পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য প্রয়াত
৮ আগস্ট ২০২৪বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। পশ্চিমবঙ্গের ৩৪ বছরের বাম জমানায় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ছিলেন শেষ বাম মুখ্যমন্ত্রী।
সুচেতন জানিয়েছেন, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বৃহস্পতিবার প্রাতঃরাশ খাচ্ছিলেন। সেই সময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পাম অ্যাভিনিউয়ের বাসভবনেই তিনি মারা যান।
বেশ কিছুদিন ধরে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। গত কয়েক বছর তিনি ঘরবন্দি ছিলেন। বেশ কয়েকবার হাসপাতালে ভর্তি হন। তার আগে তিনি কোভিডেও আক্রান্ত হয়েছিলেন।
জ্যোতি বসুর পরে মুখ্যমন্ত্রী হন বুদ্ধদেব। তিনিই উদ্যোগ নিয়ে রাজ্যে শিল্পায়নের জন্য টাটাদের সিঙ্গুরে নিয়ে এসেছিলেন। শিল্পপতিরা যাতে রাজ্যে বিনিয়োগ করেন, তার চেষ্টা করেছেন। তার মুখ্যমন্ত্রিত্বের সময়ে সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রাম আন্দোলন তীব্র হয়ে ওঠে। বামশাসনের অবসান ঘটে।
ছাত্রনেতা থেকে রাজ্যের মন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তিনি ছিলেন সংস্কৃতিমনস্ক মানুষ, সুলেখক, স্বাধীনচেতা ও কবি সুাক্নত ভট্টাচার্যের আত্মীয়। ২০২২ সালে তিনি পদ্মভূষণ প্রত্যাখ্যান করেন।
'দেহ দান করা হবে'
পশ্চিমবঙ্গ সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ সেলিম জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকালে তার দেহ বাড়িতে রাখা হবে আত্মীয়-বন্ধুদের শ্রদ্ধা জানাবার জন্য। শুক্রবার সকালে তা আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের দলীয় অফিসে আনা হবে। সেখান থেকে শুরু হবে শেষ যাত্রা। সেলিম জানিয়েছেন, বুদ্ধবাবু দেহদান করে গিয়েছিলেন। সেইমতো এসএসকেএম হাসপাতালে দেহ দান করা হবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের শোক
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে বলেছেন, ''বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের আকস্মিক প্রয়াণে আমি মর্মাহত। বিগত কয়েক দশক ধরেই আমি তাঁকে চিনতাম এবং গত কয়েক বছরে তিনি যখন অসুস্থ ছিলেন তখন আমি কয়েকবার তাঁকে বাড়িতে দেখতে গেছি। এই মুহূর্তে আমি খুব দু:খিত বোধ করছি। এই শোকের সময়ে মীরাদি এবং সুচেতনের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাই। আমি সিপিআই(এম) দলের সকল সদস্য-সদস্যা, সমর্থক এবং তাঁর সমস্ত অনুগামীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।''
জিএইচ/এসজি