1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘বঙ্গবন্ধু-১’ মহাকাশে

১২ মে ২০১৮

‘বঙ্গবন্ধু-১’ স্যাটেলাইটের মাধ্যমে মহাকাশে নিজের নাম লেখালো বাংলাদেশ৷ শুক্রবার জার্মান সময় রাত সোয়া দশটায় মহাকাশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ ‘বঙ্গবন্ধু-১’৷

https://p.dw.com/p/2xZPR
ছবি: picture-alliance/AP/R. Huber/O. Sentinel

ক্যালোফোর্নিয়াভিত্তিক মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘স্পেসএক্স' স্যাটেলাইটটি মহাকাশে পাঠায়৷ এটি পাঠাতে পুর্নব্যবহারযোগ্য এক রকেট ব্যবহার করা হয়৷ রকেটটি সফলভাবে উড্ডয়ন এবং অতরণে সক্ষম হওয়ায় ‘স্পেসএক্স' আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে শীঘ্রই মানুষ পাঠানোর পথে এগিয়ে গেল৷ ২০১৮ সালের ডিসেম্বর নাগাদ মনুষ্যবাহী ক্যাপসুল মহাকাশে পাঠাতে চায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানটি৷
 

‘বঙ্গবন্ধু-১' স্যাটেলাইটটি ভূপৃষ্ঠ থেকে মোটামুটি ৩৫,০০০ কিলোমিটার উচ্চতায় অবস্থান করছে৷ এটি বাংলাদেশ এবং বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ অংশে ভিডিও এবং যোগাযোগ স্যাটেলাইট হিসেবে কাজ করবে৷ পাশাপাশি ভারত, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, ফিলিপাইন্স এবং ইন্দোনেশিয়াও স্যাটেলাইটটির কাভারেজের আওতায় থাকবে৷

স্পেসএক্স এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, স্যাটেলাইটটি অন্তত ১৫ বছর কর্মক্ষম থাকবে৷ এছাড়া এটি ব্যবহার করে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্রডব্যান্ড সেবা দেয়াও সম্ভব হবে৷

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ‘‘বাংলাদেশের ধারাবাহিক অগ্রযাত্রায় এক নতুন মাইলফলকযুক্ত হলো আজ৷ ‘বঙ্গবন্ধু-১' স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আমরা মহাবিশ্বে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলাম৷''

‘বঙ্গবন্ধু-১' স্যাটেলাইট প্রকল্পে বাংলাদেশের প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে৷ এর মধ্যে অর্ধেক টাকা ঋণ নেয়া হয়েছে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে৷ এই কৃত্রিম উপগ্রহের প্রয়োজনীয়তার কথা জানাতে গিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম লিখেছে, ‘‘বাংলাদেশ এতদিন বিদেশি স্যাটেলাইট ভাড়া করে সম্প্রচার ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিষয়ে গবেষণার কাজ চালিয়ে আসছিল; বর্তমানে বিদেশি স্যাটেলাইটের ভাড়া বাবদ বাংলাদেশকে গুণতে হয় ১ কোটি ৪০ লাখ ডলার৷''

বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের এই কন্টেন্ট পার্টনার লিখেছে, ‘‘নিজস্ব যোগাযোগ স্যাটেলাইট কাজ শুরু করার পর বাংলাদেশ ভাড়া স্যাটেলাইটের নির্ভরশীলতা কাটিয়ে উঠে অর্থ সাশ্রয় করতে পারবে বলে সরকার আশা করছে৷''
 

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ মহাকাশে পৌঁছে যাওয়ায় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অনেকেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন৷ সাংবাদিক গোলাম মোর্তোজা লিখেছেন, ‘‘অনেক আলোচনা, মত-দ্বিমত, প্রায়োরিটি নির্ধারণে সীমাবদ্ধতা....আরও অনেক কিছু....সবকিছু বিবেচনায় নিয়েও স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণ বাংলাদেশের জন্যে অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ ইতিবাচক অর্জন৷ বাংলাদেশের জনগণের অর্থে যে অর্জন, তার সুবিধা বা লাভ যেন জনগণই পায় - সেটা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব৷ এখনকার আলোচনা, এই দিকটা নিয়েই হওয়া দরকার৷''

তবে কেউ কেউ এই স্যাটেলাইট বাংলাদেশের জন্য আর্থিকভাবে লাভজনক হবে না বলেও মত দিয়েছেন৷ বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো স্যাটেলাইটটি কতটা ব্যবহারে সক্ষম হবে তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে৷ ফেসবুক ব্যবহারকারী জিয়া হাসান এই বিষয়ে এক দীর্ঘ নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন:



উল্লেখ্য, ‘বঙ্গবন্ধু-১' বৃহস্পতিবার রাতে উৎক্ষেপণের কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে কারিগরি কারণে তা পিছিয়ে যায়৷ তবে শুক্রবার রাতে আর কোনো কিছুই বাধা হতে পারেনি৷ সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী দুই মাসের মধ্যেই কাজ শুরু করতে পারবে স্যাটেলাইটটি৷ গাজীপুরের জয়দেবপুরে তৈরি গ্রাউন্ড কন্ট্রোল স্টেশন থেকে এটি নিয়ন্ত্রণ করা হবে৷ আর বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হবে রাঙামাটির বেতবুনিয়া গ্রাউন্ড স্টেশন৷

এআই/ডিজি (এএফপি, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য