দিল্লিতে পেঁয়াজ একশ ছুঁলো, প্রতি কেজি আলুর দাম প্রায় ৬০ টাকা
আলু-পেঁয়াজ, রসুনের দাম বেড়েই চলেছে। দিল্লিতে পেঁয়াজ একশ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আলু ৬০ টাকায়।
পেঁয়াজের দাম বেড়েই চলেছে
দিল্লিতে পেঁয়াজ সেঞ্চুরি করেছে। সাধারণ মানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯২ থেকে একশ টাকা কেজি দরে। আর একটু ভালো মানের হলে ১০৯ টাকা কেজি-তে। কলকাতায় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে।
পিছিয়ে নেই আলুও
আলু ছাড়া ভারতে বাঙালির হেঁসেল অচল। সেই আলুর দামও সমানে বেড়ে চলেছে। কয়েকদিন আগেও যে আলু ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল, দিন কয়েকের মধ্যেই দিল্লিতে তার দাম পঞ্চাশ শতাংশ বেড়ে গেছে। কলকাতায় জ্যোতি আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা কেজিতে, আর চন্দ্রমুখি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে।
রসুনের দাম
রসুনের দামও ভয়ংকর বেড়ে গেছে। দিল্লিতে রসুন বিক্রি হচ্ছে পাঁচশ থেকে ছয়শ টাকা কেজি দরে। কলকাতায় রসুনের দাম হলো সাড়ে চারশ টাকা কেজি।
কেন পেঁয়াজের দাম বেশি?
বিক্রেতাদের বক্তব্য, সেপ্টেম্বরে বৃষ্টি হওয়ায় মহারাষ্ট্র ও মধ্যপ্রদেশে পেঁয়াজের ফসল খারাপ হয়ে গেছে। তারই প্রভাব বাজারে পড়ছে। দাম হুহু করে বাড়ছে। মহারাষ্ট্রের নাসিক থেকে পেঁয়াজ কম আসছে। আমদানি কমে যাওয়ায় এই অবস্থা হয়েছে।
আলুর দাম বাড়ছে কেন?
কলকাতায় আলু ব্যবসায়ী সমিতির হিসাব, গত মরসুমে ৬৩ লক্ষ টনের মতো আলু হিমঘরে ঢুকেছিল। এখন হিমঘর থেকে আলু ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে তা ৩০ টাকা কেজি দরে পাওয়া উচিত। সেটা এত বেশি দামে কেন বিক্রি হচ্ছে, সেটা তাদের কাছেও রহস্য।
আদা-রসুনের কাহিনি
বাজারে কাঁচা আদা এসে যাওয়ায় তার দাম কমেছে। কিন্তু রসুনের উৎপাদন কম হওয়ায় তার চাহিদা অনুযায়ী বাজারে রসুন আসছে না। ফলে দাম বেড়ে গেছে। কেন উৎপাদন কম হয়েছে? এখানেও আবহাওয়াগত কারণই দেখাচ্ছেন বিক্রেতারা।
সাধারণ মানুষের মাথায় হাত
আলু, পেঁয়াজ, রসুন, টমেটো সবই প্রতিদিনের রান্নায় লাগে। তার দাম এতটা বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের মাথায় হাত। বাজারের খরচ অসম্ভব বেড়ে গেছে। ফলে তারা পরিমাণ ছাঁটাই করছেন। আগে এক কেজি পেঁয়াজ কিনলে এখন কিনছেন তিনশ গ্রাম। আলুও কম কিনছেন। দিল্লি, কলকাতার প্রতিটি বাজারের ছবিটা একই।
হেলদোল নেই রাজনৈতিক দলের
দিল্লিতে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস এখন মহারাষ্ট্র নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। তারা আলু-পেঁয়াজের দাম নিয়ে রাস্তায় সেভাবে নামেনি। অন্য বিরোধী দলগুলিও নয়। অনেকগুলি আ়ঞ্চলিক দল কোনো না কোনো রাজ্যে ক্ষমতায় আছে। সেখানেও টাস্ক ফোর্স কতটা কাজ করছে সে প্রশ্ন উঠেছে।