1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নকল মার্কিন যুদ্ধজাহাজে ইরানের হামলা

২৯ জুলাই ২০২০

উপসাগরীয় অঞ্চলে অভিনব সামরিক মহড়া চালালো ইরান। মিসাইল ছোড়া হলো নকল মার্কিন যুদ্ধজাহাজে। অ্যামেরিকা এর প্রতিবাদ করেছে।

https://p.dw.com/p/3g5ZN
ছবি: picture-alliance/AP Photo/Sepahnews

আচমকাই যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গিয়েছিল মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় অঞ্চলে। মিসাইল হামলার হাই অ্যালার্ট জারি হয়ে গিয়েছিল মার্কিন নৌসেনার একাধিক যুদ্ধ জাহাজে। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই বোঝা যায়, যুদ্ধ নয়, সামরিক মহড়ায় নেমেছে ইরানের সেনা বাহিনী। তবে সেই মহড়াও অভিনব। উপসাগরীয় অঞ্চলে নকল মার্কিন যুদ্ধজাহাজ তৈরি করা হয়েছিল। এরপর ইরানের রেভোলিউশনারি গার্ড সেই জাহাজ লক্ষ্য করে মিসাইল ছোড়ে। গুড়িয়ে দেওয়া হয় নকল মার্কিন যুদ্ধ জাহাজ।

মঙ্গলবারের এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। তেহরানের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই খারাপ। ট্রাম্প সরকার ইরানের উপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে রেখেছে। তারই মধ্যে রেভোলিউশনারি গার্ডের গুরুত্বপূর্ণ এক কম্যান্ডারকে হত্যা করেছে অ্যামেরিকা। যার জেরে কার্যত যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গিয়েছিল দুই দেশের মধ্যে। করোনা এসে দুই দেশের সেই তিক্ত সম্পর্কে খানিকটা হলেও জল ঢেলেছিল। আপাত দৃষ্টিতে পরিস্থিতি খানিকটা স্বাভাবিক হয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার ইরানের সেনাবাহিনী বুঝিয়ে দিল, অ্যামেরিকার প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি এতটুকু বদলায়নি। বস্তুত, এ দিনের মহড়ার পর রেভোলিউশনারি সেনার তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়েছে, উপসাগরীয় অঞ্চলে ইরানের ক্ষমতা দেখানোর জন্যই ওই নকল মহড়ার আয়োজন করা হয়েছিল। বস্তুত, গোটা মহড়াটি টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়েছে। দেশের মানুষকে দেখানো হয়েছে, ইরানের ক্ষমতা।

অ্যামেরিকাও প্রাথমিক ভাবে ইরানের এই অভিনব মহড়ায় হতচকিত হয়ে গিয়েছিল। উপসাগরীয় অঞ্চলে দুইটি মার্কিন যুদ্ধ জাহাজে হাই অ্যালার্ট ঘোষণা হয়েছিল। তবে খানিকক্ষণের মধ্যেই বোঝা যায়, এটি ইরানের সামরিক মহড়া। আসল যুদ্ধ নয়। তবে যে ভাবে ইরান এ কাজ করেছে, তার তীব্র সমালোচনা করেছে অ্যামেরিকা। উপসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন নৌ বাহিনীর কম্যান্ডার বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, ''এই অঞ্চলে অ্যামেরিকা সহযোগী দেশগুলিকে নিয়ে উপসাগরের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করে। এই অঞ্চলকে রক্ষা করাই আমাদের লক্ষ্য। আর ইরান সেখানে নিজেদের আক্রমণাত্মক চেহারা প্রকাশ করছে। যা এই অঞ্চলের শান্তি প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।'' বস্তুত, যে ভাবে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ধ্বংস করার ছবি দেখানো হয়েছে, তা মোটেই ভালো ভাবে নেয়নি অ্যামেরিকা।

এ দিন টেলিভিশনে দেখা গিয়েছে, নকল মার্কিন যুদ্ধজাহাজ লক্ষ্য করে একের পর এক মিসাইল আক্রমণ চালাচ্ছে ইরান। নকল ফাইটার জেটও দেখা গিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ইচ্ছে করেই ইরান এই কাজ করেছে। প্রতিবেশী দেশগুলিকে ইরান বুঝিয়ে দিতে চেয়েছে যে, উপসাগরীয় অঞ্চলে এখনও তাদের শক্তি অটুট। একই সঙ্গে অ্যামেরিকাকেও একই বার্তা দিতে চেয়েছে তারা।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এএফপি)