পুজোর আগে ভারতের বাজারে পদ্মার ইলিশ
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩বুধবার বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এই কথা জানিয়েছে। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, মোট ৭৯ টি সংস্থাকে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি সংস্থা সর্বোচ্চ ৫০ ম্যাট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি করতে পারবে। বলা হয়েছে, যে কোনো সময় বাংলাদেশ এই অনুমতি তুলে নিতে পারে। সংস্থাগুলিকেও তখন রপ্তানি বন্ধ করে দিতে হবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও রপ্তানি উইংয়ের প্রধান মো. আব্দুর রহিম খান বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে (বাসস) বলেন, ‘ভারত আমাদের নিকটতম প্রতিবেশি ও বন্ধুপ্রতিম দেশ। তারা আমাদের বাণিজ্যের বড় অংশীদার। তাই, এবারও আসন্ন দুর্গাপূজায় শুভেচ্ছা স্বরূপ সেদেশে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’’
২০২২ সালে সেপ্টেম্বর মাসে ভারত সফরে এসেছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে সময় ভারতে ইলিশ পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ। এবারও প্রায় কাছাকাছি সময়েই ইলিশ রপ্তানি করছে ঢাকা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত রপ্তানির এই অনুমতি বহাল থাকবে। তবে যে কোনো সময় প্রয়োজনে তা বাতিল করা হতে পারে৷ সেক্ষেত্রে যে সংস্থাগুলিকে রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তাদের তা মানতে হবে। একটি সংস্থা কোনোভাবেই ৫০ মেট্রিক টনের বেশি ইলিশ সরবরাহ করতে পারবে না।
বাংলাদেশের বক্তব্য, এর ফলে দেশের বাজারে ইলিশের জোগানে টান পড়বে না। অন্যদিকে, ভারতের বাজারে ইলিশের চাহিদা বাড়ছে। বিশেষ করে কলকাতার বাজারে ঢাকার ইলিশ ঢোকার খবর খুশির জোয়ার নিয়ে এসেছে। কলকাতার বাজারে এখন যে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে ভারতীয় মুদ্রায় তার দাম পড়বে ১২০০-১৪০০। পাতিপুকুর পাইকারি বাজারের এক বিক্রেতা ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ‘‘বাংলাদেশের ইলিশ ঢুকলে পশ্চিমবঙ্গের ইলিশের দাম একদিকে যেমন কমবে, তেমনই পদ্মার ইলিশের চাহিদা রাতারাতি বেড়ে যাবে।’’ বিক্রেতাদের অনুমান, বাংলাদেশেরইলিশ ১৮০০-২২০০ রুপিতে খোলা বাজারে বিক্রি হবে।
এসজি/জিএইচ (বিএসএস, পিটিআই, বাসস)