পুরুষ অধিকার রক্ষায় সংগ্রাম!
১১ মার্চ ২০১৩ঐ এলাকার অবস্থান আমাদের পাশেই৷ ভারতের মেঘালয় রাজ্যে৷ সেখানকার খাসিয়া সম্প্রদায়ে নারীরাই হচ্ছেন পরিবারের প্রধান৷ উত্তরাধিকার সূত্রে পরিবারের সবচেয়ে ছোট মেয়েটি সম্পত্তির মালিক হয়ে থাকে৷ এমনকি কোনো মা-বাবা'র মেয়ে সন্তান না থাকলে তাদেরকে মারা যাওয়ার আগে বাধ্যতামূলকভাবে একটি মেয়েকে দত্তক নিতে হয় যেন তাকে সম্পদের মালিকানা দেয়া যায়৷
আরও নিয়ম আছে৷ বিয়ের পর পুরুষকে গিয়ে থাকতে হবে স্ত্রীর বাড়িতে৷ আর সন্তানকে নিতে হবে মায়ের পারিবারিক নাম৷
যুগ যুগ ধরে এই প্রথা চলে আসছে খাসিয়াদের মধ্যে৷ ভারতের মেঘালয় রাজ্য ছাড়াও বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলেও খাসিয়ারা বাস করছেন৷ সব মিলিয়ে এই সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা প্রায় দশ লক্ষ৷
কথা হচ্ছিল অধিকার নিয়ে৷ খাসিয়া পুরুষদের এই অবস্থা থেকে উত্তরণে গঠিত হয়েছে শিংকখ রিম্পাই থিমাই বা এসআরটি নামের একটি সংগঠন৷ নারী প্রধান সমাজে পুরুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এই সংস্থার উদ্দেশ্য৷
সংস্থার সভাপতি ৬০ বছরের ব্যবসায়ী কিথ পারিয়াত বলেন, মাতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থা খাসিয়া পুরুষদের বেশ ক্ষতি করছে৷ কেননা তাদের যেহেতু শাশুড়ির বাড়ি গিয়ে থাকতে হয় তাই তাদের কথার কোনো মূল্য দেয়া হয়না৷ ফলে খাসিয়া পুরুষরা মনে করে তাদের কাঁধে কোনো দায়িত্ব নেই৷ তাই তারা মাদক সেবন থেকে শুরু করে অ্যালকোহলের দিকে ঝুঁকে জীবনকে শেষ করে দিচ্ছে৷
এছাড়া খাসিয়া তরুণরা যেহেতু কোনো সম্পদের মালিক নয় তাই খাসিয়া মেয়েরা তাদের বিয়ে করতে আগ্রহী হচ্ছে না৷ বরং তারা সম্প্রদায়ের বাইরে বিয়ে করতেই বেশি আগ্রহী হচ্ছে৷
তবে পুরুষ অধিকারের এই সংগ্রাম নতুন নয়৷ গত শতকের ষাটের দশকেও একবার এমন আন্দোলন গড়ে উঠছিল৷ তখন খাসিয়া মেয়েরাই ছুরি হাতে গিয়ে আন্দোলন ভণ্ডুল করে দিয়েছিল৷
এরপর ১৯৯০ সালে নতুন করে সংগ্রাম শুরু করে এসআরটি সংস্থা৷ দেখা যাক, তারা সফল হয় কিনা৷
জেডএইচ / এসবি (এএফপি)