ফার্মাগুলোর লক্ষ্য কি পালটে যাচ্ছে?
করোনা ভাইরাসের ফলে বিশ্বের বড় বড় ফার্মাগুলোর লক্ষ্য কি বদলে যাচ্ছে? এতদিন জায়ান্টদের ব্যবসার মূল কেন্দ্রে ছিল ক্যানসার রোগের ঔষধ৷ কিন্তু ভবিষ্যতে তাদের ব্যবসার মডেল সংক্রামক ভাইরাসকে ঘিরে তৈরি হতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলছে৷
প্রতিবেদন
সোমবার নতুন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বৈশ্বিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইওয়াই৷ তারা দেখিয়েছে, ২০১৯ সালে ক্যানসার সংক্রান্ত ঔষধ তৈরি ও গবেষণার ফলে বড় ফার্মাগুলো ১৯ হাজার ৬০০কোটি ডলার আয় করেছে৷ অন্যদিকে, সংক্রামক রোগের চিকিৎসায় তাদের আয় পাঁচ হাজার কোটির কিছু বেশি৷
বদলে যেতে পারে
২০২০ সালে করোনার কারণে বড় ফার্মাগুলোর মনোযোগ এরই মধ্যে সরে এসেছে অনেকখানি৷ সামনে এই মহামারির চিকিৎসার ঔষধ তৈরিতেই মনোযোগ সবচেয়ে বেশি হবে৷ এমনটি ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ কিন্তু প্রশ্ন হল, তা ব্যবসাসফল হবে তো?
বড় ফার্মাগুলো কী করবে?
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বড় ফার্মাগুলো তাদের দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্পগুলো থেকে সরে আসবে না৷ এছাড়া মহামারি সম্পর্কে আগে থেকে ধারণা করা যায় না৷ তাই ব্যবসার সব মনোযোগ এখানে সরিয়ে আনা সম্ভব নয় বলে মনে করেন অনেকে৷
ঘোলাটে পরিস্থিতি
ইওয়াইয়ের গবেষণা বলছে, এরই মধ্যে অনেকগুলো একত্রিত ও অধিগ্রহণ (এম অ্যান্ড এ) পরিকল্পনা বাতিল হয়ে গেছে৷ ইওয়াই-এর গবেষক আলেক্সান্ডার নুইকেন বলেন, ‘‘প্রতিষ্ঠানগুলো সময়ের সাথে খেলছে এবং দেখছে গ্রীষ্মের পর পরিস্থিতি কোনদিকে যায়৷’’
ভ্যাকসিন ভ্যাকসিন খেলা
এরই মধ্যে ১৬০টি সম্ভাব্য ভ্যাকসিন ও ২৪০টি থেরাপিউটিক এজেন্ট নিয়ে আলোচনা হচ্ছে৷ প্রায় ৭০০টি টেস্ট বাজারে এনেছে বড় ফার্মাগুলো৷ তবে ব্যবসার এই খেলায় সেই জিতবে যে আগে ভ্যাকসিন বাজারে আনবে, এতে কোন দ্বিমত নেই৷ তবে এই খেলায় তাড়াহুড়ো করলে বিপদ বাড়বে বলে মনে করেন নুইকেন৷ তিনি মনে করেন, ৯৭% ভ্যাকসিন অনুমোদন পাবে না৷
বিনিয়োগ বেড়েছে বলেই
বড় ফার্মাগুলো গেল কয়েক বছরে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে৷ জার্মান ফার্মা গবেষক গ্যের্ড স্ট্যুর্ৎস বলেন, ২০১৯ সালের নতুন গবেষণার জন্য বিনিয়োগের কারণেই ফার্মাগুলো বর্তমান সংকটে এত কার্যকরী ভুমিকা রাখতে পারছে৷