1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
প্যানোরামানাইজেরিয়া

নাইজেরিয়ার ঐতিহ্যবাহী পোশাকের অংশ ইওরুবা

২০ আগস্ট ২০২৪

নাইজেরিয়ার ঐতিহ্যবাহী পোশাকের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ টুপি৷ নানা রংয়ের বাহারি নকশার এসব টুপি আবার সুনির্দিষ্ট অর্থও বহন করে৷ কে, কী ধরনের টুপি পরছেন তা দেখে তাদের ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়৷

https://p.dw.com/p/4jebe
নাইজেরিয়ার ঐতিহ্যবাহী ইওরুবা টুপি
নাইজেরিয়ার সংস্কৃতিতে পুরুষের টুপি সাংস্কৃতিক গুরুত্ব এবং একক ব্যক্তির অভিব্যক্তির প্রকাশছবি: DW

টুপিগুলো এক্সেসরির চেয়েও বেশি কিছু৷ নাইজেরিয়ায় পুরুষদের ফ্যাশন মানানসই টুপি ছাড়া পূর্ণতা পায় না৷ ইওরুবা টুপি নকশাকার ফেমি আদেকম্বি বলেন, ‘‘এই টুপিগুলো আলাদা আলাদা নকশা এবং সাংস্কৃতিক প্রতীকসহ পাওয়া যায়৷ শিশু বয়সেই আমরা শিখছি যে কীভাবে পোশাকের সঙ্গে মানানসই টুপিটি নির্বাচন করতে হয়৷''

এই টুপি কীভাবে মানানসইভাবে পরা যায়, সেই গোপন সূত্র প্রকাশের আগে যিনি এটি পরেন, তিনি কী বার্তা বহন করেন জেনে নেই৷ ইওরুবার পুরুষরা কেন এই টুপিকে এত গুরুত্বপূর্ণ ভাবেন, সেটা জানা দরকার৷ লাগোসে ফেমি আদেকম্বি পাঁচবছর ধরে এই টুপির নকশা করছেন৷

নাইজেরিয়ার সংস্কৃতিতে পুরুষের টুপি সাংস্কৃতিক গুরুত্ব এবং একক ব্যক্তির অভিব্যক্তির প্রকাশ৷ একইসঙ্গে এটি ঐতিহ্য এবং আধ্যাত্মিকতার মধ্যকার গভীর সম্পর্ক তুলে ধরে৷

ফেমি এসব কিছু এক টুপিতে তুলে ধরতে পারেন৷   

ইফে এবং ইজেবুর মতো নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন অংশের ১৩ জন স্থানীয় কারিগর কেন ফেমির সঙ্গে কাজ করছেন? তিনি বলেন, ‘‘টুপি বানানোর কৌশলের জন্য এটি একটি জনপ্রিয় শহর এবং তারা এটি একশ' বছরের বেশি সময় ধরে করছেন৷ তারা এই সুনির্দিষ্ট পেশার জন্য পরিচিত৷''

ইওরুবা, নাইজেরিয়ার ঐতিহ্যবাহী টুপি

নারী দর্জি ওলাসুবোমি তিতিলয়ো বলেন, ‘‘এটা আমার বাবা-মায়ের কাজ এবং আমি এই কাজ অনেক ভালোবাসি এবং আমি সতের থেকে বিশ বছর আগে থেকে এই কাজ করছি৷''

ইওরুবা টুপি নকশাকার ফেমি আদেকম্বি বলেন, ‘‘এটা হচ্ছে সেই জায়গা যেখানে আমরা আমাদের কিছু টুপির বুননের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করি৷ পাউডার ব্লু এবং নেভি ব্লু ডিজাইনে এই টুপিগুলো তৈরি করা হবে৷ এই প্রক্রিয়া শেষ করতে আমাদের দুই থেকে তিন দিন লাগবে৷ আমরা এজন্য আসল হাতে বোনা সুতির তাঁতের কাপড় ব্যবহার করতে ভালোবাসি৷ আমরা এটি ২৩ সাইজের উপযুক্ত করে কাটবো৷ আমরা কাপড়ের অংশগুলো কোণাকুনিভাবে কাটবো যাতে টুপির পাশগুলো আপনি উল্টো করে ভাঁজ করার সুযোগ পান৷''

স্থানীয় কারিগররা ফেমির টুপিগুলো তৈরি করেন৷ এতে করে স্থানীয় সম্প্রদায়েরও উপকার হয়৷ টুপিগুলো গোটা বিশ্বেই বিক্রি হয়৷ নাইজেরিয়ার অর্থনীতিতে যেমন এই টুপি অবদান রাখছে, তেমনি ইওরুবা সংস্কৃতিও ধরে রাখছে৷

প্রতিবেদন: লুসান্দা চাউকে/এআই