য চেষ্টা করা৷
প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ