বাগদাদে জুড়ে বোমা হামলা, নিহত ৭৪
২২ ডিসেম্বর ২০১১সবশেষ
পুরো বাগদাদ জুড়েই বোমা হামলা হয়েছে৷ সকালবেলায় রাস্তাঘাটে যখন লোকজনের অনেক সমাগম ছিল তখন এই ঘটনা ঘটে৷ শহরের বড় কোনো স্থাপনায় হামলা হয়নি৷ সরকারি এক মুখপাত্র বলছেন, স্কুলের শিক্ষার্থী, সাধারণ শ্রমিক আর দুর্নীতিবিরোধী সংস্থার লোকজন এসব হামলার লক্ষ্য ছিলেন৷ তবে কারা এই হামলার পেছনে সেটা তিনি বলতে পারেন নি৷ এদিকে বোমা হামলা ছাড়াও আজ আরো একটি ঘটনা ঘটেছে৷ সেটা হচ্ছে, উত্তর বাগদাদে পাঁচজনের একটি পরিবারের সবাইকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে৷
রাজনৈতিক অস্থিরতা ও হামলার
দুটোর মধ্যে সম্পর্ক থাকতে পারে৷ কারণ রাজনৈতিক অস্থিরতা নতুন করে দেখা দিয়েছে শিয়া আর সুন্নিদের মধ্যে৷ শিয়া অধ্যুষিত ইরাকে সুন্নিরা হচ্ছে সংখ্যালঘু৷ আর দেশটির প্রধানমন্ত্রী নুরি আল-মালিকি একজন শিয়া৷ তিনি সুন্নি ভাইস-প্রেসিডেন্ট তারেক আল-হাশেমির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করিয়েছেন৷ এরপর থেকে শিয়া আর সুন্নিদের মধ্যে বিভেদ প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে৷ আজ যেসব জায়গায় হামলা হয়েছে সেগুলো শিয়া প্রধান এলাকা৷ প্রধানমন্ত্রী মালিকিও বলছেন, হামলার ধরণ ও স্থান দেখে বোঝা যায় এটা কাদের কাজ৷ কিন্তু এসব করে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় কোনো পরিবর্তন আনা যাবে না বলে জানান প্রধানমন্ত্রী মালিকি৷ তবে সংসদের স্পিকার ওসামা আল-নুজাইফি বলেছেন, এই ঘটনা জাতীয় একতার জন্য হুমকিস্বরূপ৷ এদিকে বাগদাদে জাতিসংঘের বিশেষ দূত মার্টিন কোবলার এই ঘটনাকে ‘ভয়াবহ' বলেছেন, এবং পরিস্থিতির উন্নয়নে ইরাকি নেতাদের দ্রুত ও একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন৷
ভবিষ্যৎ
যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্যরা ইরাক ছাড়লো মাত্র কয়েকদিন হলো৷ এর সঙ্গে হামলার সম্পৃক্ততা থাকতেও পারে, নাও পারে৷ কেননা মার্কিন সৈন্যরা থাকাকালেই কিন্তু গত আগষ্ট মাসে পুরো ইরাকের ১৭টি শহরে হামলা হয়েছিল৷ তাতে নিহত হয়েছিল ৭৪ জন৷ আর আহত হয়েছিল প্রায় দুশো৷ তবে এটা ঠিক, আজকের ঘটনাকে ইরাকে আবারও সাম্প্রদায়িক বিভেদ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার লক্ষণ হিসেবে দেখা হচ্ছে৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক