1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নয় বছরের মেয়ের মুখে মার্কিন পুলিশের পেপার স্প্রে

২ ফেব্রুয়ারি ২০২১

নয় বছরের বাচ্চা মেয়ের মুখে গোলমরিচের গুড়ো স্প্রে করার জন্য অ্যামেরিকায় একাধিক পুলিশ অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

https://p.dw.com/p/3ohMa
যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশের বডি ক্যামেরা ফুটেজ
নয় বছরের বাচ্চা মেয়ের প্রতি মার্কিন পুলিশের ব্যবহার স্পষ্ট হয় বডি ক্যামেরা ফুটেজ থেকেছবি: Rochester Police Department/AP/picture alliance

অ্যামেরিকার পুলিশ শুধরোবে না। গত কয়েকবছর ধরে একের পর এক বর্ণবাদী কাজ করেছে মার্কিন পুলিশের অফিসাররা। এবার নিউ ইয়র্কের রচেস্টারে তাঁদের হাতে নিগৃহীত একটি নয় বছরের বাচ্চা মেয়ে। তাঁর হাতে হাতকড়া দিয়ে মুখে গোলমরিচের গুড়ো স্প্রে করে পুলিশ।

মেয়র লাভলি ওয়ারেন বলেছেন, ‘‘শুক্রবার যা হয়েছে, তা এক কথায় ভয়াবহ। মানুষ অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। তবে নিউ ইয়র্ক স্টেটের আইন ও ইউনিয়ন কন্ট্রাক্ট অনুযায়ী এর থেকে বেশি কোনো ব্যবস্থা আমি নিতে পারতাম না।’’

কতজন পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, তা এখনো পরিষ্কার নয়। যতক্ষণ পর্যন্ত রচেস্টার পুলিশের তদন্ত শেষ না হচ্ছে, ততদিন তাঁরা সাসপেন্ড থাকবেন।

রোববার পুলিশের বডি ক্যামেরা ফুটেজ প্রকাশ করা হয়। সেখানেই দেখা যাচ্ছে, পুলিশ কর্মীরা বাচ্চা মেয়ের উপর এই কাণ্ড করছেন। একজন পুলিশ অফিসারকে বলতে শোনা যায়, বাচ্চার মতো ব্যবহার করা বন্ধ কর। জবাবে মেয়েটি বলে, আমি তো বাচ্চাই। পারিবারিক ঝামেলা মেটাতে পুলিশ সেখানে গেছিল।

বাচ্চাটিকে বরফের উপর ফেলে দেয়া হয়েছিল। তখন সে বলে, ‘‘আমার উপর থেকে বরফ সরাবেন প্লিজ। খুব ঠান্ডা।’’

এক পুলিশ অফিসার বলেন, ‘‘তুমি তোমার সুযোগ পেয়েছ।’’ আরেকজন চিৎকার করে বলেন, ‘‘তাড়াতাড়ি গাড়িতে ওঠ।’’

পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটি তাঁদের কথা শোনেনি। তারপর হাতকড়া পরা মেয়েটির মুখে তারা ‘কিছু’ স্প্রে করেন।

ডেপুটি পুলিশ প্রধান অ্যান্ড্রে অ্যান্ডারসন বলেছেন, মেয়েটির মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক ছিল না। সে আত্মহত্যা করতে চাইছিল। তার মায়ের ক্ষতি করার কথাও বলছিল।

পুলিশের এই কাজের পর স্থানীয় মানুষ উত্তেজিত হয়ে পড়েন। প্রচুর মানুষ জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। তারা রচেস্টার থানা ঘিরে ফেলেন।

এর আগে ড্যানিয়েল প্রুডকে শ্বাসরোধ করে মেরেছিল পুলিশ। প্রুড ওষুধের ঘোরে ছিলেন এবং তিনি উলঙ্গ হয়ে রাস্তায় দৌড়চ্ছিলেন। তাঁর ভাই পুলিশকে সতর্ক করে দেন। অফিসার তাঁর মাথায় হুড পরিয়ে দুই মিনিট ধরে তাঁর মাথা ফুটপাথে চেপে রাখেন। তাঁর যুক্তি ছিল, তিনি প্রুডকে থামাবার চেষ্টা করছিলেন। তাঁকে পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। সাতদিন পর তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে লাইফ সাপোর্ট খুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এসজি/জিএইচ (এএফপি, এপি)