1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সমালোচনার মুখে ট্রাম্প

এসবি/এসিবি (এএফপি, ডিপিএ)১৮ জুলাই ২০১৮

হেলসিংকিতে শীর্ষ বৈঠকের পর রুশ প্রেসিডেন্ট পুটিনের প্রশংসা ও মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলির প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প৷ বাধ্য হয়ে সুর বদলালেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/31dDS
ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
ছবি: picture-alliance/O. Douliery

ভ্লাদিমির পুটিন বা রাশিয়া সম্পর্কে কোনো কটু বাক্য নয়৷ অথচ প্রকাশ্যে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলির কাজে অনাস্থা প্রকাশ করলেন ট্রাম্প৷ সেই সঙ্গে রুশ-মার্কিন সম্পর্কের অবনতির জন্য ওয়াশিংটনেরই ‘নির্বুদ্ধিতা' নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তিনি৷ প্রকাশ্যে এমন মনোভাব দেখিয়ে ওয়াশিংটনে ফিরে তার পরিণতি টের পেলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷ বিশেষ করে নিজের রিপাবলিকান দলে তীব্র সমালোচনার ঝড় তাঁকেও কিছুটা নাড়িয়ে দিয়েছে৷

সেই ধাক্কা সামলাতে তিনি একটি অজুহাত খাড়া করেছেন৷ হোয়াইট হাউসে রিপাবলিকান সংসদ সদস্যদের এক প্রতিনিধিদলকে ট্রাম্প বলেন, হেলসিংকিতে সংবাদ সম্মেলনে তাঁর বাক্যে একটি ভুল ছিল৷ তিনি নাকি বলতে চেয়েছিলেন, অ্যামেরিকায় ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপের পেছনে রাশিয়াও থাকতে পারে৷ তাঁর মতে, অন্যরাও জড়িত থাকতে পারে৷ তবে বাকি মন্তব্যগুলি শোধরাবার কোনো চেষ্টা তিনি করেননি৷ মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলির প্রতি সম্পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করেও তিনি পরিস্থিতি সামাল দেবার চেষ্টা করেছেন৷ ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ ঠেকাতে সবরকম পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি আশ্বাস দেন৷

এমন ব্যাখ্যা সত্ত্বেও সমালোচনার ঝড় থেকে নিস্তার পাচ্ছেন না ট্রাম্প৷ রুশ প্রেসিডেন্টের সামনে তিনি যা বলেছেন, পরে সেই মনোভাবে সামান্য রদবদল করে বরং আরও রোষের শিকার হচ্ছেন তিনি৷ সংসদের প্রাক্তন স্পিকার ও ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত রিপাবলিকান নেতা নিউট গিংরিচ এক টুইট বার্তায় লেখেন, রাশিয়ার প্রতি এমন নরম মনোভাব প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর সবচেয়ে বড় ভুল এবং অবিলম্বে তা শোধরাতে হবে৷

যাবতীয় সমালোচনা সত্ত্বেও সার্বিকভাবে রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে শীর্ষ বৈঠককে বিশাল সাফল্য হিসেবে তুলে ধরেছেন ট্রাম্প৷

এদিকে এফবিআই-এর প্রাক্তন প্রধান রবার্ট মালার রাশিয়ার সঙ্গে ট্রাম্প শিবিরের সম্পর্কের অভিযোগে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন৷ ট্রাম্প বার বার সেই অভিযোগ অস্বীকার করে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের সমালোচনা করে চলেছেন৷ কিন্তু মালার গত শুক্রবার ১২ জন রুশ সামরিক গোয়েন্দা এজেন্টের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করার পর হোয়াইট হাউসের উপর চাপ বেড়ে চলেছে৷

রাশিয়ার সঙ্গে শীর্ষ বৈঠকের আগে ট্রাম্প যেভাবে ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছিলেন, অ্যামেরিকায় সেই মনোভাবের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ বেড়ে চলেছে৷ সংসদের নিম্ন কক্ষের স্পিকার ও রিপাবলিকান দলের নেতা পল রায়ান স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘‘আমরা আমাদের ন্যাটো জোটসঙ্গী এবং সেই সব দেশের পাশেই রয়েছি, যারা রাশিয়ার আগ্রাসী মনোভাবের মুখে পড়ছে৷'' এক বছর ধরে তদন্তের পর রাশিয়াই যে মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেছিল, তিনি সে বিষয়ে নিশ্চিত৷

রাশিয়ার প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের নরম মনোভাবের অভিযোগের জবাব দিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও সেনেটে পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির সামনে বক্তব্য রাখতে হবে৷ বিরোধী ডেমোক্র্যাট দল হেলসিংকিতে প্রেসিডেন্টের দোভাষীকেও জেরা করতে চায়৷ পুটিনের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে ট্রাম্প কী বলেছেন, তা-ও জানা জরুরি বলে তারা মনে করে৷