বই পড়ায় আগ্রহ বাড়াতে নিজের ঘরে উন্মুক্ত পাঠাগার
জনতার জন্য নিজের ঘরের দরজা খুলে দিয়েছেন ফিলিপাইন্সের হেরনান্দো গুয়ানলাও৷ যে কেউ যেতে পারেন তার বাড়িতে, হাজার হাজার বই থেকে বেছে নিতে পারেন নিজের পছন্দের বই৷ দেখুন ছবিঘরে...
যেখানে বই পাওয়া সহজ
ম্যানিলার অদূরে হেরনান্দো গুয়ানলাও-এর বাড়ি৷ বাড়ির সামনেই লেখা, ‘‘ভালো বই পাওয়া সহজ৷’’ নিজের বাড়িকে সেভাবেই সাজিয়ে রেখেছেন হেরনান্দো৷ দোতলা বাড়ি জুড়ে থরে থরে সাজানো শুধু বই আর বই৷
যেভাবে শুরু
হেরনান্দোর বাড়ির এই পাঠাগারের নাম ‘রিডিং ক্লাব ২০০০’৷ শুরুতে বাড়ির কাছের ফুটপাতে মাত্র ৫০টি বই নিয়ে বসেছিলেন এখন ৭১ বছর পূর্ণ করা হেরনান্দো৷ বিনা মূল্যে বই নিয়ে পড়ার আহ্বানে তখন খুব বেশি মানুষ সাড়া না দিলেও ধীরে ধীরে ফুটপাতে বইপ্রেমীর ভিড় বাড়তে থাকে৷
হাজার বইয়ের রহস্য
বই বিক্রি করেন না, ভাড়াও দেন না, তাহলে ৫০টি থেকে দোতলা ভর্তি হাজার হাজার বই পেলেন কিভাবে? হেরনান্দো জানালেন, সব বই মানুষের কাছ থেকে অনুদান হিসেবে পাওয়া৷ কেউ কেউ নিজে এসে দিয়ে যান বই, আবার অনেকে নাকি পরিচয় গোপন রেখে পাঠিয়ে দেন হাজার টাকার বই, ‘‘অনেকে বাক্স ভরা বই রেখে যান বাড়ির সামনে৷’’
হেরনান্দোর বইয়ের জগত
ফিলিপাইন্সের ঘরে ঘরে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে আগ্রহী হেরনান্দো জানালেন, ‘‘এখানে কে-১২ পর্বের (প্রাথমিক শিক্ষা) পাঠ্য বই, নানা ধরনের উপন্যাস- বলতে গেলে সব ধরনের বই-ই আছে৷’’ অলাভজনক পাঠাগারের এই উদ্যোক্তা আরো জানান, ‘‘যারা ধর্মীয় বিষয়ে জানতে চান, তাদের জন্য আধ্যাত্মিক বই-ও আছে এখানে৷হার্ডবাউন্ড, সফটবাউন্ড, আত্মজীবনীসহ বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার আনন্দ এখানে বিনা মূল্যে পাওয়া যায়৷’’
সাহিত্যের মাধ্যমে শিক্ষা
ফিলিপাইন্সে শিক্ষার্থীদের পড়ার প্রতি ঝোঁক আশঙ্কাজনকভাবে কমছে৷ প্রোগ্রাম ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টস অ্যাসেসমেন্ট (পিআইএসএ বা পিসা)-র রিপোর্ট বলছে, অঙ্ক, বিজ্ঞান এবং পাঠদক্ষতায় ফিলিপাইন্সের শিক্ষার্থীদের স্কোর বিশ্বের সব দেশের মধ্যে সবচেয়ে খারাপের স্তরে৷ হেরনান্দো বলেন, ‘‘আমার লক্ষ্য পুরোনো এবং অনুদানের বই বিনা মূল্যে সবাইকে দেয়া এবং সাহিত্যের মাধ্যমে শিক্ষার উন্নয়নে ভূমিকা রাখা৷’’