নাইজেরিয়ায় জমজ সন্তানদের উৎসব
নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ইগবো ওরা শহরকে বলা হয় জমজ সন্তানের রাজধানী৷ গত শনিবার শহরটিতে উদযাপিত হয় জমজ সন্তানদের উৎসব৷
যে শহরের প্রায় সব ঘরেই জমজ সন্তান
নাইজেরিয়ার ইগবো ওরা শহরে গত শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে জমজ সন্তানের উৎসব৷ বাদ্য, বাজনা, আঞ্চলিক সংগীত ইত্যাদি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে ভিন্ন রকমের এই অনুষ্ঠান৷ ইগবো ওরা শহর হলো স্বঘোষিত জমজ শহর৷ এর অবশ্য একটি কারণও আছে৷ এই শহরের বাসিন্দাদের প্রায় সবারই রয়েছে জমজ সন্তান, জানালেন ওই অঞ্চলের সুপ্রিম রুলার ওবা কেহিন্দে গবাদেভোলে ওলুগবেনলে৷
জমজ সন্তানের হার সবচেয়ে বেশি
ইগবো ওরাতে ঘুরতে গেলে খুব স্বাবাবিকভাবেই জমজ শিশুদের চোখে পড়বে৷ পরিসংখ্যান বলছে, সারাবিশ্বে যেখানে প্রতি হাজারে জমজ শিশু জন্মের হার ১২ জন, ইগবো ওরাতে তা প্রতি হাজারে ৪৫ জন৷
আনন্দের বন্যা
শনিবার যখন অনুষ্ঠানটি উদযাপিত হচ্ছিল, তখন শহর জুড়ে যেন আনন্দের বন্যা বইছিল৷ অনুষ্ঠানস্থলে পাতা হয় লাল গালিচা৷ আর গালিচার উপর নেচে-গেয়ে আনন্দে মেতে ওঠে নানা বয়সের জমজেরা৷
সবার উপস্থিতি
জমজদের বাবা মায়েরা ছাড়াও ওই অঞ্চলের বিখ্যাত ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানে অংশ নেন৷ নাইজেরিয়ার ইওয়ালান্ডের সুপ্রিম রুলার ওবা কেহিন্দে গবাদেভোলে ওলুগবেনলে ও অন্য গণ্যমাণ্য ব্যক্তিরাও অংশ নেন৷ উল্লেখ্য, সুপ্রিম রুলার ওবা কেহিন্দে গবাদেভোলে ওলুগবেনলে নিজেও একজন জমজ৷
জমজ শিশু হওয়ার কারণ
ইগবো ওরাতে জমজ শিশু জন্মের হার বেশি হওয়ার নানা কারণের কথা বলা হয়ে থাকে৷ স্থানীয়দের ধারণা,ঢেঁড়সের পাতা এবং কাসাবা ময়দা খাওয়ার কারণে এমনটি হতে পারে৷ তবে বিশেষজ্ঞরা অবশ্য খ্যাদ্যাভ্যাসের সাথে জমজ সন্তান জন্মের কোনো যোগসূত্র খুঁজে পাননি৷
সৃষ্টি কর্তার দান
আট মাস আগে জমজ সন্তানের জন্ম দেন সুলিয়াত মোবোলাজি৷এরপর থেকে তার জীবন পরির্তন হয়ে গিয়েছে, জানালেন ৩০ বছরের এই নারী৷ আবেগাপ্লুত মোবোলাজি বললেন, ‘‘এটি আসলে সৃষ্টিকর্তার দান৷’’