পোল্যান্ডে ধ্বংসস্তূপ থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই
সেপ্টেম্বরে ভয়াবহ বন্যায় পোল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বন্যায় অবকাঠামো ও ঘর-বাড়িও ভেঙে যায়। বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় ধীরে ধীরে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন সেখানকার মানুষ।
রেকর্ড পরিমাণ নদীর পানি বৃদ্ধি
চেক প্রজাতন্ত্রের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ পোল্যান্ডের বিয়ালা লাডেকা নদীর পানি রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পায় বন্যায়। নদীটির নিকটবর্তী এলাকার সকল অবকাঠামোই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার পানিতে ভেসে গেছে ঘরের আসবাবপত্রসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জরুরি সরঞ্জামাদিও।
আবাসন সংকট
গত দুই দশকের মধ্যকার সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় মানুষের বসতবাড়ির ক্ষতিসাধন হয়েছে ব্যাপকহারে। অধিকাংশ পাকা বাড়ির দেয়াল ধ্বসে গেছে। সংস্কারের আগ পর্যন্ত সেখানে থাকাও নিরাপদ মনে করছেন না বাসিন্দারা।
অবশিষ্ট নেই আঁকড়ে রাখার শেষ চিহ্নও
৬৯ বছর বয়সি লুসিয়ানা কুবিকা শূন্য দৃষ্টিতে তার ভেঙে যাওয়া বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। বন্য়ায় লুসিয়ানার বাড়িটির পাকা দেয়ালের ইটের সঙ্গে ভেসে গেছে এই দীর্ঘ জীবনের জমিয়ে রাখা সমস্ত স্মৃতি। লুসিয়ানা তার বড় মেয়ে ডোমিনিকাকে (৩৮) সঙ্গে নিয়ে বন্যার ঠিক আগ মুহূর্তে নিরাপদ আশ্রয়ে যান।
বিঘ্নিত যোগাযোগ ব্যবস্থা
শুধু মানুষের ঘর-বাড়িই নয়, বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থার অবকাঠামোও। দক্ষিণ পোল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকার রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ ব্যাপকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।অঞ্চলটির শহর ও গ্রাম সবজায়গাতেই এখন চোখে পড়বে ধ্বংসের চিহ্ন। অন্তত কয়েকশত কোটি ডলার প্রয়োজন হবে এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরন করতে।
আশ্রয়হীন গৃহপালিত প্রাণীও
লুসিয়ানার বাড়ির সামনের খোলা জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছে কয়েকটি মুরগী। লুসিয়ানার বাড়ির সঙ্গে ভেঙে গেছে গবাদি পশুর জন্য নির্ধারিত স্থানটিও। আপাতত তাদেরও ঠিকানা খোলা আকাশ।
সংস্কার ও নির্মাণ করা হচ্ছে ঘর-বাড়ি
৩৮ বছর বয়সি জোয়ান্না সরকো, তার স্বামী ও দুই সন্তান নিয়ে থাকতেন স্ট্রোনি স্লাস্কি এলাকায়। দুই প্রজন্ম ধরে যে বাড়িটিতে থাকতেন, সেই বাড়ি হারিয়ে শোকে পাথর জোয়ান্না। এ মুহূর্তে তারা এই বাড়িটিতে আর ফিরছেন না। কাছাকাছি কোনো নিরাপদ জায়গায় নতুনভাবে শুরু করবেন বাড়ি বানানোর কাজ।