1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি ভবন মালিকদেরও দায় রয়েছে’

৮ মার্চ ২০২৪

ঢাকার বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে ৪৪ জন মারা যাওয়ার ঘটনায় বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আলী আহমেদ খান দুই পক্ষেরই অবহেলা আছে বলে মনে করেন৷

https://p.dw.com/p/4dKAZ
‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’ টকশো-তে অতিথি হিসেবে আছেন বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আলী আহমেদ খান এবং নগর পরিকল্পনাবিদদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সভাপতি আদিল মুহাম্মদ খান৷
‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’ টকশোয়ের একটি দৃশ্যছবি: DW

তিনি বলেন, ‘‘ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি ভবন মালিকদেরও দায় রয়েছে৷''

দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি ও নগরায়নের কারণেও অনেক ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে বলে মনে করেন আলী আহমেদ খান৷

তিনি বলেন, ‘‘যেভাবে দ্রুত নগরায়ন ও শিল্পায়ন হয়েছে, তাতে অনেক ঝুঁকিও তৈরি হয়েছে৷''

ঢাকা শহর যে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ এর দায় আসলে কার, কোনো ঘটনা ঘটার পর একপক্ষ অন্যপক্ষকে দায়ী করার সংস্কৃতি বন্ধ হওয়া, দুর্নীতির কারণেই কি সারাদেশে বিভিন্ন স্থাপনা ঝুঁকিপূর্ণ থেকে যাচ্ছে বিষয়ে আলোচনা করতে ‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়' টকশো-তে অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আলী আহমেদ খান এবং নগর পরিকল্পনাবিদদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সভাপতি আদিল মুহাম্মদ খান৷ 

অনুষ্ঠানটির সঞ্চালক খালেদ মুহিউদ্দীনের এক প্রশ্নের জবাবে ফায়ার সার্ভিসের সাবেক পরিচালক বলেন, ‘‘ইন্ডিভিজুয়াল করাপশন থাকতে পারে, কিন্তু পুরো বাহিনীকে ঢালাওভাবে দোষ দেয়া যাবে না৷''

অনুষ্ঠানে উপস্থিত অপর অতিথি নগর পরিকল্পনাবিদদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সভাপতি আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ‘‘রাজউক এর তদন্ত করা উচিত যে এক সিঁড়ি দিয়ে কীভাবে বেইলি রোডের বাড়িটি মিশ্র (বাণিজ্যিক ও আবাসিক) ব্যবহারের অনুমোদন পায়৷ বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য অন্তত দুইটি সিঁড়ি থাকার কথা৷ আমি তিনটা সংস্থাকে দায়ী করবো প্রথমে রাজউক, তারপর ফায়ার সার্ভিস  ও সিটি কর্পোরেশন৷''

সবকিছুর ব্যবস্থা কেন প্রধানমন্ত্রীকে নিতে হবে এর সমালোচনা করে আলী আহমেদ খান বলেন, ‘‘সবকিছুই চলে যায় মাননীয় প্রধানন্ত্রীর কাছে৷ কোন একটা মন্ত্রণালয়কে তো দায় নিতে হবে৷ জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে হবে৷ রাজউক চলে আসলে সিবিএ দ্বারা৷''

এই বিষয়ে নগর পরিকল্পনাবিদ আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ‘‘শেয়ারের ভাগগুলো অবশ্যই উপরের টিয়ারে যায়৷ উপরের স্তরের কেউ আগ্রহী থাকলেও দুর্নীতি থামাতে পারে না, থামাতে গেলে তাকেই সরে যেতে হয়৷ কারণ আমাদের বাস্তবতা এমন অবস্থায় চলে এসেছে৷''

তবে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে শুধু রেস্তোরাঁর কর্মীদের কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে,  ভবন মালিকদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না এমন প্রশ্নের জবাবে আলী আহমেদ বলেন, ‘‘মালিককে দায় নিতে হবে আসলে৷ বাংলাদেশ একটা ছোট দেশ৷ সবাইকে সবাই চিনে৷ তাই আমরা আসলে অনেক সময় নেপটিজম থেকে বের হতে পারি না৷''

তিনি আরও বলেন, ‘‘এটাতো জঙ্গলে না, রাজধানীর বুকেই অনুমোদনহীন স্কুল চলছে৷ ডিমান্ড কিন্তু তৈরি হচ্ছে তাহলে সে অনুযায়ী পরিকল্পনা হচ্ছে না কেন? ২০ ফিট রাস্তার পাশে ১৩-১৪ তলা বিল্ডিং হচ্ছে, তো সে জায়গায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি পৌঁছালেও ক্রেন তো ঘুরাতে পারবে না৷ অধিকাংশই প্রতিষ্ঠানই একটা অবৈধ ব্যবস্থার অংশ হয়ে গেছে৷ আর  এই সুযোগটাই ভবন মালিকরা নিচ্ছে৷''

এসএইচ/এআই