ইউক্রেনে হামলার প্রেক্ষিতে ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশিয়ার প্রতিবেশী ফিনল্যান্ড৷ দীর্ঘদিন আলোচনার পর রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার৷ একই পথে হাঁটছে আরেক নর্ডিক দেশ সুইডেনও৷ সোমবার এ নিয়ে প্রথমবারের মতো প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন৷ মস্কোতে কালেক্টিভ সিকিউরিটি ট্রিটি অর্গানাইজেশনের সম্মেলনে দেয়া বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘‘সুইডেন ও ফিনল্যান্ডে ন্যাটোর বিস্তার রাশিয়ার জন্য সরাসরি হুমকি নয়৷ তবে এই অঞ্চলে সামরিক স্থাপনার বিস্তার ঘটালে তা অবশ্যই আমাদের প্রতিক্রিয়া উস্কে দিবে৷’’
রাশিয়া নেতৃত্বাধীন এই জোটে রয়েছে বেলারুশ, আর্মেনিয়া, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান ও তাজিকিস্তান৷ জোটের নেতাদের উদ্দেশ্যে পুটিন বলেন, ‘‘প্রতিক্রিয়া কী হবে সেটি নির্ভর করবে তারা কী ধরনের হুমকি তৈরি করে তার উপর৷’’ পশ্চিমা দেশগুলো ‘বিনা কারণে’ সমস্যা তৈরি করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘আমরাও সেই অনুযায়ীই প্রতিক্রিয়া জানাব৷’’
নর্ডিক দেশগুলোতে ন্যাটোর সামরিক শক্তি বিস্তারে রুশ প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে সে বিষয়ে এখনও ক্রেমলিনের কাছ থেকে কোনো ইঙ্গিত মেলেনি৷ তবে পুটিনের ঘনিষ্ঠদের একজন সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ গত মাসে জানিয়েছেন, এক্ষেত্রে ইউরোপের ভিতরে ছিটমহল কালিনিনগ্রাদে পরমাণু অস্ত্র ও হাইপরাসনিক ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপন করতে পারে রাশিয়া৷
-
যুদ্ধ ও শান্তি: ন্যাটো ও ভেটোর ভূমিকা
ন্যাটোর জন্ম
১৯৪৯ সালের ৪ এপ্রিল নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি স্বাক্ষরের মধ্যে দিয়ে যাত্রা শুরু করে ন্যাটো৷ চুক্তির পঞ্চম ধারা অনুযায়ী, ‘‘এক বা একাধিক সদস্যের উপর সশস্ত্র হামলা সবার উপর হামলা হিসেবে বিবেচিত হবে৷’’ জন্মলগ্নে জোটের ঘোষিত উদ্দেশ্য ছিল তিনটি: সোভিয়েত সম্প্রসারণ ঠেকানো, উত্তর অ্যামেরিকার শক্তিশালী উপস্থিতির মাধ্যমে ইউরোপের সামরিকায়ন নিষিদ্ধ করা এবং ইউরোপে রাজনৈতিক সংহতিকে উৎসাহ দেয়া৷
-
যুদ্ধ ও শান্তি: ন্যাটো ও ভেটোর ভূমিকা
কারা সদস্য
শুরুতে ১২ সদস্য নিয়ে যাত্রা করে ন্যাটো৷ ১৯৫২ সালে যোগ দেয় গ্রিস ও তুরস্ক৷ পশ্চিম জার্মানি যোগ দেয় ১৯৫৫ সালে আর ১৯৮২ সালে স্পেন৷ ১৯৯৯ সালে পূর্ণ সদস্যপদ লাভ করে পোল্যান্ড, চেক রিপাবলিক ও হাঙ্গেরি৷ বর্তমানে জোটের সদস্য সংখ্যা ৩০৷
-
যুদ্ধ ও শান্তি: ন্যাটো ও ভেটোর ভূমিকা
নিজেদের বিরোধ
ন্যাটোর সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সামরিক পদক্ষেপ নিয়ে বিভিন্ন সময় মতভেদ তৈরি হয়েছে৷ প্রথমবার এমন ঘটনা ঘটে ১৯৫৬ সালে সুয়েজ সংকট নিয়ে৷ ১৯৬৬ সালে ন্যাটোর সামরিক কাঠামো থেকে বেরিয়ে আসার ঘোষণা দেয় ফ্রান্স এবং সে দেশ থেকে জোটের প্রধান কার্যালয় সরিয়ে নেয়ার অনুরোধ জানায়৷ নতুন কার্যালয় বসে বেলজিয়ামে৷ তবে ফ্রান্স জোটের মধ্যেই থেকে যায় এবং সংকটকালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও রাখে৷
-
যুদ্ধ ও শান্তি: ন্যাটো ও ভেটোর ভূমিকা
সামরিক উত্তেজনা
১৯৭৯ সালে আফগানিস্তানে সোভিয়েত রাশিয়ার হামলা এবং ইউরোপে ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনকে কেন্দ্র করে নড়েচড়ে বসে ন্যাটো৷ পাল্টা জবাব হিসেবে পশ্চিম ইউরোপে ক্ষেপণাস্ত্র বসানোর সিদ্ধান্ত নেয় জোট৷ ১৯৮৭ সালে এক চুক্তির মাধ্যমে দুই পক্ষ ভূমি থেকে নিক্ষেপযোগ্য মাঝারিপাল্লার সব ব্যালাস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র সরিয়ে নিতে সম্মত হয়, যাকে ঠান্ডা লড়াই সমাপ্তির প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হয়৷
-
যুদ্ধ ও শান্তি: ন্যাটো ও ভেটোর ভূমিকা
ঠান্ডা লড়াই পরবর্তী যুগ
১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়া ও বার্লিন দেয়ালের পতনের পর ন্যাটোর অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠে৷ তবে সময়ের সাথে সাথে বরং উল্টো ন্যাটোর সম্প্র্রসারণ চলতে থাকে৷ এক দশক ধরে চলা যুগোস্লাভ যুদ্ধ ও কসভো-সার্বিয়া সংঘাতে হস্তক্ষেপ করে জোট৷ গড়ে ওঠে ন্যাটো-বহির্ভূত সমমনা দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতার সম্পর্ক৷
-
যুদ্ধ ও শান্তি: ন্যাটো ও ভেটোর ভূমিকা
নাইন-ইলেভেন: নতুন মোড়
২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে হামলার পর ন্যাটো সদস্যসহ বিভিন্ন রাষ্ট্র আফগানিস্তানে আল-কায়দার বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নেয়৷ ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ইরাক যুদ্ধে সহায়তা কার্যক্রম চালায় ন্যাটো৷ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর বাইরে অন্য রাষ্ট্রে সংঘাত, বিরোধেও নিজেদের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করতে থাকে ন্যাটো৷ লিবিয়াসহ বিভিন্ন দেশে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে ভূমিকা রাখতে থাকে৷
-
যুদ্ধ ও শান্তি: ন্যাটো ও ভেটোর ভূমিকা
রাশিয়ার সঙ্গে নতুন বিরোধ
পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোতে ন্যাটোর সম্প্রসারণ নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে দেখে রাশিয়া৷ ইউক্রেন যাতে ন্যাটোতে যোগ না দেয় সবশেষ সেই নিশ্চয়তা দাবি করে ক্রেমলিন৷ এমন প্রেক্ষিতে ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে হামলা শুরু করেন প্রেসিডেন্ট পুটিন৷ পূর্ব ইউরোপে নিজেদের সামরিক সক্ষমতা বাড়ালেও এই যুদ্ধে সরাসরি যুক্ত হবে না বলে জানিয়ে আসছে ন্যাটো৷ এই সংঘাত সামনে কোন দিকে মোড় নেবে তা সময়ই বলে দেবে৷
-
যুদ্ধ ও শান্তি: ন্যাটো ও ভেটোর ভূমিকা
নিরাপত্তা পরিষদ
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, নিরাপত্তা পরিষদের মূল উদ্দেশ্য বিশ্বে শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা৷ ১৫ সদস্যের মধ্যে স্থায়ী সদস্য পাঁচ পরমাণু শক্তিধর দেশ: চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র৷ তাদের সবার সম্মতি ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত পাস করা যায় না৷ বিপরীতভাবে কোনো সিদ্ধান্তে কেউ ভেটো দিলে তা বাতিল হয়ে যায়৷ বিভিন্ন সময়ে এই পাঁচ সদস্য তাদের স্বার্থ অনুযায়ী ভেটো ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়েছে৷
-
যুদ্ধ ও শান্তি: ন্যাটো ও ভেটোর ভূমিকা
সবচেয়ে বেশি রাশিয়া
ভেটো ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি প্রয়োগ করেছে রাশিয়া৷ ২৬৫টির মধ্যে ১১৯ বার ভেটো দিয়েছে তারা৷ ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত নিরাপত্তা পরিষদে যত ভেটো দেয়া হয়েছে তার সবগুলোই ছিল সোভিয়েত রাশিয়ার পক্ষ থেকে৷ শীতল যুদ্ধের যুগ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভেটো দিয়ে আসছে রাশিয়া৷ ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের তোলা পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবেও ভেটো দেয় রাশিয়া৷
-
যুদ্ধ ও শান্তি: ন্যাটো ও ভেটোর ভূমিকা
রাশিয়ার সহযোগী চীন
চীন মোট ১৬ বার ভেটো দিয়েছে, এর মধ্যে ১৩ বারই রাশিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে আর তিনবার এককভাবে৷ ১৯৭১ সালের ২৫ আগস্ট চীন তার প্রথম ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করেছিল জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপদ প্রাপ্তির বিরুদ্ধে৷
-
যুদ্ধ ও শান্তি: ন্যাটো ও ভেটোর ভূমিকা
ইসরায়েলের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র
ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগে রাশিয়ার পরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র৷ ৮২ বার তারা এই ক্ষমতা প্রয়োগ করেছে৷ এর অনেকগুলোই ছিল ইসরায়েলকে নিয়ে৷ মধ্যপ্রাচ্য ও ফিলিস্তিনে সংঘাত ও হামলা নিয়ে দেশটির বিরুদ্ধে আনা প্রস্তাবে বরাবরই ভেটো দিয়ে এসেছে ওয়াশিংটন৷ তবে ২০১৬ সালে ওবামা ক্ষমতায় থাকাকালে ইসারেয়েলের বসতিস্থাপন বন্ধে আনা একটি প্রস্তাবে ভোট দানে বিরত থাকে তারা৷
-
যুদ্ধ ও শান্তি: ন্যাটো ও ভেটোর ভূমিকা
সহযোগী যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স
যুক্তরাজ্য ২৯ বার ও ফ্রান্স ১৬ বার ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করেছে৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথভাবে বিভিন্ন প্রস্তাব নাকচ করেছে তারা৷ তবে ১৯৮৯ সালের পর ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য আর ভেটো ক্ষমতার ব্যবহার করেনি৷ সেবার পানামায় যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছিল দেশ তিনটি৷
-
যুদ্ধ ও শান্তি: ন্যাটো ও ভেটোর ভূমিকা
সবশেষ
নিরাপত্তা কাউন্সিলে তোলা প্রস্তাবে সবশেষ ভেটোর ঘটনাটি ঘটে চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি৷ ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা বন্ধ ও নিন্দা জ্ঞাপনের প্রস্তাব আনে কয়েক ডজন দেশ৷ তবে রাশিয়ার একার ভেটোতে তা বাতিল হয়ে যায়৷
লেখক: ফয়সাল শোভন
তুরস্কে কূটনীতিক পাঠাচ্ছে সুইডেন
বর্তমানে ন্যাটোর সদস্য সংখ্যা ৩০ টি৷ ফিনল্যান্ড ও সুইডেন সদস্য হতে আবেদন করলে তা গৃহীত হওয়ার জন্য এই দেশগুলোকে একমত হতে হবে৷ এরইমধ্যে তুরস্ক দেশ দুইটিকে ‘সন্ত্রাসীদের আশ্রয়দাতা’ হিসেবে উল্লেখ করেছে৷ গত সপ্তাহে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তাইয়্যেপ এর্দোয়ান জানিয়েছেন ফিনল্যান্ড, সুইডেনের ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়ে তাদের ‘মতামত নেতিবাচক'৷
তবে রোববার বার্লিনে ন্যাটো পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তুরুস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসোগলু সুইডেন ও ফিনল্যান্ডকে ‘সন্ত্রাসীদের’ সহায়তা দেয়া বন্ধ করা, নিরাপত্তার স্পষ্ট নিশ্চয়তা প্রদান এবং তুরস্কের উপর রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার শর্ত দেন৷
এমন অবস্থায় তুরস্কের সঙ্গে আলোচনার জন্য কূটনীতিক প্রতিনিধি পাঠাবে বলে সোমবার জানিয়েছেন সুইডেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিটার হুল্টকভিস্ট৷ সাংবাদিকদের তিনি বলেন, কূটনীতিকরা দেশটির ন্যাটোতে যোগদানের ব্যাপারে আঙ্কারার অভিযোগগুলো নিয়ে আলোচনা করবেন৷
এফএস/কেএম (রয়টার্স, এএফপি)
-
পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার কি আসন্ন!
সময়ের চাকা
ঠান্ডা যুদ্ধের সময় পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের আশঙ্কা সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছিল। পরমাণু অস্ত্র প্রদর্শনের আস্ফালনও ছিল চরম। সোভিয়েতের পতনের পর তা খানিকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছিল। বর্তমান সময়ে ফের পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের আশঙ্কা বেড়েছে বলে মনে করছেন কূটনীতিকদের একাংশ।
-
পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার কি আসন্ন!
রাশিয়ার অবস্থান
ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন রাশিয়ার নিউক্লিয়ার ফোর্সের জন্য বিশেষ অ্যালার্ট জারি করেছেন। আর তাতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে বিশ্বের একাধিক দেশ।
-
পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার কি আসন্ন!
রাশিয়ার নিউক্লিয়ার ক্ষমতা
রাশিয়ার হাতে সবচেয়ে বেশি পরমাণু অস্ত্র আছে। সবমিলিয়ে তাদের পরমাণু ওয়ারহেড ছয় হাজার ৩০০।
-
পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার কি আসন্ন!
অ্যামেরিকার পারমাণবিক শক্তি
ন্যাটোর সঙ্গে যৌথভাবে অ্যামেরিকার পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যা পাঁচ হাজার ৮০০। যদিও এই সংখ্যা আরো বেশ বলেও মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। অ্যামেরিকা সব অস্ত্রের খতিয়ান দেয়নি বলেই মনে করা হয়।
-
পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার কি আসন্ন!
ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্য
ফ্রান্সের হাতে আছে ৩০০ এবং যুক্তরাজ্যের হাতে ২১৫টি পরমাণু অস্ত্র আছে।
-
পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার কি আসন্ন!
চীনের শক্তি
বেজিংয়ের কাছে ৩২০টি পরমাণু অস্ত্র আছে। তবে চীনও গোপনে পরমাণু অস্ত্রের সম্ভার বাড়িয়েছে বলে মার্কিন গোয়েন্দাদের ধারণা।
-
পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার কি আসন্ন!
পরমাণু শক্তি ব্যবহারের মানসিকতা
পরমাণু শক্তি ব্যবহার করা হবে কি না, তা নিয়ে বিভিন্ন দেশের মানসিকতা আলাদা। ফ্রান্স এবং ব্রিটেন পরমাণু শক্তি ব্যবহারের পক্ষপাতী নয়। তাদের বক্তব্য, পরমাণু শক্তিকে সামনে রেখে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজতে হবে। পরমাণু শক্তি ব্যবহার করা যাবে না।
-
পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার কি আসন্ন!
মার্কিন অভিমত
অ্যামেরিকা মনে করে, প্রয়োজনে পরমাণু শক্তি ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু তার মাত্রা হবে কম। নির্দিষ্ট লক্ষ্যে তা পৌঁছে যাবে। এ কারণে, কম শক্তির পরমাণু অস্ত্র তৈরিতে জোর দিয়েছে অ্যামেরিকা। মার্কিন প্রশাসন মনে করে, কোনো না কোনো সময়ে কম শক্তির পরমাণু যুদ্ধ হবে।
-
পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার কি আসন্ন!
জার্মানির কুচকাওয়াজ
জার্মানির টর্নেডো যুদ্ধবিমানের ফাইটার পাইলটদের পরমাণু বোমা ফেলার ট্রেনিং দেওয়া হয়। জার্মানিতে সঞ্চিত মার্কিন পরমাণু বোমা যে কোনো সময় টর্নেডো বিমানের সাহায্যে বিশ্বের যে কোনো জায়গায় ফেলতে পারেন এই পাইলটরা। বছরে একবার নকল বোমা নিয়ে তারা কুচকাওয়াজ করে।
-
পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার কি আসন্ন!
নেদারল্যান্ড, বেলজিয়াম, ইটালি
এই তিন দেশও ন্যাটোর পরমাণু প্রকল্পের অংশ। এখানেও অ্যামেরিকার ১০০ থেকে ১৫০টি পরমাণু পরমাণু বোমা রাখা আছে। টর্নেডো বিমানে যা বহন করা যায়।
-
পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার কি আসন্ন!
পরমাণু অস্ত্র এবং আন্তর্জাতিক আইন
কম শক্তির পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রেও আন্তর্জাতিক আইনে নিষেধ আছে। এর শাস্তি চরম হতে পারে। তবে কম শক্তির পরমাণু অস্ত্র সমুদ্রে ব্যবহার করার সুযোগ এখনো আছে। এমনকী, যুদ্ধজাহাজ ধ্বংস করতেও তা ব্যবহার করা যেতে পারে।