যুদ্ধ চলছে, একইসঙ্গে চলছিল দুই দেশের শান্তি আলোচনা। কীভাবে যুদ্ধ থামিয়ে সমাধানসূত্রে পৌঁছানো যায়, তা নিয়ে গত কয়েকমাস ধরে ইউক্রেন এবং রাশিয়ার প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা চলছিল। মঙ্গলবার রাশিয়া এবং ইউক্রেন দুই দেশের প্রতিনিধিই জানিয়ে দিয়েছেন, শান্তি আলোচনা আপাতত স্থগিত। কোনোপক্ষই সমাধানসূত্রে পৌঁছাতে পারছে না।
রাশিয়ার অভিযোগ
শান্তিবৈঠক ভেস্তে যাওয়ার জন্য সামগ্রিকভাবে ইউক্রেনকে দায়ী করেছেন রাশিয়ার প্রতিনিধিরা। রাশিয়ার ডেপুটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রেই রুডেনকো বলেছেন, ''কিয়েভ কার্যত আলোচনার টেবিল থেকে উঠে গেছে। আপসমীমাংসার সামান্য সুযোগটুকু তারা রাখেনি।'' রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী লাভরভের বক্তব্য, ইউক্রেন নিজের স্বার্থের কথা ভাবছে না। তারা পশ্চিমা দেশগুলির অঙ্গুলিহেলনে কাজ করছে। পশ্চিমা দেশগুলি ইউক্রেনকে কার্যত ব্যবহার করছে নিজেদের স্ট্র্যাটেজি সাজানোর জন্য। এতে ইউক্রেনের কোনো লাভ হবে না। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য, ''আমরা সবসময়ই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান চেয়েছিলাম। কিন্তু ইউক্রেন তা হতে দিচ্ছে না।''
ইউক্রেনের বক্তব্য
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পরামর্শদাতা মিখাইলো পদোলিয়াক জানিয়েছেন, আলোচনা স্থগিত করতেই হলো কারণ, রাশিয়া কোনোরকম দাবিই মানতে রাজি নয়। তারা কোনো সমাধানসূত্রেও পৌঁছাতে চাইছে না। রাশিয়ার অবস্থান অত্যন্ত নেতিবাচক বলে অভিযোগ করেছেন পদোলিয়াক।
সুইডেন-ফিনল্যান্ড নিয়ে রাশিয়া
সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডের ন্যাটোয় যোগদান নিয়ে সরকারিভাবে বিবৃতি দিয়েছে রাশিয়া। মঙ্গলবার রাশিয়া জানিয়েছে, ওই দুই দেশ ন্যাটোয় যোগ দিতে চাইলে তাদের কিছু বলার নেই। বিষয়টিকে তারা হুমকি হিসেবেও দেখছে না। কারণ, ন্যাটোয় যোগ দেওয়ার আগেও একাধিক ন্যাটোর মহড়ায় এই দুই দেশ যোগ দিয়েছে। দেখার বিষয় হলো ওই দুই দেশের জমি ন্যাটো সেনাঘাঁটি তৈরিতে ব্যবহার করে কি না। তা করা হলে রাশিয়া উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। পূর্ব ইউরোপে রাশিয়ার সীমান্তে ন্যাটো সেনা মোতায়েন করলে রাশিয়াকে তার উত্তর দিতে হবে।
খেরসনে রাশিয়ার ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী
রাশিয়ার ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী মারাত খুসনুলিন মঙ্গলবার খেরসনের দক্ষিণের এলাকাগুলি ঘুরে দেখেন। কথা বলেন সেখানকার স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে। ইউক্রেনের খেরসন প্রদেশ রাশিয়ার বৃহত্তর পরিবারে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা করে নেবে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন বলে ইউক্রেনের সংবাদমাধ্যমের দাবি।
-
ইউক্রেনে ‘রাশিয়ার’ বিজয় উদযাপন
রুশ বাহিনীর প্রতীক নিয়ে পদযাত্রা
মারিউপল দখলে নেয়ার পর তা ঘোষণা করেই জানিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন৷ তারপর থেকে মোটামুটি রাশিয়ার একটি শহরের মতো করেই চলছে বন্দর নগরটির জনজীবন৷ সোমবার রাশিয়ায় যেমন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিজয় দিবস পালিত হয়েছে, ইউক্রেনের শহরটিতেও পালন করা হয়েছে ঐতিহাসিক সদিন৷ ছবিতে রুশ সেনাবাহিনীর প্রতীক সেন্ট জর্জেস রিবন নিয়ে নিয়ে পদযাত্রার মুহূর্ত৷
-
ইউক্রেনে ‘রাশিয়ার’ বিজয় উদযাপন
সংগীত পরিবেশন
এক সময় রাশিয়া এবং ইউক্রেন দুই ভূখণ্ডই ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত৷ তাই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের জয়ের সঙ্গে তাদের সম্পর্কটা ঐতিহাসিক৷ তবে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর বাস্তবতা বদলে গেছে৷ মারিউপলে সোভিয়েত বাহিনীর বিজয় উদযাপনের অনুষ্ঠানে রুশপন্থি এই শিল্পী যখন গান গাইছিলেন, তখন ইউক্রেনের অনেক জায়গায় রাশিয়ার সৈন্যদের বিরুদ্ধে ইউক্রেনীয়রা লড়ছিল৷
-
ইউক্রেনে ‘রাশিয়ার’ বিজয় উদযাপন
মেলার আবহ
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের সেনাবাহিনীর ঐতিহাসিক বিজয়ের ৭৭তম বার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে আনন্দমেলার আবহে৷ ছবিতে টিনজাত মাংস সাজানো টেবিল ঘিরে অনুষ্ঠানে আগতদের ভিড়৷
-
ইউক্রেনে ‘রাশিয়ার’ বিজয় উদযাপন
সোভিয়েত আমলের পতাকা
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিজয় উদযাপনের দিনে মারিউপলের কোথাও কোথাও এভাবে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতাকাও ওড়ানো হয়৷
-
ইউক্রেনে ‘রাশিয়ার’ বিজয় উদযাপন
শৈশবে ফিরে যাওয়া?
ছবির এই প্রবীণ নারী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিজয় দিবসে যেন শৈশবে ফিরে গিয়েছিলেন৷ তখন যেমন মেলায় বেলুন হাতে ঘুরে বেড়াতেন সোমবার সেভাবেই ঘুরতে দেখা যায় তাকে৷
-
ইউক্রেনে ‘রাশিয়ার’ বিজয় উদযাপন
রুশ সেনাদের আনন্দ
মারিউপলের রাস্তায় এক গাড়িতে দুই রুশ সেনা৷ রয়টার্সের সাংবাদিককে ক্যামেরা হাতে দেখে সানন্দে হাত নাড়েন তারা৷
-
ইউক্রেনে ‘রাশিয়ার’ বিজয় উদযাপন
‘দোনেৎস্ক প্রজাতন্ত্রের প্রধান’
ছবির এই ব্যক্তির নাম ডেনিস পুশলিন৷ ইতিমধ্যে ইউক্রেনের দোনেৎস্ককে স্বাধীন প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করে নিজেকে ঘোষণা করেছেন সেই প্রজাতন্ত্রের প্রধান শাসক হিসেবে৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিজয় উদযাপনের আনুষ্ঠানিকতায় তিনিও ছিলেন৷
-
ইউক্রেনে ‘রাশিয়ার’ বিজয় উদযাপন
পথে পথে রুশদের বিজয়ের স্মারক
মারিওপলের এক রাস্তার মোড়ে রুশ ভাষায় ‘৯ মে’ লেখা দুটি বিলবোর্ড৷ ৭৭ বছর আগে এই দিনেই জার্মানির নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের সেনাবাহিনী৷
-
ইউক্রেনে ‘রাশিয়ার’ বিজয় উদযাপন
কঠোর নিরাপত্তা
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিজয় উদযাপন যাতে নির্বিঘ্নে শেষ হয় তা নিশ্চিত করায় সব সময় তৎপর ছিলেন রাশিয়ার সেনাবাহিনীর সদস্যরা৷
বস্তুত, মে মাসের গোড়ায় খেরসন প্রদেশটি পুরোপুরি দখল করে নেয় রাশিয়া। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে খেরসনে রুবেল চালু করে দেওয়া হয়। খেরসনের বর্তমান প্রশাসনও রাশিয়াপন্থিদের হাতে। কিছুদিনের মধ্যেই খেরসনকে সরকারিভাবে রাশিয়ার অংশ হিসেবে ঘোষণার জন্য স্থানীয় প্রশাসন মস্কোর কাছে আবেদন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইইউ-র গ্যাস সিদ্ধান্ত
২০২৭ সালের মধ্যে রাশিয়ার গ্যাস এবং তেলের উপর থেকে নির্ভরতা সম্পূর্ণ সরিয়ে নেওয়া যাবে বলে মনে করছে ব্রাসেলস। মঙ্গলবার একটি ২১০ বিলিয়ন ইউরোর পরিকল্পনা প্রকাশ্যে এনেছে ব্রাসেলস। রয়টার্স সেই পরিকল্পনার খসড়া দেখেছে বলে জানিয়েছে। তাতে ঠিক হয়েছে, ২০৩০ নয়, ২০২৭ সালের মধ্যেই ইউরোপের দেশগুলি অপ্রচলিত শক্তিকে মূলধারায় নিয়ে আসবে। ফলে রাশিয়ার গ্যাস এবং তেলের প্রয়োজন কার্যত শূন্য হয়ে যাবে। তার আগেও অন্য দেশ থেকে গ্যাস এবং তেল নেওয়ার পরিমাণ অনেক বাড়ানো হবে। এই মুহূর্তে রাশিয়ার কাছ থেকে ৪০ শতাংশ গ্যাস নেয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলি। তেল নেয় ২৭ শতাংশ।
-
ইউক্রেন ছেড়ে আসা মানুষের জন্য ইইউ-র নীতি
প্রথমে প্রতিদিন এক লাখ করে
রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত শুরু হওয়ার পর প্রথমদিকে দিনে এক লাখ করে মানুষ ইউক্রেন ছেড়েছেন। প্রাণ বাঁচাতে তারা চলে গেছেন প্রতিবেশী দেশগুলিতে। উপরের ছবিতে দেখা যাচ্ছে, পোল্যান্ডের একটি স্টেশনে ইউক্রেন থেকে আসা মানুষদের সাময়িকভাবে রাখা হয়েছে।
-
ইউক্রেন ছেড়ে আসা মানুষের জন্য ইইউ-র নীতি
এখন দিনে ৪০ হাজার
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কমিশনার ফর হোম অ্যাফেয়ার্স জানিয়েছে, এখন দিনে ৪০ হাজার মানুষ ইউক্রেন ছেড়ে ইউরোপের দেশগুলিতে আসছে।
-
ইউক্রেন ছেড়ে আসা মানুষের জন্য ইইউ-র নীতি
অর্ধেক বাচ্চা
যারা ইউক্রেন ছেড়ে ইউরোপের দেশগুলিতে আশ্রয় নিচ্ছেন, তাদের অর্ধেকই বাচ্চা। আসলে বহু পুরুষ ও নারী হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছেন। তারা বয়স্ক ও বাচ্চাদের পাঠিয়ে দিয়েছেন নিরাপদ আশ্রয়ে। উপরের ছবিটি স্লোভানিয়ায় ইউক্রেন থেকে আসা বাচ্চাদের।
-
ইউক্রেন ছেড়ে আসা মানুষের জন্য ইইউ-র নীতি
সবচেয়ে বেশি মানুষ পোল্যান্ডে
পোল্যান্ডেই ২২ লাখের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। পোল্যান্ড জানিয়েছে, এত কম সময়ের মধ্যে এত মানুষ আশ্রয় নেয়ায় তাদের অভিবাসন নীতি ভেঙে পড়ার মুখে।
-
ইউক্রেন ছেড়ে আসা মানুষের জন্য ইইউ-র নীতি
জার্মানিতে তিন লাখ
জার্মান চ্যান্সেলর ওলফ শলৎস জানিয়েছেন, ইউক্রেন থেকে তিন লাখ মানুষ জার্মানিতে এসেছেন। উপরের ছবিতে বার্লিনের সেন্ট্রাল স্টেশনের সামনে ইউক্রেন থেকে আসা মানুষরা।
-
ইউক্রেন ছেড়ে আসা মানুষের জন্য ইইউ-র নীতি
জার্মানির প্রস্তাব
জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফ্রেজার চিঠি লিখে পোল্যান্ডের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, ইউক্রেন ছেড়ে আসা প্রত্যেকের জন্য ইইউ-র সদস্য দেশগুলি এক হাজার ইউরো করে দিক। ছবিতে পোল্যান্ডের একটি স্টেডিয়ামে ইউক্রেন থেকে আসা মানুষদের প্রবেশের জন্য লম্বা লাইন।
-
ইউক্রেন ছেড়ে আসা মানুষের জন্য ইইউ-র নীতি
ইইউ-র সিদ্ধান্ত
ইইউ-র মন্ত্রীরা সোমবার বৈঠকে বসে ১০ দফা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে, ইউক্রেন থেকে আসা মানুষদের রেজিস্ট্রেশনের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হবে। তাদের যাতায়াত ও পরিবহণের জন্য একটি হাব তৈরি করা হবে। ইইউ কমিশন সেফ হোম নীতি নেবে। তার ফলে যেখানে সবচেয়ে বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন, সেখান থেকে অন্য দেশে কিছু মানুষকে নিয়ে যাওয়া হবে।
-
ইউক্রেন ছেড়ে আসা মানুষের জন্য ইইউ-র নীতি
সহযোগিতার সিদ্ধান্ত
ইইউ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বিভিন্ন দেশে ইউক্রেন থেকে আসা মানুষদের পুনর্বাসনের জন্য সাহায্য করা হবে। এই মানুষদের পাশে দাঁড়াবে সব দেশ। প্রতিটি দেশকে সাধ্যমতো শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে বলা হয়েছে। উপরের ছবিতে ওয়ারশর একটি স্টেডিয়ামে ইউক্রেন ছেড়ে আসা মানুষদের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। অ্যামেরিকাও ইউক্রেন ছেড়ে আসা মানুষদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়াবে বলে জানিয়েছে।
-
ইউক্রেন ছেড়ে আসা মানুষের জন্য ইইউ-র নীতি
কোটায় আপত্তি
কোটা ব্যবস্থায় আপত্তি আছে জার্মানির। তারা চায়, ইউক্রেন থেকে আসা মানুদের বিভিন্ন দেশে ভাগ করে রাখা হোক। সব দেশ যেন ইউক্রেন থেকে আসা মানুষদের প্রতি সমর্থন জানায়।
আন্তর্জাতিক ক্রিমিনাল আদালতের দল
আন্তর্জাতিক ক্রিমিনাল আদালতের একটি বড় দল ইউক্রেনে গিয়ে পৌঁছেছে। তারা ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে দেখবেন এবং রাশিয়ার যুদ্ধপরাধের নমুনা সংগ্রহ করবেন। আন্তর্জাতিক আদালতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ উঠেছে, তার খতিয়ে দেখতেই এই দল ইউক্রেনে পাঠানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
আন্তর্জাতিক আদালত জানিয়েছে, ইউক্রেনে যে তদন্তকারী দল পাঠানো হয়েছে তা ঐতিহাসিক। আন্তর্জাতিক আদালতের ঠিক করে দেওয়া এত বড় তদন্তকারী দল এর আগে কখনো এভাবে তদন্ত করেনি বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের প্রশাসন।
অ্যাজবস্টলের আহত সেনারা
রোববার থেকে মারিউপলের অ্যাজবস্টলের কারখানা থেকে আহত সেনাদের উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। সোম এবং মঙ্গলবারও বেশ কিছু সেনাকে উদ্ধার করা হয়েছে। রাশিয়া তাদের রুশ সেনার দখল করা অঞ্চলে নিয়ে গেছে। সেখানে তাদের হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়েছে। আগেই প্রশ্ন উঠেছিল, রাশিয়া ওই ইউক্রেনীয় সেনাদের ছাড়বে কি না। তাদের ইউক্রেনের হাতে তুলে দেওয়া হবে কি না।
মঙ্গলবার মস্কোর পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাব আনা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, অ্যাজবস্টলের সেনাদের যেন কোনোরকম বন্দিপ্রত্যার্পণ চুক্তিতেও ইউক্রেনের হাতে তুলে দেওয়া না হয়। কারণ ওই সেনারা সকলেই নিও নাৎসি। রাশিয়ার আদালতে তাদের বিচার হবে।
কানে জেলেনস্কি
এদিকে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা নিয়ে কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে বক্তৃতা করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। জেলেনস্কি ভিডিওবার্তায় গোটা বিশ্বের সিনেমাপ্রেমী এবং অভিনেতাদের ইউক্রেনের পাশে থাকার আবেদন জানিয়েছেন। একদা অভিনেতা জেলেনস্কির বক্তৃতায় মুগ্ধ কানে যোগ দেওয়া বহু শিল্পী। প্রকাশ্যে তারা ইউক্রেনের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি, ডিপিএ)