1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

থাইল্যান্ডে তুমুল সংঘর্ষ :১ সৈন্য নিহত

২৮ এপ্রিল ২০১০

ব্যাংককের বাইরে সমাবেশ করার উদ্দেশ্যে রওনা হবার সময়ই সেনাবাহিনী তাদের বাধা দেয়৷ প্রথমে ফাঁকা গুলি ছুঁড়লেও, পরে সেনাবাহিনীর গুলিতে অন্তত ১৮ জন আহত হবার খবর পাওয়া গেছে৷

https://p.dw.com/p/N8X6
সরকার বিরোধী বিক্ষোভে সেনাবাহিনীর বাধা ( ফাইল ফটো)ছবি: AP

থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বুধবার সরকার বিরোধী বিক্ষোভের সময়ই ১ জন সৈন্য নিহত হয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে৷ বুধবার প্রতিবাদকারী ও সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘাত চরম আকার ধারণ করে৷ ব্যাংককের ঠিক বাইরে মহাসড়কের ওপর এই সংঘাত চরম আকার ধারণ করে৷ ভিবাবাদি রাংজিত সড়কের ওপর প্রতিবাদকারীদের পিছু হটতে বাধ্য করার জন্যে দাঙ্গা পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে৷ নিরাপত্তা বাহিনী যখন বিক্ষোভকারীদের ওপর সরাসরি গুলি ছোড়ে, সেইসময়ই ঘটে দূর্ঘটনা৷ ঠিক ঐ সময়টিতেই নিরাপত্তা বাহিনী মোটরবাইকে করে যাওয়া একদল সেনা সদস্যের ওপর গুলি বর্ষণ করে ফেলে, ধারনা করা হচ্ছে, এতেই দূর্ঘটনা ঘটে প্রাণ হারান একজন সৈন্য৷

Flash-Galerie Thailand Politik
১২ই এপ্রিল ব্যাংককে লাল জামা বিক্ষোভকারীদের প্রতিবাদ ( ফাইল ফটো)ছবি: AP

লাল জামা প্রতিবাদকারীরা এদিন ব্যাংককের বাইরে সমাবেশ করার উদ্দেশ্যে একটি বহর তৈরি করে এবং তাদের ব্যাংককের শিবির ছেড়ে রওনা হয়৷ কিন্তু রওনা হবার সময়ই সেনাবাহিনী তাদের বাধা দেয়৷ প্রথমে ফাঁকা গুলি ছুঁড়লেও, পরে সেনাবাহিনীর গুলিতে অন্তত ১৮ জন আহত হবার খবর পাওয়া গেছে৷ আহতদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে, ব্যাংককের উত্তরাঞ্চলে বিমানবাহিনীর ভূমিবল হাসপাতালে৷

তবে সকাল থেকেই লাল জামা প্রতিবাদকারীদের মধ্যে একই সঙ্গে সেনাবাহিনীর সবধরনের বাধা অতিক্রম করার সংকল্প দেখা গেছে৷ থাই সৈন্যরা সরকার বিরোধী বিক্ষোভে গুলি ছুঁড়লে, প্রতিবাদকারীরাও বাড়িতে তৈরী অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর পাল্টা হামলা চালায়৷

তবে সেনাবাহিনী গুলি বর্ষণের সময় রাবার বুলেট ব্যাবহার করেছে কিনা তা জানা যায়নি৷ বুধবার সংঘাত শুরু হয় উত্তরাঞ্চলের শহরতলীর সঙ্গে ব্যাংককের যোগাযোগ রক্ষাকারী প্রধান সড়কটির ওপর৷

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী আপিসিৎ ভেজ্জাজিভার সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চায় লাল জামা বিক্ষোভকারীরা৷ ছয় সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বিক্ষোভকারীরা ব্যাংককের শিবিরে অবস্থান করছে৷ সংসদ ভেঙ্গে নতুন করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের যে দাবি প্রতিবাদকারীরা জানিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী ভেজ্জাজিভা ইতোমধ্যেই তা প্রত্যাখ্যান করেছেন৷

প্রতিবেদক: ফাহমিদা সুলতানা

সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার