ফোর্বসের বিলিয়নেয়ার তালিকায় বাংলাদেশের আজিজ খান
২০২৪ সালের বার্ষিক বিলিয়নেয়ারের তালিকা প্রকাশ করেছে ফোর্বস ম্যাগাজিন। শীর্ষ ১০-এ কিছুটা রদবদল হলেও ঘুরেফিরে একই ব্যক্তিদের নামই এসেছে। তবে এই তালিকায় কিছু চমকও রয়েছে।
বাংলাদেশের বিলিয়নেয়ার
সম্পদের হিসাবে বিশ্বের তালিকায় অনেক পেছনে সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আজিজ খান। কিন্তু বিলিয়নেয়ারের তালিকায় স্থান পাওয়া একমাত্র বাংলাদেশি তিনি। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ১১০ কোটি মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১২ হাজার ১০০ কোটি টাকা। জ্বালানি, বন্দর, ফাইবার অপটিকস এবং রিয়েল এস্টেটের নানা ব্যবসা করে সামিট গ্রুপ। আজিজ খান বাস করেন সিঙ্গাপুরে। সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ৫০ ধনীর তালিকায় আছে তার নাম।
বিলিয়নেয়ার হলেন টেইলর সুইফট
মার্কিন সংগীতশিল্পি টেইলর সুইফট প্রথমবারের মতো বিলিয়নেয়ারের তালিকায় নাম লিখিয়েছেন। এক ট্যুরেই তিনি মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির ইতিহাস ভেঙে কামিয়েছেন প্রায় একশ কোটি ডলার। পোলস্টারের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে চলা এরাস ট্যুরের প্রথম ৬০টি শো থেকেই আয় হয়েছে ১০৪ কোটি ডলার। এই ট্যুরের ইউরোপ এবং উত্তর অ্যামেরিকা মহাদেশের শো এখনও বাকি আছে।
ল্যারি পেইজ
গুগলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মার্কিন ব্যবসায়ী ল্যারি পেইজ আছেন শীর্ষ ধনীদের তালিকায় ১০ নাম্বারে। প্রতিষ্ঠানটির দৈনিক কর্মকাণ্ড থেকে ল্যারি ও আরেক সহ-প্রতিষ্ঠাতা সের্গেই ব্রিনকে চার বছর আগে সরিয়ে দেয়া হলেও তারা এখনও প্রতিষ্ঠানটির সবচেয়ে বড় শেয়ারহোল্ডার। তার সম্পদের পরিমাণ ১১ হাজার ৪০০ কোটি ডলার। ১১ হাজার কোটি ডলার সম্পদ নিয়ে তার ঠিক পেছনেই তালিকার ১১ নাম্বারে রয়েছেন সের্গেই ব্রিন।
মুকেশ আম্বানি
এশিয়ার প্রথম ব্যবসায়ী হিসাবে ১০ হাজার কোটি ডলারের ক্লাবে নাম লেখালেন ভারতের মুকেশ আম্বানি। রিলায়েন্স গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের আওতায় নানা ধরনের ব্যবসা থেকে এই অর্থ উপার্জিত হয়েছে। তার সম্পদের পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে ১১ হাজার ৬০০ মার্কিন ডলার। মার্চে নিজের ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানির বিয়ে পূর্ববর্তী আয়োজনে মার্ক সাকারবার্গ, বিল গেটসসহ বিশ্বের অনেক শীর্ষ ধনীই উপস্থিত হয়েছিলেন।
স্টিভ বালমার
মাইক্রোসফটের সাবেক প্রধান নির্বাহী সুইস-মার্কিন ব্যবসায়ী স্টিভ বালমার রয়েছেন তালিকার অষ্টম স্থানে। এক বছরেই তার সম্পদের পরিমাণ চার হাজার কোটি ডলার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ১০০ কোটি ডলারে। এনবিইএ-র দল লস এঞ্জেলেস ক্লিপার্সের মালিক বালমার।
বিল গেটস
১৯৯৫ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ২৩ বছরের মধ্যে ১৮ বছরই বিশ্বের শীর্ষ ধনী ছিলেন মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। ১৯৯২ সালের পর এবারের সপ্তম স্থানই তার তালিকায় সর্বনিম্ন স্থান। ২০২১ সালে স্ত্রী মেলিন্ডা গেটসের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তার সম্পদের পরিমাণ অনেকটাই কমে যায়। এরপর তিনি নানা দাতব্য কাজে দান করেছেন প্রায় ছয় হাজার কোটি ডলার। এখন তার মোট সম্পদের পরিমাণ ১২ হাজার ৮০০ কোটি ডলার।
ওয়ারেন বাফেট
তালিকার ছয় নাম্বারে রয়েছেন মার্কিন ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারী ওয়ারেন বাফেট। তার সম্পদের মূল উৎস বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে। ফোর্বস জানিয়েছে, বাফেটের মোট সম্পদের পরিমাণ এখন ১৩ হাজার ৩০০ কোটি ডলার।
ল্যারি এলিসন
সফটওয়্যার কোম্পানি ওরাকলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সাবেক প্রধান নির্বাহী ল্যারি এলিসন রয়েছেন তালিকার পাঁচ নাম্বারে। এখনও তিনি ওরাকলের চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং প্রতিষ্ঠানটির ৪০ শতাংশ শেয়ারের মালিক। তার সম্পদের পরিমাণ ১৪ হাজার ১০০ কোটি ডলার।
মার্ক সাকারবার্গ
ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা এর প্রধান নির্বাহী মার্ক সাকারবার্গ আছেন চার নাম্বারে। গত বছর মেটার শেয়ারের দাম প্রায় তিন গুণ বেড়ে যাওয়ায় সাকারবার্গের সম্পদের পরিমাণও পাল্লা দিয়ে বেড়েছে। এখন তার সম্পদের পরিমাণ ১৭ হাজার ৭০০ কোটি ডলার।
জেফ বেজোস
অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা গত এক বছরে সম্পদের পরিমাণ বাড়িয়েছেন আট হাজার কোটি ডলার। সিয়াটল থেকে অ্যামেরিকার তুলনামূলক কর-বান্ধব রাজ্য টেক্সাসে একটি দ্বীপ কিনে সেখানে বাস করছেন তিনি। এখন তার সম্পদের পরিমাণ ১৯ হাজার ৪০০ কোটি ডলার।
ইলন মাস্ক
২০২১ সালের নভেম্বরে ইতিহাসে প্রথম ব্যক্তি হিসাবে ৩০ হাজার কোটি ডলারের মালিক ছিলেন। কিন্তু এরপর তার সম্পদের পরিমাণ নানা কারণেই কমতে থাকে। তারপরও তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন তিনি। টেসলা এবং স্পেস এক্সের প্রতিষ্ঠাতা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার) এর মালিক মাস্কের বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ১৯ হাজার ৫০০ কোটি ডলার।
বার্নার্ড আর্নল্ট
টানা দ্বিতীয় বছরের মতো বিশ্বের শীর্ষ ধনী ফরাসি ব্যবসায়ী এবং বিনিয়োগকারী বার্নার্ড আর্নল্ট। তার গ্রুপ এলভিএমএইচ এর অধীনে রয়েছে লুই ভুটন, ডিওর এবং সেফোরার মতো বিলাসী পণ্য প্রস্তুতকারক নানা ব্র্যান্ড। আর্নল্টের সম্পদের পরিমাণ ২৩ হাজার ৩০০ কোটি ডলার।