পোল্যান্ড গিয়ে দ্রুত ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের কথা বললেন মোদী
৪৫ বছর পর কোনো ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী পোল্যান্ড সফরে গেলেন। সেখানে গিয়েই ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে তার মত জানালেন মোদী।
আলোচনার মাধ্যমে
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত ও শান্তিপূর্ণভাবে ইউক্রেন সমস্যার সমাধান করতে হবে। যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত। পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডনাল্ড টুস্ক বলেছেন, ''প্রধানমন্ত্রী মোদী ইউক্রেন ও পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। তিনি আলোচনা ও কূটনৈতিক পথে সমস্যা সমাধানের উপর জোর দিয়েছেন।''
ইউক্রেনে মোদী
পোল্যান্ড থেকে ইউক্রেনে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই প্রথম তিনি ইউক্রেনে যাবেন। পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী টুস্ক বলেছেন, ''মোদীর এই ইউক্রেন সফর ঐতিহাসিক। আমরা মনে করি, এই যুদ্ধ থামানোর বিষয়ে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।''
কী বললেন মোদী
পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পর যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে মোদী বলেছেন, ''আমরা বিশ্বাস করি, যুদ্ধক্ষেত্রে কোনো সমস্যার সমাধান হয় না। আমরা শান্তি ফেরাবার জন্য আলোচনা ও কূটনৈতিক উদ্যোগ চাই। যত দ্রুত সম্ভব এই আলোচনা হোক।
টুস্কের বক্তব্য
টুস্ক বলেছেন, ''ইতিহাস আমাদের শিখিয়েছে, নিয়ম মানতে হবে, সীমান্ত, আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান জানাতে হবে।'' দুই নেতা দ্বিপাক্ষিক কৌশলগত সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা করেছেন। দুই দেশের মধ্যে দক্ষ কর্মী বিনিময় নিয়েও আলোচনা হয়েছে। মোদী বলেছেন, ''মধ্য ইউরোপে পোল্যান্ড হলো ভারতের অন্যতম প্রধান আর্থিক অংশীদার।''
ভারতের সমতা রক্ষার নীতি
ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার সুদৃঢ় সামরিক, বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক আছে। পশ্চিমা দেশের সঙ্গেও ভারতের নিরাপত্তা ক্ষেত্রে সহযোগিতার সম্পর্ক আছে। জুলাই মাসে মোদী রাশিয়া গিয়ে পুটিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তারপর এখন তিনি প্রথমে পোল্যান্ড গেছেন। শুক্রবার ইউক্রেন পৌঁছাবেন।
কেন পোল্যান্ড সফরকে গুরুত্ব
পোল্যান্ড হলো ইইউ ও ন্যাটোর সদস্য দেশ। তারা ইউক্রেনের সমর্থক দেশ। কিয়েভে পশ্চিমা সাহায্য পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে পোল্যান্ড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই মোদীর পোল্যান্ড সফর বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে।
মোদী ও জেলেনস্কি
তিন দশক পর কোনো ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইউক্রেন সফর করবেন। তবে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তারা তিনবার মিলিত হয়েছেন, কথা বলেছেন। তবে সেসবই ইউক্রেনের বাইরে কোনো আন্তর্জাতিক বৈঠকের সাইডলাইনে। গত জুন মাসে জি৭ শীর্ষবৈঠকের সাইডলাইনেও দুই নেতা মিলিত হয়েছিলেন। এবার ইউক্রেনে হবেন।