1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফের টিকা রপ্তানি আটকাতে পারে ইইউ

৯ মার্চ ২০২১

টিকা রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রয়োজনে অ্যাস্ট্রাজেনেকাকে আবার বাধা দেবে ইইউ। এর আগে ইটালি এ কাজ করেছিল। 

https://p.dw.com/p/3qNJh
উরসুলা
ছবি: Francois Walschaerts/dpa/picture alliance

ইটালির পাশে দাঁড়ালেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন। জানিয়ে দিলেন, গত সপ্তাহে ইটালি যে ভাবে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন অস্ট্রেলিয়ায় রপ্তানির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল, ইইউ তাকে পূর্ণ সমর্থন করে। প্রয়োজনে ভবিষ্যতে ফের এমন কাজ করা হবে। কারণ, অ্যাস্ট্রাজেনেকা যে পরিমাণ টিকা ইউরোপীয় ইউনিয়নকে দেবে বলেছিল, বাস্তবে সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারেনি। ফলে এবার টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে ইউরোপকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

ইটালিতে মার্কিন-সুইস সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকার একটি কারখানা আছে। গত সপ্তাহে সেখান থেকে অস্ট্রেলিয়ায় আড়াই লাখ টিকা পাছানো হচ্ছিল। কিন্তু ইটালির সরকার তা আটকে দেয়। ইউরোপীয় আইন অনুযায়ী ইইউ অন্তর্ভূক্ত কোনো দেশ এ কাজ করতে পারে। তবে তার আগে ইইউ-র কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। অনুমতি নিয়েই ইটালি ওই কাজ করেছিল। সোমবার উরসুলা জানিয়েছেন, ইটালি যা করেছে, তাতে কোনো ভুল নেই। প্রয়োজনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্য দেশগুলিও একই কাজ করতে পারে।

উরসুলার মতে, এই বছরের প্রথম কোয়ার্টারে অ্যাস্ট্রাজেনেকা মাত্র দশ শতাংশ টিকা দিতে পেরেছে ইইউ-কে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দাবি, মার্চের মধ্যে ইউরোপকে ১০০ মিলিয়ন টিকা দেয়ার কথা ছিল অ্যাস্ট্রাজেনেকার। কিন্তু বাস্তবে তারা দিতে পেরেছে মাত্র দশ মিলিয়ন। দ্বিতীয় কোয়ার্টারেও তারা মাত্র পঞ্চাশ শতাংশ ভ্যাকসিন দিতে পারবে বলে জানিয়েছে। ইইউ-র বক্তব্য, এবার অ্যাস্ট্রাজেনেকাকে অগ্রাধিকার দিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে ভ্যাকসিন দিতে হবে।

ইইউ-র আইন ইতিমধ্যেই ইটালি ছাড়া আরো কোনো দেশ ব্যবহার করেছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। যদিও এখনো পর্যন্ত কোনো দেশ তা স্বীকার করেনি। অ্যাস্ট্রাজেনেকাও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চায়নি।

এতদিন ৬৫ বছরের কম বয়সী মানুষদেরকেই কেবল অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছিল। ইইউ জানিয়েছে, এবার সকলকে ওই ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে। অ্যাস্ট্রাজেনেকা ছাড়া ফাইজার, মডার্নার টিকাও সেখানে দেওয়া হচ্ছে। ইইউ জানিয়েছে, এবার যে কোনো ব্যক্তি টিকা নিতে পারেন। আর কোনো নিয়মের কড়াকড়ি থাকছে না। তবে কঠিন রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এখনো কিছু বিধিনিষেধ থাকছে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি)