দাবায় ইউরোপের স্থান দখল করছে এশিয়া
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪১০ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া অলিম্পিয়াড চলবে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত৷ সেখানে যাদের খেলার দিকে নজর রাখতে হবে, তারা হলেন ডিং লিরেন, দোম্মারাজু গুকেশ, রাজেশবাবু প্রজ্ঞানানন্দ, অর্জুন ইরিগাইসি, নোডিরবেক আব্দুসাত্তারভ৷ তারা এসেছেন চীন, ভারত আর উজবেকিস্তান থেকে৷
এশীয় এই দাবাড়ুদের সঙ্গে লড়ার একমাত্র সামর্থ্য আছে যুক্তরাষ্ট্র দলের৷ সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন নরওয়ের মাগনুস কার্লসেন আছে প্রতিযোগিতায়৷ তবে তার দলের বাকি দাবাড়ুদের অবস্থা ভালো নয়৷
ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু করায় দাবার একসময়কার সুপারপাওয়ার রাশিয়াকে অলিম্পিয়াডে নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷
ভারতের সোনালি প্রজন্ম
দাবায় ভারতকে নতুন রাশিয়া মনে করা হচ্ছে৷ গত বসন্তে ভারতের ১৭ বছর বয়সি দোম্মারাজু গুকেশ ক্যান্ডিডেটস টুর্নামেন্ট জেতেন৷ এর মানে হচ্ছে, এ বছরের শেষ দিকে তিনি বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন চীনের ডিং লিরেনের বিরুদ্ধে খেলবেন৷
শুধু গুকেশ নয়, ভারতে রাজেশবাবু প্রজ্ঞানানন্দ, অর্জুন ইরিগাইসির মতো দাবাড়ুরাও বিশ্ব ব়্যাংকিংয়ে উপরের দিকে আছেন৷
দেশটির নারীরাও এই খেলায় এগিয়ে আসছেন৷
২০০৭ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ছিলেন ভারতের বিশ্বনাথন আনন্দ৷ তার কারণেই আজ ভারতে দাবার এমন সাফল্য দেখা যাচ্ছে৷
আনন্দের সাফল্যের কারণে ভারতে দাবা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে৷ ক্রমে সারা দেশে দাবার স্কুল গড়ে উঠতে থাকে৷ এসব স্কুল ভারত ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও মধ্যপ্রাচ্যে থাকা ভারতীয়দের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে বলে ডিডাব্লিউকে জানান আনন্দ৷
এসব স্কুলে কিছু শিশুকে পেশাদারদের মতো প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়৷ যেমন দোম্মারাজু গুকেশকে তার নয় বছর বয়সে স্কুলের পড়াশোনা থেকে সরিয়ে এনে দাবায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে৷ তাকে বিশ্বের সব শীর্ষস্থানীয় প্রতিযোগিতায় পাঠানো হচ্ছে৷
বিভিন্ন সরকারি, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান তরুণ দাবাড়ুদের চাকরি দিয়ে তাদেরকে পুরোপুরি খেলায় মনোযোগ দিতে দিচ্ছে৷
উজবেকিস্তান আর আন্ডারডগ নয়
দাবায় পুরুষ বিভাগের বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন চীনের ডিং লিরেন৷ নারী বিভাগের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নও চীনের৷ তার নাম জু ওয়েনজুন৷
এশিয়ার আরেক দেশ উজবেকিস্তানের দাবাড়ুরাও পুরুষদের ব়্যাংকিংয়ে এগিয়ে আসছে৷ ‘‘আমরা আর আন্ডারডগ নই, বরং বর্তমান চ্যাম্পিয়ন,'' বলেন গ্র্যান্ডমাস্টার রুস্তম কাসিমজানভ৷ তিনি কয়েক বছর ধরে উজবেক দাবারুদের প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছেন৷ ২০২২ সালের দাবা অলিম্পিয়াডে নোডিরবেক আব্দুসাত্তারভের নেতৃত্বে উজবেক দল ভারতকে পেছনে ফেলে সোনা জিতেছিল৷
উজবেক সরকার দাবার উন্নয়নে কয়েক বছর ধরে অনেক অর্থ ব্যয় করছে বলে জানান কাসিমজানভ৷
দাবাকে জাতীয় খেলা হিসেবে নির্বাচিত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে৷
হল্গার হাঙ্ক/জেডএইচ