বদলে গেছে তাজিয়া মিছিল
২০১৫ সালে ঢাকায় তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতিকালে বোমা হামলার পর এই মিছিলের ধরন কিছুটা বদলে ফেলা হয়েছে৷ আগে কেমন ছিল বর্ণিল সেই মিছিল দেখুন ছবি গ্যালারিতে৷
নেই সেই ঝলক
আগুনের এই ঝলক দেখা যেত তাজিয়া মিছিলে৷ নিরাপত্তার কারণে এখন আর এই দৃশ্য দেখার সুযোগ নেই৷
বাদ্যযন্ত্রে টান
মিছিলে উচ্চমাত্রার শব্দ তৈরি করার ঢাক-ঢোল, বাদ্যযন্ত্র, পিএ সেট ব্যবহাররে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে৷ ফলে এসব বাদ্যযন্ত্র নিয়ে এখন আর তাজিয়া মিছিলে যোগ দেওয়া যায় না৷
রক্তাক্ত শরীর
মিছিলে অংশ নিয়ে ধারালো বস্তুর সাহায্যে নিজের শরীর রক্তাক্ত করতেন অনেকেই৷ এখন এই শোক মিছিলে ধারালো অস্ত্র, ধাতব পদার্থ, দাহ্য পদার্থ, ব্যাগ, পোটলা, লাঠি, ছোঁড়া, চাকু, তলোয়ার, বর্শা, বল্লব ও আতশবাজির ব্যবহার নিষিদ্ধ৷
শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা
১৩৩৯ বছর আগে এই দিনে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসাইন (রা.) ফোরাত নদীর তীরে কারবালা প্রান্তরে যুদ্ধে শহীদ হন৷ তাকে স্মরণ করে মাতম করেন অনেকে৷
নেই সেই অস্ত্র
নানা ধরনের ধারলো অস্ত্র সঙ্গে নিয়ে তাজিয়া মিছিলে যোগ দিতেন অনেকেই৷ নিরাপত্তার স্বার্থে এসব দেশীয় অস্ত্র নিয়েও কেউ মিছিলে অংশ নিতে পারে না৷
নেই লম্বা নিশান
বড় বড় বাঁশের সঙ্গে নানান ধরনের নিশান নিয়ে মিছিলে অংশ নেওয়ার সুযোগ ছিল৷ বৈদ্যুতির তারে এসব লাঠি আটেক দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকায় এখন ১২ ফুটের বেশি লম্বা নিশান নিয়ে মিছিলে যাওয়া যায় না৷
পোশাকও কড়াকড়ি
আগে পোশাকের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের ধারালো জিনিসপত্র জুড়ে দেওয়ার সুযোগ থাকলেও এখন তাতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে৷
এক কাতারে সবাই
তাজিয়া মিছিলটি শিয়াদের ধর্মীয় উৎসবের অংশ হলেও ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে সুন্নি সম্প্রদায়ের অনেক মানুষ স্বতস্ফূর্তভাবে এই মিছিলে অংশ নেন৷ সব ভেদাভেদ ভুলে বর্ণিল উৎসবে রূপ নেয় এটি৷
উৎসব ছড়ায় সারাদেশে
রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি সারাদেশেই তাজিয়া মিছিলের আয়োজন করা হয়৷ অনেক যুগ আগ থেকে মানিকগঞ্জের গড়পাড়ার ইমামবাড়ায় তাজিয়া মিছিলের আয়োজন করা হচ্ছে৷