1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

উসকানি বন্ধে তুরস্ককে জার্মানির আহ্বান

১৪ অক্টোবর ২০২০

তুরস্ক নয়, গ্রিস ও সাইপ্রাসের পাশে দাঁড়ালো জার্মানি। জার্মান বিদেশমন্ত্রী হাইকো মাস বলেছেন, গ্রিসের দ্বীপের কাছে তুরস্কের তেলের খোঁজ বন্ধ করতে হবে।

https://p.dw.com/p/3juCc
ছবি: Thomas Imo/photothek/Imago Images

তুরস্ককে সতর্ক করে দিলেন জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস। তিনি বলেছেন, তুরস্ক যেন তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান বিতর্কে উসকানি না দেয়। মাস বলেছেন, তুরস্ক সরকার বারবার বলছে, তারা আলোচনা চায়। তা হলে তারা উসকানি দেয়া বন্ধ করুক।

গ্রিস ও সাইপ্রাস সফরের আগে মাস বলেছেন, ''আমরা তুরস্কের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, তারা যেন একতরফা ব্যবস্থা নিয়ে গ্রিসের সঙ্গে আলোচনা বন্ধ না করে।''  তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ''জার্মানি পুরোপুরি গ্রিস ও সাইপ্রাসের সঙ্গে আছে, তুরস্কের সঙ্গে নয়।''

মাস সে জন্যই গ্রিস ও সাইপ্রাস যাচ্ছেন, কিন্তু তুরস্কে যাচ্ছেন না। মাস বলেছেন, ''আমি এই বিরোধের পরিপ্রেক্ষিতেই সাইপ্রাস ও গ্রিস যাচ্ছি। জার্মানি মনে করে, আলোচনার পরিস্থিতি তৈরির দায় তুরস্কের।''

জার্মানির চ্যান্সেলার ম্যার্কেলের মুখপাত্র জানিয়েছেন, তুরস্ক যে আবার অনুসন্ধানকারী জাহাজ পাঠিয়েছে, তা খুবই অবিবেচক সিদ্ধান্ত। উত্তেজনা কমাবার যে চেষ্টা চলছে, তা এর ফলে ধাক্কা খাবে।

তুরস্ক সোমবারই আবার তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানকারী জাহাজ পূর্ব ভূমধ্যসাগরে পাঠিয়ে দিয়েছে। তা নিয়ে ইউরোপের দেশগুলিতে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তুরস্ককে সতর্ক করে দিয়ে মাস বলেছেন, ''তুরস্ক যেন এমন কোনো কাজ না করে, যাতে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ে। সে ক্ষেত্রে ইইউ-র সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক আরো খারাপ হবে।''

তুরস্ক পূর্ব ভূমধ্যসাগরে আবার অনুসন্ধানকারী জাহাজ পাঠাবার পর সে দেশের জ্বালানিমন্ত্রী বলেছেন, ''আমরা অনুসন্ধানের কাজ করব। আমাদের অধিকার রক্ষার জন্যই এই কাজ করতে হবে।''

তুরস্কের এই পদক্ষেপে গ্রিস ক্ষুব্ধ। তারা জানিয়েছে, ''তুরস্ক পরিকল্পনামাফিক এই এলাকার শান্তি ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত করছে। তুরস্ক যেন অবিলম্বে জাহাজ নিজেদের দেশে ফিরিয়ে নেয়। কারণ, তারা বেআইনি কাজ করছে।  এর থেকে বোঝা যাচ্ছে, তুরস্ক আলোচনাচালাতে ইচ্ছুক নয়।''

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)