কক্সবাজারে হামলা
৪ অক্টোবর ২০১২২৯ সেপ্টেম্বর, অর্থাৎ শনিবার রাতে শুরু হয়ে পরের রাত পর্যন্ত চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক হামলা চলেছে সে অঞ্চলের বৌদ্ধমন্দির এবং বৌদ্ধদের বসতিতে৷ দৈনিক কালের কন্ঠ পত্রিকার কক্সবাজার প্রতিনিধি তোফায়েল আহমেদ পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে দেখেছেন, ঘটনার সূত্রপাত কী করে হলো, কেমন করে চুরমার হলো মন্দির, আগুনে ছাই হলো শত শত বসতি৷ দেখেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তাও৷
কর্তৃপক্ষের কারো কারো সঙ্গে কথা বলে তাঁর ধারণা হয়েছে, প্রশাসন রামু এলাকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দীর্ঘ অতীতের কথা ভেবে হয়তো ধরে নিয়েছিল সামান্য একটা ঘটনা সামান্যই থাকবে, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বড় রূপ নেবেনা৷ কিন্তু বাস্তবে তাই হয়েছে৷ ঘটনা শুরুর অনেক পর ঘটনাস্থলে গিয়েও আইনশৃঙ্খখলা রক্ষাকারী বাহিনী যে ভূমিকা পালন করেছে তার কারণ অবশ্য তোফায়েল আহমেদের কাছে পরিষ্কার নয়৷ স্থানীয়দের সবাই মনে করেন তখন একটা ফাঁকা গুলি করে ভয় দেখালেও হয়তো হামলাকারীরা সরে যেতো৷
এ ঘটনার পর স্থানীয় সংখ্যালঘুদের মধ্যে পুলিশের প্রতি ক্ষোভ অনেক বেড়ে গেছে বলেও ডয়চে ভেলেকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন তোফায়েল আহমেদ৷ সেই রাতে বৌদ্ধরা তাঁদের ঘরবাড়ি, মন্দির রক্ষার জন্য পুলিশকে অনুরোধ জানিয়েও নাকি সাড়া পাননি৷ পুলিশ বলেছে, কোনো চিন্তা না করে সবাইকে বাড়িঘর ছেড়ে চলে যেতে৷ সব হারানোর পর ক্ষতিগ্রস্তরা স্বভাবতই খুব ক্ষুব্ধ৷ পুলিশ দেখে মহিলারা তাড়া করেছেন এমন ঘটনাও ঘটেছে বলে জানালেন তোফায়েল আহমেদ৷
সাক্ষাৎকার: আশীষ চক্রবর্ত্তী
সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী