যত দূর মনে পড়ছে ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগের ঘটনা। সে বার নবান্ন অভিযান করেছিল সিপিএম। পুলিশের সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষ হয়েছিল সিপিএম কর্মীদের। বেছে বেছে সে বার সাংবাদিকদের রাস্তায় ফেলে পিটিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে কলকাতা এবং হাওড়ায় যা ঘটল, তা ওই দিনের চেয়েও ভয়াবহ।
বৃহস্পতিবারের ঘটনার সঙ্গে ২০১৭ সালের ঘটনার অবশ্য অনেক তফাত। ওই দিনের মিছিল কভার করতে যাওয়া পেশাদার সাংবাদিকদের বেধরক পিটিয়েছিল পুলিশ। অন্তত ৫০ জন সাংবাদিককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করতে হয়েছিল হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার পুলিশ যাঁদের পিটিয়েছে, রঙিন জল ভরা জল কামান দেগে যাঁদের সাধারণ মানুষ থেকে আলাদা করে দিয়েছে তাঁরা মূলত বিজেপি কর্মী। বৃহস্পতিবারের একাধিক মিছিল থেকে ওই বিজেপি কর্মীরা যে যথেষ্ট উস্কানি দিয়েছিল, তাও পরিষ্কার। হাওড়া ময়দানে তাঁরা বোমা ফাটিয়েছে বলে অভিযোগ। কর্মী সমর্থকদের কাছ থেকে পিস্তল উদ্ধার হয়েছে বলে অভিযোগ। বিজেপির একাধিক মিছিল থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে নাগাড়ে ইট এবং বোতল ছোড়া হয়েছে। ভাঙা হয়েছে পুলিশের ব্যারিকেড। ফলে পুলিশও পাল্টা মার দিয়েছে। যাতে গুরুতর আহত হয়েছেন বিজেপির উত্তর কলকাতার নেতা রাকেশ সিং, রাজ্যের শীর্ষস্থানীয় নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় নেতা অরবিন্দ মেননের উপরেও লাঠিচার্জ হয়েছে। তিনিও আহত হয়েছেন।
কলকাতায় এমন ঘটনা যে খুব নতুন, এ কথা বলা যায় না। বাম আমলে পুলিশের গুলিতে ২১ জুলাই একাধিক কংগ্রেস কর্মী নিহত হয়েছিলেন। যা নিয়ে পরে কমিশনও বসেছিল। সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম আন্দোলন পর্বে পুলিশ ট্রিগার হ্যাপি হয়ে গিয়েছিল বলে অনেকেই মনে করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশও সেই একই পথে হেঁটেছে।
প্রশ্ন মারমুখী পুলিশের চেহারা নিয়ে নয়। এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির চরিত্র নিয়ে। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি হিংসাত্মক ছিল না, এ কথা বলছি না। কিন্তু ৩৬৫ দিন যে ভাবে খুন-খারাপির রাজনীতি শুরু হয়েছে গত কয়েক বছর ধরে, পরিস্থিতি সম্ভবত এতটাও ঘোলাটে ছিল না। গোটা ভারতে পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম পরিচয় মিছিল নগরী বলে। যে কোনও ঘটনায় এখানকার রাজনৈতিক দলগুলি এবং সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করেন-- এ কথা সর্বজনবিদিত। যা জানা ছিল না, তা হলো, প্রতিবাদ করলেই আক্রান্ত হতে হয়। বর্তমানে ঠিক সেটাই ঘটছে। ব্যক্তিগত ভাবে কে কোন রাজনীতির পক্ষে, তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। জরুরি কথা হলো, সকলেই প্রতিবাদ করার সমান সুযোগ পাবেন। বিরোধী রাজনীতি করলেই খুন হয়ে যেতে হবে, এ কথা খুব গণতান্ত্রিক নয়। অথচ সেটাই ঘটছে। বিরোধী রাজনীতি করলে মেরে গাছে টাঙিয়ে দেওয়া হবে, এ বড় সভ্যতার চিহ্ন নয়। অথচ সেটাই ঘটছে। প্রতিদিন রাজ্যের কোনও না কোনও প্রান্তে খুন হচ্ছে। বিরোধীদের সঙ্গে শাসকদল তৃণমূলের লোকেরাও মারা যাচ্ছেন। গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে জেরবার শাসকদল। এর দায় কে নেবে?
-
বিজেপিকে চিনে নিন
আদর্শগত উৎস
বিজেপিকে চিনতে হলে ‘সংঘ পরিবার’-এর অন্তর্গত হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠনগুলির উৎস আরএসএস অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘকে জানা দরকার৷ বিশ্বের বৃহত্তম এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা মারাঠি চিকিৎসক কেশব হেডগেওয়ার৷ ১৯২৫ সালে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন তিনি৷ ভি ডি সাভারকরের ‘হিন্দুত্ব’ চিন্তাধারায় অনুপ্রাণিত হয়ে হিন্দু রাষ্ট্র নির্মাণই আরএসএস-এর প্রধান উদ্দেশ্য৷
-
বিজেপিকে চিনে নিন
স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে দূরত্ব
কংগ্রেসের নেতৃত্বে চলা ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে দূরে ছিল আরএসএস৷ ১৯৪০-এর দশকে সংগঠনের নেতা হিসেবে এম এস গোলওয়ালকর হিন্দু রাষ্ট্র গড়তে ব্রিটিশ বিরোধিতার বদলে ধর্ম ও সংস্কৃতি রক্ষার ডাক দেন৷ উল্লেখ্য, পরবর্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়া অটলবিহারী বাজপেয়ী ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের সময় সত্যাগ্রহীদের সাথে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন৷ লিখিত মুচলেকা দিয়ে আন্দোলনে জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে ছাড়া পান তিনি৷
-
বিজেপিকে চিনে নিন
দেশভাগ ও আরএসএস
দেশভাগের সময় আরএসএস পশ্চিম পাঞ্জাব থেকে আসা হিন্দু উদ্বাস্তুদের সাহায্য করে৷ আরএসএস ও বর্তমানের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির কর্মীরা মনে করেন, দেশভাগ মুসলিমদের প্রতি নরম আচরণের ফল৷ এজন্য গান্ধী ও নেহরুকে বিশেষভাবে দায়ী মনে করেন তাঁরা৷ স্বাধীনতার পর কংগ্রেসকে ঠেকাতে ১৯৫১ সালে জনসংঘ প্রতিষ্ঠা করেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়৷ সেই জনসংঘই আসলে বিজেপির উৎস৷
-
বিজেপিকে চিনে নিন
জরুরি অবস্থা ও জনতা পার্টির জন্ম
১৯৭৫ সালে ইন্দিরা গান্ধী জরুরি অবস্থা জারি করেন৷ বিক্ষোভে অংশ নেয়ার কারণে জনসংঘের অসংখ্য সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়৷ ১৯৭৭ সালে জরুরি অবস্থা শেষে অনুষ্ঠিত হয় নির্বাচন৷ কংগ্রেসকে হারাতে অন্যান্য দলের সঙ্গে মিলে যায় জনসংঘ, জন্ম নেয় জনতা পার্টি৷ নির্বাচনে জিতেও যায় জনতা পার্টি৷ প্রধানমন্ত্রী হন মোরারজি দেশাই৷ স্বাধীন ভারতে সূচিত হয় হিন্দুত্ববাদীদের প্রথম গুরুত্বপূর্ণ জয়৷
-
বিজেপিকে চিনে নিন
বিজেপির জন্ম
১৯৮০’র পর দল ও আরএসএসের দ্বৈত সদস্য হবার বিধান না থাকায় জন্ম নেয় ভারতীয় জনতা পার্টি৷ নতুন দলে নতুন সদস্য যোগ দিলেও, গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিল পুরোনোদের দাপট৷ প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হন বাজপেয়ী৷ মূলত, ইন্দিরা হত্যার পর ভোটে খারাপ করার কারণেই নেতৃত্বে এই পরিবর্তন৷ তবে বিজেপির উত্থান শুরু ১৯৮৪ সালে৷ সে বছর দলের সভাপতি হন লালকৃষ্ণ আডবানি৷ রাম জন্মভূমির দাবিকে ঘিরে তাঁর নেতৃত্বেই শক্তিশালী হতে থাকে বিজেপি৷
-
বিজেপিকে চিনে নিন
ধর্মভিত্তিক রাজনীতি ও বাবরি মসজিদ
নব্বইয়ের দশকের শুরু থেকেই বিজেপি সরাসরি ধর্মের রাজনীতিতে নামে৷ বাবরি মসজিদের জায়গায় রাম মন্দির গঠনের দাবিতে সারা দেশ থেকে অযোধ্যার পথে রওয়ানা দেয় হাজার হাজার ‘করসেবক’৷ পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ফলে বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে উত্তেজিত জনতা বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলে৷ এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় নিহত হন দু’ হাজারেরও বেশি মানুষ৷
-
বিজেপিকে চিনে নিন
সরকার গঠন ও জোটের রাজনীতি
সাম্প্রদায়িক আবেগকে হাতিয়ার করে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে বিজেপি ১৬১টি লোকসভা আসনে জয়ী হয়৷ প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেন অটলবিহারী বাজপেয়ী৷ কিন্তু ১৩ দিন পর, লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে ব্যর্থ হওয়ায় সরকার গঠন করতে পারেনি বিজেপি৷ ১৯৯৬ সালে আঞ্চলিক দলগুলির একটি জোট সরকার গঠন করে৷ কিন্তু সেই সরকারের স্থায়িত্ব দীর্ঘ হয়নি৷ ১৯৯৮ সালে আবার নির্বাচন হয়৷
-
বিজেপিকে চিনে নিন
প্রথম এনডিএ সরকার
নির্বাচনে জিতে বিজেপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ) সরকার গড়ে৷ জোটে অংশগ্রহণ করে সমতা পার্টি, অকালী দল, শিব সেনা, নিখিল ভারত আন্না দ্রাবিড় মুন্নেত্র কড়গম (এআইএআইডিএমকে), বিজু জনতা দল ও শিব সেনা৷ ১৯৯৯ সালে তাঁরা সংসদে ৩০৩টি আসন জিতলে বাজপেয়ী তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন৷ পাঁচ বছরের পূর্ণমেয়াদী এই জোট সরকার প্রতিরক্ষা ও সন্ত্রাসের মোকাবিলার পাশাপাশি নব্য-উদার অর্থনীতির ওপর জোর দেয়৷
-
বিজেপিকে চিনে নিন
দুর্নীতি ও দাঙ্গায় কোণঠাসা বিজেপি
বিজেপির জয়রথে প্রথম ‘বাধা’ গোধরা দাঙ্গা৷ তীর্থযাত্রীবাহী ট্রেনে আগুন লাগাকে ঘিরে প্রায় ২০০০ মানুষ মারা যান৷ তৎকালীন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীসহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিজেপি নেতার নাম এই দাঙ্গার সাথে জড়ায়৷ বিজেপি-প্রধান বঙ্গারু লক্ষ্মণের বিরুদ্ধে ওঠে দুর্নীতির অভিযোগ৷ সব মিলিয়ে বিপন্ন বিজেপিকে হারিয়ে কংগ্রেসের নেতৃত্বে ইউপিএ জোট ২০০৪ সালে নতুন সরকার গড়ে৷ প্রধানমন্ত্রী হন মনমোহন সিং৷
-
বিজেপিকে চিনে নিন
নেতৃত্বে কে? মোদী, না আডবাণী?
২০১৪’র লোকসভা নির্বাচনে জেতার পর নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনীত করে বিজেপি৷ অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, দলের নেতৃত্বের দায়ভার বর্ষীয়ান নেতা এল কে আডবানির ওপর বর্তানোর কথা উঠলেও, বাস্তবে তা হয়নি৷
-
বিজেপিকে চিনে নিন
মোদীর উত্থান
বিজেপির ইতিহাসে ব্যক্তিকেন্দ্রীক নির্বাচনী প্রচার মোদীর ক্ষেত্রেই প্রথম৷ পূর্ববর্তী সরকারের দুর্নীতির সুযোগ নিয়ে মোদীর ‘গুজরাট মডেল’-কে আদর্শ হিসেবে তুলে ধরা হয় প্রচারে৷ সুবক্তা মোদী শীঘ্রই হয়ে ওঠেন তরুণ প্রজন্ম থেকে সংবাদমাধ্যম, সকলের প্রিয়পাত্র৷ নির্বাচনের আগে বিজেপি হিন্দু জাতীয়তাবাদকে যতটা সম্ভব এড়িয়ে গেলেও, মোদীর প্রাক-নির্বাচন বক্তব্যের বড় অংশ জুড়েই ছিল ‘হিন্দুত্ব’৷
-
বিজেপিকে চিনে নিন
মোদী থেকে ‘মোদীজি’
২০১৪ সালে বিজেপি ২৮২টি আসন জিতে ক্ষমতায় আসে৷ ভোটারদের কংগ্রেসের প্রতি অনাস্থার পাশাপাশি বিজেপির সাফল্যের আরেকটি কারণ ছিল আরএসএসের নিঃশর্ত সমর্থন৷ নরেন্দ্র মোদীই হন প্রধানমন্ত্রী৷ পিউ গবেষণা কেন্দ্রের একটি সমীক্ষা জানাচ্ছে, প্রথম বছরের তুলনায় বর্তমানে মোদীর জনপ্রিয়তা আরো বেড়েছে, যা ২০১৯-র নির্বাচনে কংগ্রেস-সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলির জন্যও নিঃসন্দেহে ভাবনার বিষয়৷
লেখক: শবনম সুরিতা
এর দায় নিতে হবে শাসককেই। প্রশাসন যদি শক্ত হয়, শাসক যদি আইনের শাসন কায়েম রাখে, তা হলে এমন ঘটনা ঘটতে পারে না। খুন কখনওই রাজনৈতিক বার্তা হতে পারে না। খুনোখুনি আইনশৃঙ্খলার বিষয়। আইন দিয়েই প্রশাসনকে তার মোকাবিলা করতে হবে। সমস্যা হলো, পশ্চিমবঙ্গে তা ঘটছে না। দীর্ঘ দিন ধরেই ঘটছে না।
দায় নিতে হবে বিরোধীদেরও। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি যে রাজনীতির আমদানি ঘটিয়েছে, তা মোটেই খুব শান্তিপূর্ণ নয়। ভেদাভেদের রাজনীতি করে মানুষকে উত্তেজিত করে দেওয়া মোটেই বৈধ রাজনৈতিক পথ নয়। প্রতিবাদ করাটা অধিকার। বিক্ষোভ দেখানোও অধিকার। কিন্তু প্রতিবাদের নামে ইটবৃষ্টি, বোতলবৃষ্টি গণতান্ত্রিক দেশে বৈধ হতে পারে না। বৃহস্পতিবার আন্দোলনের নামে বিজেপি যে কাজ করেছে, তা সমর্থনযোগ্য নয়। সমর্থনযোগ্য নয়, যে কায়দায় পুলিশ তা প্রতিরোধ করেছে।
স্যমন্তক ঘোষ, ডয়চে ভেলে
কলকাতার রাস্তায় জল কামানের ব্যবহার এর আগেও অনেক হয়েছে। ২০১৭ সালের বাম মিছিলে যে সাংবাদিকরা মার খেয়েছিল, এই অধমও তার একজন। অন্তত এক দশক কলকাতায় রাজনৈতিক মিটিং মিছিল কভার করেছি, কিন্তু কোনোদিন এমন রঙিন জলের ব্যবহার দেখিনি। অনেকেই হাসাহাসি করছেন পুলিশের অমন রঙিন জল ব্যবহার করে প্রতিবাদকারীদের 'ভূত' বানিয়ে দেওয়ায়। বিষয়টা কি সত্যিই হাসির? প্রতিবাদকারীকে এ ভাবে জনবিচ্ছিন্ন করার জন্য রঙিন জল ব্যবহার করা কি খুব গণতান্ত্রিক? ফ্যাসিস্ট দেশে এমন হয় শুনেছি।
২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গে ভোট। নির্বাচন যত এগোচ্ছে, সহিংসতা ততই বাড়ছে। এর দায় প্রশাসনকে নিতে হবে। এর দায় রাজনৈতিক দলগুলিকেও নিতে হবে। মুশকিল হলো, কেউ কোনও দায় নেয় না। সকলেই ভুলে যায়, অন্যের দিকে একটা আঙুল তুললে, নিজের দিকে বাকি তিনটে আঙুল থাকে।