ন্যাটোর বৈঠকে এবার প্রধান আলোচ্য বিষয় হলো, রাশিয়া ও চীন। রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ এবং সেই পরিপ্রেক্ষিতে ন্যাটো এখন কী ব্যবস্থা নিতে পারে, সেই বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে। সেই সঙ্গে চীনকেও সমান গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। বৈঠকে চীনের ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক উচ্চাকাঙ্খা নিয়েও কথা হবে। সেজন্যই এশিয়া এবং ওশিয়ানিয়ার দেশগুলিকে নিজেদের বক্তব্য পেশ করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল স্টলটেনবার্গ বলেছেন, ''ইউক্রেনকে সমর্থন করে যাওয়া জরুরি। কারণ, ইউক্রেন বর্বরোচিত আক্রমণের মুখে পড়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ইউরোপে এই বর্বরতা আমরা দেখিনি।''
আশা করা হচ্ছে, সদস্য দেশগুলি পূর্ব ইউরোপে ও বাল্টিক দেশগুলিতে অস্ত্রশস্ত্র মজুত করে রাখা নিয়ে মতৈক্যে পৌঁছাবে। সেই সঙ্গে এই অঞ্চলে আরো বেশি সেনা মোতায়েন করার সিদ্ধান্তেও তারা সায় দেবে। ইউক্রেনকে আরো সামরিক সাহায্য নিয়েও কথা হবে। ইউক্রেন এখনো সেই সোভিয়েত জমানার অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করছে। তারা যাতে অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করে, তার ব্যবস্থা করার দিকে নজর দেবে ন্যাটো। তারা কিয়েভকে সব ধরনের সাহায্য করার কথাও বলতে পারে।
-
যুদ্ধ ও শান্তি: ন্যাটো ও ভেটোর ভূমিকা
ন্যাটোর জন্ম
১৯৪৯ সালের ৪ এপ্রিল নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি স্বাক্ষরের মধ্যে দিয়ে যাত্রা শুরু করে ন্যাটো৷ চুক্তির পঞ্চম ধারা অনুযায়ী, ‘‘এক বা একাধিক সদস্যের উপর সশস্ত্র হামলা সবার উপর হামলা হিসেবে বিবেচিত হবে৷’’ জন্মলগ্নে জোটের ঘোষিত উদ্দেশ্য ছিল তিনটি: সোভিয়েত সম্প্রসারণ ঠেকানো, উত্তর অ্যামেরিকার শক্তিশালী উপস্থিতির মাধ্যমে ইউরোপের সামরিকায়ন নিষিদ্ধ করা এবং ইউরোপে রাজনৈতিক সংহতিকে উৎসাহ দেয়া৷
-
যুদ্ধ ও শান্তি: ন্যাটো ও ভেটোর ভূমিকা
কারা সদস্য
শুরুতে ১২ সদস্য নিয়ে যাত্রা করে ন্যাটো৷ ১৯৫২ সালে যোগ দেয় গ্রিস ও তুরস্ক৷ পশ্চিম জার্মানি যোগ দেয় ১৯৫৫ সালে আর ১৯৮২ সালে স্পেন৷ ১৯৯৯ সালে পূর্ণ সদস্যপদ লাভ করে পোল্যান্ড, চেক রিপাবলিক ও হাঙ্গেরি৷ বর্তমানে জোটের সদস্য সংখ্যা ৩০৷
-
যুদ্ধ ও শান্তি: ন্যাটো ও ভেটোর ভূমিকা
নিজেদের বিরোধ
ন্যাটোর সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সামরিক পদক্ষেপ নিয়ে বিভিন্ন সময় মতভেদ তৈরি হয়েছে৷ প্রথমবার এমন ঘটনা ঘটে ১৯৫৬ সালে সুয়েজ সংকট নিয়ে৷ ১৯৬৬ সালে ন্যাটোর সামরিক কাঠামো থেকে বেরিয়ে আসার ঘোষণা দেয় ফ্রান্স এবং সে দেশ থেকে জোটের প্রধান কার্যালয় সরিয়ে নেয়ার অনুরোধ জানায়৷ নতুন কার্যালয় বসে বেলজিয়ামে৷ তবে ফ্রান্স জোটের মধ্যেই থেকে যায় এবং সংকটকালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও রাখে৷
-
যুদ্ধ ও শান্তি: ন্যাটো ও ভেটোর ভূমিকা
সামরিক উত্তেজনা
১৯৭৯ সালে আফগানিস্তানে সোভিয়েত রাশিয়ার হামলা এবং ইউরোপে ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনকে কেন্দ্র করে নড়েচড়ে বসে ন্যাটো৷ পাল্টা জবাব হিসেবে পশ্চিম ইউরোপে ক্ষেপণাস্ত্র বসানোর সিদ্ধান্ত নেয় জোট৷ ১৯৮৭ সালে এক চুক্তির মাধ্যমে দুই পক্ষ ভূমি থেকে নিক্ষেপযোগ্য মাঝারিপাল্লার সব ব্যালাস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র সরিয়ে নিতে সম্মত হয়, যাকে ঠান্ডা লড়াই সমাপ্তির প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হয়৷
-
যুদ্ধ ও শান্তি: ন্যাটো ও ভেটোর ভূমিকা
ঠান্ডা লড়াই পরবর্তী যুগ
১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়া ও বার্লিন দেয়ালের পতনের পর ন্যাটোর অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠে৷ তবে সময়ের সাথে সাথে বরং উল্টো ন্যাটোর সম্প্র্রসারণ চলতে থাকে৷ এক দশক ধরে চলা যুগোস্লাভ যুদ্ধ ও কসভো-সার্বিয়া সংঘাতে হস্তক্ষেপ করে জোট৷ গড়ে ওঠে ন্যাটো-বহির্ভূত সমমনা দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতার সম্পর্ক৷
-
যুদ্ধ ও শান্তি: ন্যাটো ও ভেটোর ভূমিকা
নাইন-ইলেভেন: নতুন মোড়
২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে হামলার পর ন্যাটো সদস্যসহ বিভিন্ন রাষ্ট্র আফগানিস্তানে আল-কায়দার বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নেয়৷ ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ইরাক যুদ্ধে সহায়তা কার্যক্রম চালায় ন্যাটো৷ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর বাইরে অন্য রাষ্ট্রে সংঘাত, বিরোধেও নিজেদের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করতে থাকে ন্যাটো৷ লিবিয়াসহ বিভিন্ন দেশে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে ভূমিকা রাখতে থাকে৷
-
যুদ্ধ ও শান্তি: ন্যাটো ও ভেটোর ভূমিকা
রাশিয়ার সঙ্গে নতুন বিরোধ
পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোতে ন্যাটোর সম্প্রসারণ নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে দেখে রাশিয়া৷ ইউক্রেন যাতে ন্যাটোতে যোগ না দেয় সবশেষ সেই নিশ্চয়তা দাবি করে ক্রেমলিন৷ এমন প্রেক্ষিতে ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে হামলা শুরু করেন প্রেসিডেন্ট পুটিন৷ পূর্ব ইউরোপে নিজেদের সামরিক সক্ষমতা বাড়ালেও এই যুদ্ধে সরাসরি যুক্ত হবে না বলে জানিয়ে আসছে ন্যাটো৷ এই সংঘাত সামনে কোন দিকে মোড় নেবে তা সময়ই বলে দেবে৷
-
যুদ্ধ ও শান্তি: ন্যাটো ও ভেটোর ভূমিকা
নিরাপত্তা পরিষদ
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, নিরাপত্তা পরিষদের মূল উদ্দেশ্য বিশ্বে শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা৷ ১৫ সদস্যের মধ্যে স্থায়ী সদস্য পাঁচ পরমাণু শক্তিধর দেশ: চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র৷ তাদের সবার সম্মতি ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত পাস করা যায় না৷ বিপরীতভাবে কোনো সিদ্ধান্তে কেউ ভেটো দিলে তা বাতিল হয়ে যায়৷ বিভিন্ন সময়ে এই পাঁচ সদস্য তাদের স্বার্থ অনুযায়ী ভেটো ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়েছে৷
-
যুদ্ধ ও শান্তি: ন্যাটো ও ভেটোর ভূমিকা
সবচেয়ে বেশি রাশিয়া
ভেটো ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি প্রয়োগ করেছে রাশিয়া৷ ২৬৫টির মধ্যে ১১৯ বার ভেটো দিয়েছে তারা৷ ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত নিরাপত্তা পরিষদে যত ভেটো দেয়া হয়েছে তার সবগুলোই ছিল সোভিয়েত রাশিয়ার পক্ষ থেকে৷ শীতল যুদ্ধের যুগ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভেটো দিয়ে আসছে রাশিয়া৷ ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের তোলা পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবেও ভেটো দেয় রাশিয়া৷
-
যুদ্ধ ও শান্তি: ন্যাটো ও ভেটোর ভূমিকা
রাশিয়ার সহযোগী চীন
চীন মোট ১৬ বার ভেটো দিয়েছে, এর মধ্যে ১৩ বারই রাশিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে আর তিনবার এককভাবে৷ ১৯৭১ সালের ২৫ আগস্ট চীন তার প্রথম ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করেছিল জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপদ প্রাপ্তির বিরুদ্ধে৷
-
যুদ্ধ ও শান্তি: ন্যাটো ও ভেটোর ভূমিকা
ইসরায়েলের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র
ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগে রাশিয়ার পরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র৷ ৮২ বার তারা এই ক্ষমতা প্রয়োগ করেছে৷ এর অনেকগুলোই ছিল ইসরায়েলকে নিয়ে৷ মধ্যপ্রাচ্য ও ফিলিস্তিনে সংঘাত ও হামলা নিয়ে দেশটির বিরুদ্ধে আনা প্রস্তাবে বরাবরই ভেটো দিয়ে এসেছে ওয়াশিংটন৷ তবে ২০১৬ সালে ওবামা ক্ষমতায় থাকাকালে ইসারেয়েলের বসতিস্থাপন বন্ধে আনা একটি প্রস্তাবে ভোট দানে বিরত থাকে তারা৷
-
যুদ্ধ ও শান্তি: ন্যাটো ও ভেটোর ভূমিকা
সহযোগী যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স
যুক্তরাজ্য ২৯ বার ও ফ্রান্স ১৬ বার ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করেছে৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথভাবে বিভিন্ন প্রস্তাব নাকচ করেছে তারা৷ তবে ১৯৮৯ সালের পর ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য আর ভেটো ক্ষমতার ব্যবহার করেনি৷ সেবার পানামায় যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছিল দেশ তিনটি৷
-
যুদ্ধ ও শান্তি: ন্যাটো ও ভেটোর ভূমিকা
সবশেষ
নিরাপত্তা কাউন্সিলে তোলা প্রস্তাবে সবশেষ ভেটোর ঘটনাটি ঘটে চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি৷ ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা বন্ধ ও নিন্দা জ্ঞাপনের প্রস্তাব আনে কয়েক ডজন দেশ৷ তবে রাশিয়ার একার ভেটোতে তা বাতিল হয়ে যায়৷
লেখক: ফয়সাল শোভন
এই বৈঠকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিও ভিডিও-ভাষণ দেবেন।
বাইডেন স্পেনে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এখন স্পেনে। মাদ্রিদে তাকে স্বাগত জানিয়েছেন স্পেনের রাজা ষষ্ঠ ফেলিপ। বাইডেনের সঙ্গে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেড্রো স্যাঞ্চেজের বৈঠকও হয়েছে।
স্যাঞ্চেজ সেখানে একাধিক বিপদের কথা তুলে ধরেছেন। ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ এবং তার ফলে মুদ্রাস্ফীতির বিপদ নিয়ে যেমন কথা হয়েছে, তেমনই আফ্রিকা থেকে অভিবাসন-প্রত্যাশীদের স্পেনে আসা নিয়েও কথা হয়েছে। সম্প্রতি উত্তর আফ্রিকা থেকে মরোক্কোয় স্পেনের এনক্লেভে আসার সময় ২৩জন অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে। তারা সবাই ইউরোপে আসতে চাইছিল।
-
ইউরোপে ন্যাটোর সামরিক মহড়া
সামরিক মহড়া
‘ডিফেন্ডার ইউরোপ’ ও ‘সুইফট রেসপন্স’ নামের দুটো সামরিক মহড়ায় ২০টি দেশের প্রায় ১৮ হাজার সেনা অংশ নিয়েছেন৷ পোল্যান্ড, নর্থ মেসিডোনিয়াসহ আটটি দেশে এসব মহড়া হয়েছে৷ ছবিতে নর্থ মেসিডোনিয়ায় ব্রিটিশ সেনাদের মহড়া করতে দেখা যাচ্ছে৷
-
ইউরোপে ন্যাটোর সামরিক মহড়া
এস্তোনিয়ায় মহড়া
১৯৯১ সালের পর বাল্টিক দেশ এস্তোনিয়ার সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ এর নাম ‘হেজহগ’৷ ১৪ দেশের প্রায় ১৫ হাজার সেনা এতে অংশ নেন৷ ছবিতে রোমানিয়ায় ‘এক্সারসাইজ ট্রোজান ফুটপ্রিন্ট’ মহড়ার দৃশ্য দেখা যাচ্ছে৷ রোমানিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সেনারা এতে অংশ নেন৷
-
ইউরোপে ন্যাটোর সামরিক মহড়া
আরেক বাল্টিক দেশ লিথুয়ানিয়ায় মহড়া
লিথুয়ানিয়ায় অনুষ্ঠিত ‘আয়রন উল্ফ’ মহড়ায় অংশ নেন তিন হাজার সেনা৷ সঙ্গে ছিল প্রায় এক হাজার সামরিক যান৷ এর মধ্যে জার্মানির লেওপার্ড ২ ট্যাংকও ছিল৷
-
ইউরোপে ন্যাটোর সামরিক মহড়া
জার্মানি
জার্মানিতে অনুষ্ঠিত ‘ভেটিনার হাইডে’ মহড়ায় অংশ নেন প্রায় সাড়ে সাত হাজার সেনা৷
-
ইউরোপে ন্যাটোর সামরিক মহড়া
রাশিয়ার প্রতিবেশী ফিনল্যান্ডে
ন্যাটোর পার্টনার দেশ ফিনল্যান্ডে ‘অ্যারো ২২’ মহড়ায় ফিনিশ সেনাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন মার্কিন, ব্রিটিশ, এস্তোনিয়ান ও লাটভিয়ান সেনারা৷ ছবিতে লাটভিয়ায় মহড়ার দৃশ্য দেখা যাচ্ছে৷
-
ইউরোপে ন্যাটোর সামরিক মহড়া
পূর্ব পরিকল্পিত
ন্যাটোর মুখপাত্র ওয়ানা লুঙ্গেস্কু জানান ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু আগেই এসব মহড়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল৷
-
ইউরোপে ন্যাটোর সামরিক মহড়া
এয়ার ও মিসাইল ডিফেন্স
আগামী মাসে পোল্যান্ড ও বাল্টিক দেশগুলোতে ‘রামস্টাইন লিগ্যাসি’ মহড়া অনুষ্ঠিত হবে৷ ২৩ দেশের সেনারা এতে অংশ নেবেন৷ এটি হবে ইউরোপের সবচেয়ে বড় এয়ার ও মিসাইল ডিফেন্স মহড়া৷
-
ইউরোপে ন্যাটোর সামরিক মহড়া
লাটভিয়ায় মহড়া
বাল্টিক দেশ লাটভিয়ায় মহড়ায় জার্মান ও ক্যানাডার সৈন্যরা অংশ নেন৷
বাইডেন জানিয়েছেন, অ্যামেরিকা দক্ষিণ প্রান্তে ন্যাটোর উপস্থিতি আরো বাড়াতে চায়। স্পেনের বন্দর রোটার কাছে ডেস্ট্রয়ারের সংখ্যা চার থেকে ছয় করতে চান তিনি। ন্যাটোর শীর্ষবৈঠকে তিনি একাধিক ঘোষণা করবেন। তার মধ্যে এটা একটা।
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তারা বর্তমান চ্যালেঞ্জ নিয়ে কথা বলেছেন।
রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ করার পর ইউরোপে সেনার সংখ্যা বাড়িয়েছে অ্যামেরিকা। বাড়তি ২০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে তারা।
স্পেনের রাজা ও রানির সঙ্গে জার্মানির চ্যান্সেলর শলৎস।
নজরে চীন
ন্যাটোর বৈঠকে জাপান, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও নিউজিল্যান্ডের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এই দেশগুলি এশিয়া প্যাসিফিকে চীনের সামরিক উপস্থিতি নিয়ে চিন্তিত।
বুধবার জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষ নেতাদের নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক করবেন বাইডেন।
জিএইচ/এসজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)