1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পুরুষ অধিকার রক্ষায় সংগ্রাম!

১১ মার্চ ২০১৩

হ্যাঁ...পাঠক আপনি ঠিকই পড়েছেন৷ ওটা নারী অধিকার রক্ষা নয়, পুরুষ অধিকার রক্ষাই হবে৷ কারণ যে অঞ্চলের কথা বলা হচ্ছে সেখানে পুরুষের কোনো অধিকার নেই৷

https://p.dw.com/p/17uju
Shillong, INDIA: In this picture taken 25 May 2006 in Shillong, in India's northeastern state of Meghalaya, an Indian Khasi tribal woman sells fruits and vegetables at the marketplace. Under the Khasi tribe's matrilineal custom, women run the markets, inherit the property while their children carry the clan name of their mothers. But modern Khasi women want the system to change as they say it puts too much responsibility on their shoulders. AFP PHOTO/Bryan PEARSON (Photo credit should read BRYAN PEARSON/AFP/Getty Images)
ছবি: BRYAN PEARSON/AFP/Getty Images

ঐ এলাকার অবস্থান আমাদের পাশেই৷ ভারতের মেঘালয় রাজ্যে৷ সেখানকার খাসিয়া সম্প্রদায়ে নারীরাই হচ্ছেন পরিবারের প্রধান৷ উত্তরাধিকার সূত্রে পরিবারের সবচেয়ে ছোট মেয়েটি সম্পত্তির মালিক হয়ে থাকে৷ এমনকি কোনো মা-বাবা'র মেয়ে সন্তান না থাকলে তাদেরকে মারা যাওয়ার আগে বাধ্যতামূলকভাবে একটি মেয়েকে দত্তক নিতে হয় যেন তাকে সম্পদের মালিকানা দেয়া যায়৷

আরও নিয়ম আছে৷ বিয়ের পর পুরুষকে গিয়ে থাকতে হবে স্ত্রীর বাড়িতে৷ আর সন্তানকে নিতে হবে মায়ের পারিবারিক নাম৷

SHILLONG, INDIA - APRIL 16: A mother stands with her tribal Khasi son dressed in traditional costume during the Shad Suk Mynsiem Festival on April 16, 2012 in Shillong, Meghalaya. Shad Suk Mynsiem, literally meaning, Dance of the joyful soul, is one of the most important festivals of the Khasis, the indigenous tribe of Meghalaya's Khasi Hills. It is an annual thanksgiving dance festival, when people of the Khasis tribes offer prayer to God for a bumper harvest. The maidens dressed in expensive silk costumes with heavy gold, silver and coral ornaments dance in the inner circle of the arena. The men form an outer circle and dance to the accompaniment of traditional music. The festival lasts for three days. (Photo by Daniel Berehulak /Getty Images)
ভারতের মেঘালয় রাজ্যে বসবাসরত খাসিয়া সম্প্রদায়ে নারীরাই হচ্ছেন পরিবারের প্রধানছবি: Getty Images

যুগ যুগ ধরে এই প্রথা চলে আসছে খাসিয়াদের মধ্যে৷ ভারতের মেঘালয় রাজ্য ছাড়াও বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলেও খাসিয়ারা বাস করছেন৷ সব মিলিয়ে এই সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা প্রায় দশ লক্ষ৷

কথা হচ্ছিল অধিকার নিয়ে৷ খাসিয়া পুরুষদের এই অবস্থা থেকে উত্তরণে গঠিত হয়েছে শিংকখ রিম্পাই থিমাই বা এসআরটি নামের একটি সংগঠন৷ নারী প্রধান সমাজে পুরুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এই সংস্থার উদ্দেশ্য৷

সংস্থার সভাপতি ৬০ বছরের ব্যবসায়ী কিথ পারিয়াত বলেন, মাতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থা খাসিয়া পুরুষদের বেশ ক্ষতি করছে৷ কেননা তাদের যেহেতু শাশুড়ির বাড়ি গিয়ে থাকতে হয় তাই তাদের কথার কোনো মূল্য দেয়া হয়না৷ ফলে খাসিয়া পুরুষরা মনে করে তাদের কাঁধে কোনো দায়িত্ব নেই৷ তাই তারা মাদক সেবন থেকে শুরু করে অ্যালকোহলের দিকে ঝুঁকে জীবনকে শেষ করে দিচ্ছে৷

এছাড়া খাসিয়া তরুণরা যেহেতু কোনো সম্পদের মালিক নয় তাই খাসিয়া মেয়েরা তাদের বিয়ে করতে আগ্রহী হচ্ছে না৷ বরং তারা সম্প্রদায়ের বাইরে বিয়ে করতেই বেশি আগ্রহী হচ্ছে৷

তবে পুরুষ অধিকারের এই সংগ্রাম নতুন নয়৷ গত শতকের ষাটের দশকেও একবার এমন আন্দোলন গড়ে উঠছিল৷ তখন খাসিয়া মেয়েরাই ছুরি হাতে গিয়ে আন্দোলন ভণ্ডুল করে দিয়েছিল৷

এরপর ১৯৯০ সালে নতুন করে সংগ্রাম শুরু করে এসআরটি সংস্থা৷ দেখা যাক, তারা সফল হয় কিনা৷

জেডএইচ / এসবি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য