1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বন্যার ত্রাণ অপ্রতুল, বিতরণে অনিয়ম: সিপিডি

২০ আগস্ট ২০২০

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য যে ত্রানের বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম৷ এক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্তদের হিসাব যাথাযথভাবে করা হয়নি৷ অনিয়ম আছে বিতরণেও, এমনটাই বলছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান, সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)৷

https://p.dw.com/p/3hDtC
ছবি: DW/M. Rashed

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বন্যায় ৩৩ টি জেলায় ৫০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, যা ওই এলাকার জনসংখ্যার ছয় ভাগ৷ বিভিন্ন হিসাবে চার কোটি ২০ লাখ ডলারের ফসলের ক্ষতি হয়েছে৷ গবাদিপশুর ক্ষতির অংক সাত লাখ ৪৫ হাজার ডলার৷ ৩৩৪ টি ইউনিয়নের ২২০ টি বাঁধের ক্ষতি হয়েছে৷ যথাযথভাবে সংস্কার না করাই এর মূল কারণ বলে মনে করে সিপিডি৷

‘সাম্প্রতিক বন্যা: ক্ষয়ক্ষতি ও করণীয়’ শীর্ষক ওয়েবভিত্তিক আলোচনায় সরকারের ত্রাণ বরাদ্দ ও বিতরণের চিত্র তুলে ধরেছে সিপিডি৷ ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সরকার মোট ১৯ হাজার ৫১০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করেছে, যার মধ্যে বিতরণ হয়েছে ৬৩ ভাগ৷ ক্ষতিগ্রস্তদের হিসাবে জনপ্রতি চাল পেয়েছেন মাত্র আড়াই কেজি করে৷ বাকিটা বিতরণ করা হলে আরো এক দশমিক তিন কেজি চাল পাবেন প্রতিজন৷ অন্যদিকে মাথাপিছু পাঁচ-ছয় টাকা নগদ অর্থ পেয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা৷

সিপিডির হিসাবে পরিবার প্রতি মাত্র ১০.৭ কেজি চাল আর প্রায় ২৪ টাকা বরাদ্দ করেছে সরকার৷ অথচ একমাস চলার জন্য প্রতিটি পরিবারের প্রয়োজন ৪৬ কেজি চাল৷

পানি কমলেও বন্যার বিপর্যয় কমেনি

সিপিডি বলছে, সরকারিভাবে ত্রাণ বিতরণের সক্ষমতার অভাব রয়েছে৷ ক্ষতিগ্রস্তদের হিসাবও ঠিকমতো নির্ধারণ করা হয়নি৷ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে করোনা ও বন্যার কারণে নতুন করে দারিদ্র্য তৈরি হচ্ছে, সেগুলোকে সরকার বিবেচনায় নেয়নি৷ পাশাপাশি ত্রাণ বিতরণে অনিয়মও লক্ষ্য করা গেছে৷

আলোচনায় অংশ নিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান জানান, চলমান করোনাভাইরাস মহামারি আর বন্যায় সঙ্কটে পড়া দেশের প্রায় ৫ কোটি মানুষের তালিকা তৈরি করেছে সরকার৷ সেই তালিকা ধরেই ত্রাণ বিতরণের ব্যবস্থা হয়েছে৷

‘‘প্রতিদিন আমরা গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসরণ করছি৷ যেখানে ত্রাণের অপ্রতুলতার খবর পাচ্ছি, সেখানেই আমরা ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছি৷ প্রত্যেক উপজেলায় সুবিধাভোগীদের তালিকা টাঙিয়ে দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে৷ তাতে স্বচ্ছতা তৈরি হবে,’’ বলেন তিনি৷

আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে সিপিডির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেন, বাংলাদেশে বন্যা হয় মূলত বর্ষায় ভারতের আসাম ও মেঘলায় থেকে নেমে আসা পানির কারণে৷ ‘‘বন্যার পানির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় ১৯৭২ সালে দুই দেশে বঙ্গবন্ধু ও ইন্দিরা গান্ধীর সরকার মিলে যে যৌথ নদী কমিশন গঠন করেছিল, তা এখন অকার্যকর৷ এ কমিশনকে কার্যকর করে বাংলাদেশের বন্যা ও বর্ষাকালীন পানির টেকসই ব্যবস্থা করা সম্ভব,’’ বলেন রেহমান সোবহান৷

এফএস/এসিবি (সিপিডি, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)

২৩ জুলাইয়ের ছবিঘরটি দেখুন...