1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাগদাদে জুড়ে বোমা হামলা, নিহত ৭৪

২২ ডিসেম্বর ২০১১

ইরাকের রাজধানী বাগদাদের বিভিন্ন জায়গায় আজ কমপক্ষে ১০টি বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে৷ এসব হামলায় কমপক্ষে ৭৪ জন মারা গেছে বলে সরকারি সূত্রে জানা গেছে৷ আর আহত হয়েছে প্রায় পৌনে দুশো৷

https://p.dw.com/p/13Xid
ইরাকে সন্ত্রাসী হামলাছবি: picture-alliance/dpa

সবশেষ

পুরো বাগদাদ জুড়েই বোমা হামলা হয়েছে৷ সকালবেলায় রাস্তাঘাটে যখন লোকজনের অনেক সমাগম ছিল তখন এই ঘটনা ঘটে৷ শহরের বড় কোনো স্থাপনায় হামলা হয়নি৷ সরকারি এক মুখপাত্র বলছেন, স্কুলের শিক্ষার্থী, সাধারণ শ্রমিক আর দুর্নীতিবিরোধী সংস্থার লোকজন এসব হামলার লক্ষ্য ছিলেন৷ তবে কারা এই হামলার পেছনে সেটা তিনি বলতে পারেন নি৷ এদিকে বোমা হামলা ছাড়াও আজ আরো একটি ঘটনা ঘটেছে৷ সেটা হচ্ছে, উত্তর বাগদাদে পাঁচজনের একটি পরিবারের সবাইকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে৷

রাজনৈতিক অস্থিরতা ও হামলার

দুটোর মধ্যে সম্পর্ক থাকতে পারে৷ কারণ রাজনৈতিক অস্থিরতা নতুন করে দেখা দিয়েছে শিয়া আর সুন্নিদের মধ্যে৷ শিয়া অধ্যুষিত ইরাকে সুন্নিরা হচ্ছে সংখ্যালঘু৷ আর দেশটির প্রধানমন্ত্রী নুরি আল-মালিকি একজন শিয়া৷ তিনি সুন্নি ভাইস-প্রেসিডেন্ট তারেক আল-হাশেমির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করিয়েছেন৷ এরপর থেকে শিয়া আর সুন্নিদের মধ্যে বিভেদ প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে৷ আজ যেসব জায়গায় হামলা হয়েছে সেগুলো শিয়া প্রধান এলাকা৷ প্রধানমন্ত্রী মালিকিও বলছেন, হামলার ধরণ ও স্থান দেখে বোঝা যায় এটা কাদের কাজ৷ কিন্তু এসব করে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় কোনো পরিবর্তন আনা যাবে না বলে জানান প্রধানমন্ত্রী মালিকি৷ তবে সংসদের স্পিকার ওসামা আল-নুজাইফি বলেছেন, এই ঘটনা জাতীয় একতার জন্য হুমকিস্বরূপ৷ এদিকে বাগদাদে জাতিসংঘের বিশেষ দূত মার্টিন কোবলার এই ঘটনাকে ‘ভয়াবহ' বলেছেন, এবং পরিস্থিতির উন্নয়নে ইরাকি নেতাদের দ্রুত ও একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন৷

Anschlag in Bagdad Irak
ছবি: dapd

ভবিষ্যৎ

যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্যরা ইরাক ছাড়লো মাত্র কয়েকদিন হলো৷ এর সঙ্গে হামলার সম্পৃক্ততা থাকতেও পারে, নাও পারে৷ কেননা মার্কিন সৈন্যরা থাকাকালেই কিন্তু গত আগষ্ট মাসে পুরো ইরাকের ১৭টি শহরে হামলা হয়েছিল৷ তাতে নিহত হয়েছিল ৭৪ জন৷ আর আহত হয়েছিল প্রায় দুশো৷ তবে এটা ঠিক, আজকের ঘটনাকে ইরাকে আবারও সাম্প্রদায়িক বিভেদ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার লক্ষণ হিসেবে দেখা হচ্ছে৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য