ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কমকে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তাহমিলুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে টিকিট কাটা নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে এ ঘটনা ঘটে।
এ হামলায় জড়িত অভিযোগে পাঁচজনকে পুলিশ আটক করেছে।
ইউএনও তাহমিলুর রহমান বলেন, ‘‘পর্যটকদের ওই দলটি টিকিট ছাড়াই জাফলং এলাকায় ঢুকতে চাইলে টিকিট কাউন্টারে থাকা স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবকরা পর্যটকদের উপর হামলা চালায়।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘এতে আমাদের পর্যটনের অনেক ক্ষতি হলো। যেহেতু হামলাকারীরা আমাদের নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবক, তাই আমি দায় নিচ্ছি। ইতিমধ্যেই তিন জন স্বেচ্ছাসেবককে বরখাস্ত করেছি এবং স্থানীয় পুলিশকে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’’
গোয়াইনঘাট থানার ওসি কেএম নজরুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমরা হামলাকারী স্বেচ্ছাসেবকদের চিহ্নিত করেছি। দুইজনকে আটক করা হয়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে তারা বেশি পিটিয়েছেন। এছাড়া আরও ৬/৭ জন জড়িত ছিলেন, তাদেরও আটক করার অভিযান চলছে।’’
আটকদের মধ্যে দুজন হলেন গোয়াইনঘাট উপজেলার পন্নগ্রামের প্রয়াত রাখাল চন্দ্র দাসের ছেলে লক্ষ্মণ চন্দ্র দাস (২১) ও ইসলামপুর গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে সেলিম আহমেদ (২০)। বাকি তিনজনের নাম তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
টুরিস্ট পুলিশের জাফলংয়ের ইনচার্জ মো. রতন শেখ বলেন, ‘‘ঘটনা জানার পরপরই আমাদের একটা টিম ঘটনাস্থলে গেছে।’’
এ ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, স্বেচ্ছাসেবক লেখা নীল ইউনিফর্ম পরা তিনজন যুবক হাতে লাঠি নিয়ে একদল পর্যটকদের পেটাচ্ছে। এ সময় ওই দলে থাকা কিছু নারী পর্যটক তাদেরকে থামাতে গিয়ে লাঞ্ছিত হতেও দেখা গেছে।
এএস/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)
-
সিলেট শহরের কিছু দর্শনীয় স্থান
লাক্কাতুরা চা-বাগান
সিলেট শহর থেকে বিমানবন্দর যেতে পথেই লাক্কাতুরা চা-বাগান৷ ন্যাশনাল টি কোম্পানির মালিকানাধীন এই চা-বাগান খুবই সুন্দর৷
-
সিলেট শহরের কিছু দর্শনীয় স্থান
মালনিছড়া চা-বাগান
বিমানবন্দর সড়কেই আরেক চা-বাগান মালনিছড়া৷ এটিই বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরানো চা-বাগান৷ ১৮৫৪ সালে ইংরেজ হার্ডসনের হাত ধরে যাত্রা শুরু এ বাগানের৷ টিলা ঘেরা এ চা-বাগানের ভেতরটা ছবির মতো সাজানো৷ প্রচুর বানর আছে এ বাগানে৷
-
সিলেট শহরের কিছু দর্শনীয় স্থান
হযরত শাহজালালের মাজার
সিলেট শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত৷ সুলতান শামসুদ্দীন ফিরোজ শাহের শাসনকালে ১৩০৩ সালে হযরত শাহজালালের হাতে এ অঞ্চল বিজিত হয়৷ সে সময়ে তুরষ্কের কুনিয়া শহর থেকে তিনি ইসলাম ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে ৩১৩ জন শিষ্যসহ এদেশে আসেন৷ ১৩৪০ খ্রিষ্টাব্দে তিনি মৃত্যুবরণ করলে তাঁকে এখানেই সমাহিত করা হয়৷ মাজার কমপ্লেক্সের ভেতরে শত শত জালালী-কবুতর, পুকুর ভর্তি গজার মাছ ছাড়াও হযরত শাহজালালের ব্যবহৃত তলোয়ার রক্ষিত আছে৷
-
সিলেট শহরের কিছু দর্শনীয় স্থান
মাজার মসজিদ
হযরত শাহজালালের মাজার প্রাঙ্গণে প্রাচীন মসজিদ৷ বিভিন্ন সময়ে সংস্কারের ফলে মসজিদটি বর্তমানে আধুনিক রূপ নিলেও এটি সর্বপ্রথম নির্মাণ হয়েছিল ১৪০০ খ্রিষ্টাব্দে৷
-
সিলেট শহরের কিছু দর্শনীয় স্থান
হযরত শাহপরাণের মাজার
হযরত শাহপরাণ ছিলেন হযরত শাহজালালের ভাগ্নে৷ তিনিও ছিলেন একজন সাধক পুরুষ৷ শহরের পূর্ব দিকটায় দক্ষিণগাছের খাদিমপাড়ায় এই মাজার অবস্থিত৷ বিশাল বটগাছের ছায়াতলে এ মাজার৷ প্রতিদিন হাজার হাজার ভক্তের পদচারণায় মুখরিত থাকে পুরো মাজার এলাকা৷
-
সিলেট শহরের কিছু দর্শনীয় স্থান
সুরমা নদী
সিলেট শহরের দক্ষিণ পাশ দিয়ে বয়ে গেছে বাংলাদেশের অন্যতম নদী সুরমা৷ শহরের চাঁদনী ঘাট থেকে সুরমা নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়৷ তবে দিন দিন নদীটি দূষিত হয়ে পড়ায় এর সৌন্দর্যে ভাটা পড়ছে৷
-
সিলেট শহরের কিছু দর্শনীয় স্থান
আলী আমজদের ঘড়িঘর
ক্বিন ব্রিজের উত্তর পাড়ে সুরমা নদীর তীরের চাঁদনীঘাটে প্রাচীন ঘড়িঘর৷ এটি নির্মাণ করেছিলেন সিলেটের কুলাউড়ার পৃত্থিমপাশার জমিদার আলী আমজদ খান৷ দিল্লির চাঁদনীচকে শাহজাদী জাহানারা কর্তৃক নির্মিত ঘড়িঘর দেখে মুগ্ধ হয়ে তিনি এটি তৈরি করেছিলেন বলে কথিত আছে৷
-
সিলেট শহরের কিছু দর্শনীয় স্থান
ক্বিন ব্রিজ
সুরমা সেতু নামেও এটি বেশ পরিচিত৷ লোহার তৈরি এ সেতুটি ১৯৩৬ সালে নির্মাণ করা হয়৷ তৎকালীন ইংরেজ গভর্নর মাইকেল ক্বিনের নামে এর নামকরণ৷ ১১৫০ ফুট লম্বা এবং ১৮ ফুট প্রস্থ এ সেতুটি দেখতে ধনুকের মতো বাঁকানো৷ ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনী ব্রিজটির একাংশ উড়িয়ে দেয়৷ পরে ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ রেলওয়ের অর্থায়নে বিধ্বস্ত অংশটি পুনঃনির্মাণ করা হয়৷
-
সিলেট শহরের কিছু দর্শনীয় স্থান
শুকতারা প্রকৃতি নিবাস
সিলেটের খাদিমনগরের উদ্দীনের টিলায় সবুজে ঘেরা প্রায় ৭ একর জায়গা জুড়ে সবুজ এক স্বর্গ শুকতারা প্রকৃতি নিবাস৷ সিলেট ভ্রমণে থাকার জন্য এ জায়গাটি উৎকৃষ্ট৷
লেখক: মোস্তাফিজুর রহমান