ফোর বি: যৌনতা নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রে নারীদের অন্যরকম প্রতিবাদ
দক্ষিণ কোরিয়ার নারীবাদীদের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু সংখ্যক নারী পুরুষের সঙ্গে যৌনতা থেকে নিজেদের বিরত রাখছেন। কেন তারা এমনটি করছেন? জেনে নিন ছবিঘরে...
বাড়ছে জনপ্রিয়তা
২০১০-এর দশকের মাঝামাঝি নাগাদ দক্ষিণ কোরিয়ায় শুরু হওয়া 'ফোর বি' আন্দোলন ধীরে ধীরে মার্কিনিদের সোশ্যাল মিডিয়াতেও জায়গা করে নিচ্ছে। নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর তা নিয়ে আরো জোরালো হয়েছে। ২০২২ থেকে অভিনেত্রী জুলিয়া ফক্স এই আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।
বাড়ছে হামলা
প্রতিবছর নতুন সদস্য যুক্ত হচ্ছেন নারীবাদীদের এই আন্দোলনে। কিন্তু তাদের ওপর হামলার সংখ্যাও বাড়ছে। 'ফোর বি' আন্দোলনের একজন দক্ষিণ কোরিয়ান কর্মী জানান, "যেসব নারীর চুল ছোট, তাদেরকে মানসিকভাবে অসুস্থ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, নিপীড়ন করা হয়, এমনকি শারীরিক নির্যাতনও করা হয়।"
শুরুটা হয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়ায়
দক্ষিণ কোরিয়ার লেখক মিংইয়ং লি এই আন্দোলনের শুরু থেকেই এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ে 'ফোর বি' আন্দোলনের প্রচার বেড়ে যাওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তিনি বলেন, "আমি এ মুহূর্তটির জন্য অপেক্ষা করছিলাম অনেকদিন ধরে। আট বছর লেগেছে আপনাদের পর্যন্ত এটি পৌঁছাতে।"
‘প্রজনন যন্ত্র’ হতে নারাজ
লেখক মিংইয়ং লি-র বয়স এখন ৩২। সামাজিক চাপের কারণে কয়েক বছর আগেও সে একজন পুরুষকে বিয়ে করার কথা ভাবতেন। কিন্তু এখন তিনি নিজেকে 'ফোর বি' আন্দোলনের আরো অনেক কর্মী-সমর্থকের মতো একজন লেসবিয়ান (সমকামী) হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকেন। সন্তান জন্মদানে অনাগ্রহী মিংইয়ং লি।
ট্রাম্পের জয় প্রভাব ফেলবে?
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ডনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন করেছেন সেখানকার অনেক রক্ষণশীল পুরুষ। তাই ট্রাম্প প্রশাসনের নেয়া সিদ্ধান্ত নারী স্বাধীনতার বিরুদ্ধে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন ওয়াশিংটনের বাসিন্দা ক্রিস্টিন ইভান্স। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলেন, জীবনে চলার পথে যে সকল পুরুষের সান্নিধ্যে গেছেন তাদের মধ্যে কম সংখ্যকেরই নারী অধিকারের প্রতি সম্মান ছিল।
জামিলিয়া প্রাঙ্গে ডি অলিভিয়েরা / এসএইচ