আইনটি পাসের আগে বিভিন্ন পর্যায়ে মোট ১২ জন সংসদ সদস্য বিতর্কে অংশ নেন৷ বিএনপির সংসদ সদস্যরা আইনটির সমালোচনা করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবি করেন৷ বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বলেন, ‘‘অবশ্যই নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে৷ বিগত দুইটি নির্বাচন কমিশন জনগণের আস্থা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে৷’’
বিএনপির সাংসদদের এমন সমালোচনার জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘‘ওনারা তালগাছ চান৷ তালগাছটা নিজেদের না হওয়া পর্যন্ত তারা কিছুই মানেন না৷’’
‘প্রধানমন্ত্রী যেভাবে চাইবেন সেভাবেই হবে’
আইনটি বিশ্লেষণ করে সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক শুক্রবার ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এই আইনে সরকারের অনুগত নির্বাচন কমিশনই গঠিত হবে৷ প্রধানমন্ত্রী যেভাবে চাইবেন সেভাবেই হবে৷ রকিব ও হুদা কমিশন স্বচ্ছ নির্বাচন করতে না পারায় জনগণের আস্থা হারিয়েছে৷ আর এখন কমিশন গঠন করার আগেই জনগণ মনে করছে অনুগত কমিশন হবে৷’’
এর কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘‘সার্চ কমিটি গঠনের যে পদ্ধতি করা হয়েছে তাতে সরকারের অনুগত লোকজনই থাকবে৷ বিশিষ্ট দুইজন নাগরিককে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেই নিয়োগ দেবেন৷ তাহলে পুরোটাই সরকারের হয়ে গেল৷ আর সার্চ কমিটি কমিশনে যাদের নাম প্রস্তাব করবেন তা গোপন থাকবে৷ ফলে দেশের মানুষ জানতেও পারবে না তারা কারা৷’’
তার মতে, সার্চ কমিটিতে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি থাকলে এবং নাগরিকদের মধ্য থেকে দুইজন প্রতিনিধি আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে দিলে সার্চ কমিটির স্বচ্ছতা থাকত৷ এখন আর সেটা নেই৷
ড. শাহদীন মালিক বলেন, ‘‘সার্চ কমিটি যে ১০ জনের নাম প্রস্তাব করবেন তাদের আদ্যোপান্ত আগেই পাবলিক করার ব্যবস্থা করার প্রস্তাব দিয়েছিলাম আমরা৷ তাহলে অনেকটা গ্রহণযোগ্য হতো৷ তারপর প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করেই রাষ্ট্রপতি পাঁচজনকে নিয়োগ দিতেন৷ তাও হলো না৷’’ তার ভাষায়, ‘‘এখন যেটা হয়েছে তা হলো, আগামী নির্বাচনে কাঙ্খিত ফলাফল নিশ্চিতকরণ আইন৷’’
‘অন্য দলগুলোর ভূমিকার সুযোগই রাখা হয়নি’
সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন মনে করেন, ‘‘সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীর মতামত নেয়ার যে বিধান আছে সেটা অক্ষুন্ন রেখেও একটি ভালো নির্বাচন কমিশন আইন করা সম্ভব ছিলো৷ কিন্তু প্রশ্ন হলো তারা ভালো নির্বাচন কমিশন আইন করতে চেয়েছেন কিনা৷’’
তার মতে, এটা সার্চ কমিটির আইন৷ এখানে সরকার ছাড়া অন্যান্য রাজনৈতিক দলের ভূমিকার কোনো সুযোগই রাখা হয়নি৷ সার্চ কমিটি যাদের নাম দেবে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শেই তাদের মধ্য থেকে নির্বাচন কমিশন করবেন৷ আর সার্চ কমিটির যে বিধান রয়েছে তাতে সরকারের বাইরের লোকজনের সেখানে যাওয়ার সুযোগ নেই৷
এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘‘বিশ্বের যেসব দেশে আইন আছে সেখানে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেত্রী এবং সংসদে অন্যান্য দলের সদস্যদের নির্বাচন কমিশন গঠনে অংশগ্রহণের বিধান আছে৷ এই আইনে সবার অংশগ্রহণ নাই৷’’
তার মতে, ‘‘এই আইনটি ওয়ান স্টেপ৷ তারা দুই স্টেপের আইনের প্রস্তাব করেছিলেন৷ যেখানে সংসদে সরকারি দল, বিরোধী দল, স্পিকার সবাই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সার্চ কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে কমিশন গঠন শুরু করবেন৷ এরপর যাদের কমিশনে নেয়া হবে তাদের বিস্তারিত প্রকাশ করে আলাপ আলোচনার সুযোগ রাখতে হবে৷’’
‘সরকারের সুবিধাভোগীরা, অনুগতরা ঠাঁই পাবে’
সুসাশনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার মনে করেন, আইন যাই হোক না কেন নির্বাচনকালীন সরকার খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ নির্বাচনকালীন সরকার যদি নিরপেক্ষ না হয় তাহলে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়৷
তিনি বলেন, ‘‘এখন যে আইন হয়েছে তাতে নির্বাচন কমিশনে সরকারের সুবিধাভোগীরা, অনুগতরা ঠাঁই পাবে৷ আসলে সদিচ্ছাই বড় কথা৷ আমরা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই কিনা সেটাই বড় প্রশ্ন৷’’
-
এক নজরে সব নির্বাচন কমিশন
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচন কমিশন
বাংলাদেশের প্রথম প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন বিচারপতি এম ইদ্রিস৷ ১৯৭২ সালের ৭ জুলাই থেকে ১৯৭৭ সালের ৭ জুলাই পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন তিনি ৷ ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করে এই কমিশন৷ সে সময় রাষ্ট্রপতি ছিলেন বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী। নির্বাচনে ২৯৩ আসন জিতে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। জাসদ ও বাংলাদেশ জাতীয় লীগ একটি করে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পাঁচটি আসন পায়।
-
এক নজরে সব নির্বাচন কমিশন
নুরুল ইসলাম কমিশন
বিচারপতি একেএম নুরুল ইসলাম বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদে দায়িত্ব পালন করা সিইসি৷ ১৯৭৭ সালের ৮ জুলাই যখন দায়িত্ব নেন, তখন রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিলেন মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান৷ প্রায় আট বছর দায়িত্ব পালনের পর অব্যাহতি নেন ১৯৮৫ সালের ১৭ ফ্রেব্রুয়ারি৷ ৷ ১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচন হয় তার তত্ত্বাবধানে। বিএনপি পায় ২০৭ আসন, আবদুল মালেক উকিলের আওয়ামী লীগ ৩৯ আসন৷
-
এক নজরে সব নির্বাচন কমিশন
তিন রাষ্ট্রপতির কমিশন
পরপর দুই সামরিক শাসকের অধীনে সিইসির দায়িত্ব পালন করেছেন নুরুল ইসলাম৷ ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে জিয়াউর রহমান নিহত হলে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তার ১৫ নভেম্বর রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ ‘সামরিক অভ্যুত্থানে’ ক্ষমতায় আসেন সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। পরবর্তীতে এরশাদের সরকারে আইনমন্ত্রী ও পরে উপ রাষ্ট্রপতিও হয়েছিলেন নুরুল ইসলাম৷
-
এক নজরে সব নির্বাচন কমিশন
মসউদ কমিশন
বিচারপতি চৌধুরী এটিএম মসউদ দায়িত্ব নেন ১৯৮৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি৷ তিনি পূর্ণ পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ করেন ১৯৯০ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি৷ এরশাদের আমলে ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে দুটো জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এই কমিশনের অধীনে৷ তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আট দলীয় জোট গেলেও খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন সাত দলীয় জোট তা বর্জন করে। চতুর্থ জাতীয় নির্বাচন দুই জোটই বর্জন করে৷
-
এক নজরে সব নির্বাচন কমিশন
সুলতান কমিশন
বিচারপতি সুলতান হোসেন খান ১৯৯০ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি সিইসি’র দায়িত্ব নেন৷ তবে মাত্র ১০ মাস দায়িত্বে থেকে কোনো জাতীয় নির্বাচন না করেই ২৪ ডিসেম্বর সরে যেতে বাধ্য হন এরশাদের নিয়োগ পাওয়া এই সিইসি৷ গণঅভ্যুত্থানে এরশাদ পদত্যাগে বাধ্য হলে প্রধান দলগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক মতৈক্যে অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান ও অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হন বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদ৷ এরপর তিনি ইসি পুনর্গঠন করেন৷
-
এক নজরে সব নির্বাচন কমিশন
রউফ কমিশন
পঞ্চম সংসদ নির্বাচনের আগে প্রথম তিন সদস্যের ইসি পায় বাংলাদেশ। বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ সিইসি হিসেবে নিযু্ক্ত হন৷ ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা করে তার কমিশন৷ তিনি ১৯৯৫ সালের ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন৷ রউফ কমিশন নির্বাচনি আইনে ব্যাপক সংস্কার আনে, জারি করা হয় নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) অধ্যাদেশ। ১৯৯৪ সালে মাগুরা উপ নির্বাচন নিয়ে বিতর্কিত হন সিইসি রউফ।
-
এক নজরে সব নির্বাচন কমিশন
সাদেক কমিশন
বিচারপতি একেএম সাদেক সিইসি পদে নিযুক্ত হন ১৯৯৫ সালের ২৭ এপ্রিল৷ ১৯৯৬ সালে এই কমিশনের অধীনেই হয় বিতর্কিত ১৫ ফেব্রুয়ারির ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচন৷ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আওয়ামী লীগসহ বিরোধী দলগুলো ভোট বর্জন করে। বিএনপি পায় ২৭৮ আসন৷ দেড় মাস মেয়াদী সংসদের একমাত্র অধিবেশনে ত্রয়োদশ সংশোধনে সংবিধানে যুক্ত হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা৷ এই ইসিই নির্বাচনি আচরণবিধি চালু করে৷
-
এক নজরে সব নির্বাচন কমিশন
হেনা কমিশন
১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে ঘিরে অস্থিরতার মধ্যে সাবেক আমলা মোহাম্মদ আবু হেনা ১৯৯৬ সালের ৯ এপ্রিল সিইসি’র দায়িত্ব নেন৷ এই প্রথম কোনো আমলা এই পদে নিয়োগ পান৷ তার অধীনে ১৯৯৬ সালের জুনে সপ্তম জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়৷ দলীয় সরকারের অধীনে ১৯৯৯ সালে টাঙ্গাইল (সখিপুর-বাসাইল) উপনির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির জন্য সমালোচিত হয় তার কমিশন৷ নির্বাচনের গেজেট না করেই ২০০০ সালের ৮ মে দায়িত্ব ছাড়েন আবু হেনা৷
-
এক নজরে সব নির্বাচন কমিশন
সাঈদ কমিশন
রাষ্ট্রপতি আব্দুর রহমান বিশ্বাসের মেয়াদপূর্তির পর আওয়ামী লীগ সরকার ওই দায়িত্বে আনে একানব্বইয়ের নির্বচনের সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্বে থাকা শাহাবুদ্দিন আহমেদকে। আবু হেনা সরে যাওয়ার পর সিইসি হন সাবেক আমলা এম এ সাঈদ৷ বিচারপতি লতিফুর রহমানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে সাঈদ কমিশনের অধীনেই ২০০১ সালের ১ অক্টোবর অষ্টম সংসদ নির্বাচন হয়।
-
এক নজরে সব নির্বাচন কমিশন
আজিজ কমিশন
বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত কমিশনগুলোর একটি আজিজ কমিশন৷ বিচারপতি এমএ আজিজ ২০০৫ সালের ২২ মে সিইসি’র দায়িত্ব নেন৷ ব্যাপক রাজনৈতিক টানাপড়েনের সময় ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি নবম জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন৷ পরে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান ফখরুদ্দীন আহমদ তফসিল বাতিল করেন৷ ২১ জানুয়ারি কোনো জাতীয় নির্বাচন আয়োজন না করেই পদত্যাগ করেন এম এ আজিজ৷
-
এক নজরে সব নির্বাচন কমিশন
শামসুল হুদা কমিশন
সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে এমএ আজিজের উত্তরসূরী হন এটিএম শামসুল হুদা৷ তার কমিশন ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে নবম জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা করে৷ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন হয় ওই কমিশনের সময়েই। সংলাপ করে নির্বাচনি আইন সংস্কার করা হয়। চালু হয় রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের নিয়ম ও ইভিএম। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৩০, বিএনপি ৩০ ও জাতীয় পার্টি ২৭ আসন পায়।
-
এক নজরে সব নির্বাচন কমিশন
রকিবুদ্দিন কমিশন
ইসি পুনর্গঠনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের পর সার্চ কমিটি গঠন করেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান। ২০১২ সালের ০৯ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব নেন সাবেক আমলা কাজী রকিবুদ্দিন আহমদ৷ সংসদে বাতিল হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা৷ ক্ষমতাসীন দলের অধীনে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়৷ বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দলের বর্জন করা নির্বাচনে ১৫৩ জন সংসদ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন৷
-
এক নজরে সব নির্বাচন কমিশন
নুরুল হুদা কমিশন
এবারও সংলাপ আয়োজন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবুল হামিদ৷ সিইসি করা হয় সাবেক আমলা কে এম নুরুল হুদাকে৷ দ্বাদশ ইসির যাত্রা শুরু হয় ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশনের নতুন কার্যালয় নির্বাচন ভবনে। তার অধীনে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলেও ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ পাওয়ায় যায়৷ বর্তমান কমিশনের মেয়াদ রয়েছে ২০২২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
-
এক নজরে সব নির্বাচন কমিশন
এরপর কে?
সংবিধান অনুসারে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে আইন করার কথা থাকলেও তা এবারও করা হয়নি৷ ফলে আবারও রাষ্ট্রপতি মো. আবুল হামিদ রাজনৈতিক দলগুলোকে এ নিয়ে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন৷ তবে এই সংলাপের আহ্বানকে ‘অর্থহীন’ উল্লেখ করে তাতে যোগ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি, বাসদ, সিপিবিসহ বেশ কয়েকটি দল৷