দীর্ঘদিন ধরে আফগানিস্তানে আফিম তৈরির জন্য পপি চাষ হয়ে আসছে৷ মূলত ব্যথানাশক ওষুধ তৈরির জন্য পপি গাছ চাষ করা হলেও তা থেকে তৈরি করা বেশিরভাগ আফিমই ব্যবহৃত হয় নেশাদ্রব্য হিসেবে৷
জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ বিষয়ক সংস্থা -র তথ্য অনুযায়ী, সারা বিশ্বের সব আফিমজাত পণ্যের শতকরা ৮৫ ভাগের জোগানদাতা আফগানিস্তান৷ বিশ্বের মোট আফিমসেবীর শতকরা ৮০ জনের চাহিদা পূরণকারীও এশিয়ার এই দেশ৷
১৯৯৬ সালে তালেবান যখন প্রথম দফা ক্ষমতায় আসে, তখন দেশটিতে আফিমের উৎপাদন অনেক কমেছিল৷ পাঁচ বছরের শাসনকালে বছরে মোট আফিম উৎপাদন ১৯৬ মেট্রিক টনে নামিয়ে এনেছিল তখনকার তালেবান সরকার৷ কিন্তু তালেবান সরকারের পতনের পর আফগানিস্তানের কিছু অঞ্চলে আবার আফিমের চাষ বাড়তে থাকে৷ সরকারের চেষ্টা সত্ত্বেও আফিম চাষ তখন নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সামরিক কর্মকর্তা বলেন, মূলত তালেবানের সমর্থক অধ্যুষিত সেসব অঞ্চলে আফিম চাষ ক্রমাগত বেড়ে চলার কারণও তালেবান৷
-
আফগানিস্তানের সরকারি কর্মচারিরাও নামছেন ভিক্ষায়
রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট
গত আগস্টে কাবুলের দখল নেয় তালেবান৷ তারপর মোটামুটি সারা দেশে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করলেও অর্থনীতি দ্রুত চরম বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছে৷ আন্তর্জাদিক দাতা সংস্থাগুলো আফগানিস্তান ছেড়েছে৷ বিদেশি সৈন্যরা চলে যাওয়ার পর থেকে দৃশ্যত বিদেশের কোনো অর্থনৈতিক সহায়তাও পাচ্ছে না তালেবানের আফগানিস্তান৷ প্রসঙ্গত, আফগানিস্তানের নাগরিক সেবা সংশ্লিষ্ট খরচের তিন চতুর্থাংশই বিদেশি সহায়তা নির্ভর৷
-
আফগানিস্তানের সরকারি কর্মচারিরাও নামছেন ভিক্ষায়
ব্যাংকে টাকার অভাব
আশরাফ গনি সরকারের রেখে যাওয়া ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সম পরিমান অর্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পড়ে আছে৷ তালেবান সরকার তা তুলতে পারছে না৷ অন্যদিকে সরকার নির্দিষ্ট অঙ্কের বেশি টাকা তোলায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় অনেকে নিজের জমানো টাকাও প্রয়োজনমতো তুলতে পারছেন না৷ ওপরের ছবিতে এক ব্যাংকের সামনে টাকা তুলতে আসা মানুষদের দীর্ঘ লাইন৷
-
আফগানিস্তানের সরকারি কর্মচারিরাও নামছেন ভিক্ষায়
বেকারত্ব এবং বেতন-সমস্যা
গনি সরকারের আমলের অনেক সরকারি-বেসরকারি কর্মচারি তালেবান আমলে চাকরি হারিয়েছেন৷ এ কারণে আগে থেকেই ধুঁকতে থাকা আফগানিস্তানে বেকারত্ব আরো বেড়েছে৷ তাছাড়া কর্মরতদের অনেকেই বেতন নিয়মিত পাচ্ছেন না বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন৷ ছবিতে বেকারত্ব ও নারীদের ওপর আরোপিত নানা বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে আফগানদের বিক্ষোভ মিছিল৷
-
আফগানিস্তানের সরকারি কর্মচারিরাও নামছেন ভিক্ষায়
খাদ্যের জন্য আসবাব বিক্রি, ভিক্ষা
খাদ্যপণ্যের তীব্র সংকট দেখা দিচ্ছে আফগানিস্তানে৷ দাম বাড়ছে হু হু করে৷ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, খাবার কেনার টাকা জোগাড় করতে তারা এখন ঘরের আসবাবপত্র বিক্রি করছেন৷ সাবেক সরকারি কর্মকর্তা আজমল (ছদ্মনাম) জানান, তিনি এমন কয়েকজন সাবেক চাকুরিজীবীকে চেনেন, যারা ‘‘এখন বাধ্য হয়ে ভিক্ষা করছেন, কিংবা দিনমজুরের কাজ করছেন৷’’
-
আফগানিস্তানের সরকারি কর্মচারিরাও নামছেন ভিক্ষায়
দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা
খরা এবং করোনা মহামারির মাঝে আফগানিস্তান এখন এমন এক অবস্থায় যে বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করছেন, সেখানে চরম মানবিক সংকট অত্যাসন্ন৷ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডাব্লিউএফপি)-র আফগানিস্তান শাখার প্রধান মেরি-এলেন ম্যাকগ্রোয়ার্টি মনে করেন, আফগানিস্তানের অন্তত ৮৭ লাখ মানুষ এ মুহূর্তে ‘‘অনাহার থেকে এক পা দূরে৷’’ এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আফগানিস্তানে অচিরেই ভয়াবহ মানবিক সংকট দেখা দিতে পারে৷
-
আফগানিস্তানের সরকারি কর্মচারিরাও নামছেন ভিক্ষায়
আইএমএফ-এর হুঁশিয়ারি
এদিকে আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের কারণে শরণার্থী সংকট চরম রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)৷ সংস্থাটি বলেছে, আফগানিস্তানের অর্থনীতি এ বছর ৩০ শতাংশ পর্যন্ত সঙ্কুচিত হতে পারে। এর প্রভাবে লাখ লাখ মানুষ চরম দারিদ্র্যকে বরণ করে নিতে বাধ্য হবে৷ এর প্রভাব প্রতিবেশী দেশগুলোতেও নানাভাবে পড়বে বলে মনে করে আইএমএফ৷
-
আফগানিস্তানের সরকারি কর্মচারিরাও নামছেন ভিক্ষায়
ইউরোপীয় ইউনিয়নের আশঙ্কা
ইউরোপীয় ইউনিয়নের নীতি নির্ধারণ কমিটির প্রধান ইয়োসেপ বোরেল-ও আফগানিস্তান নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন৷ গত অক্টোবরে এক ব্লগ পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘‘ভয়ঙ্কর এক মানবিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে আফগানিস্তান৷ সামাজিক-অর্থনৈতিক বিপর্যয় চরম রূপ নিচ্ছে৷ এ পরিস্থিতি আফগানদের এবং আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্যও বিপদ ডেকে আনতে পারে৷’’
সংগঠনটির যোদ্ধারা গত প্রায় দুই দশক অঞ্চলগুলিতে সমর্থন ধরে রাখার জন্য আফিম চাষিদের কোনো বাধা দেয়নি বলে মনে করেন সাবেক আফগান সেনা কর্মকর্তা৷
তবে গত আগস্টে ক্ষমতায় ফেরার পর আফিম চাষ বন্ধ করার ঘোষণা দেয় তালেবান৷ সেই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এখনো কোনো উদ্যোগ নেয়নি সরকার৷ ফলে চরম অর্থনৈতিক সংকটগ্রস্ত দেশটিতে বহু মানুষ আবার নতুন করে ঝুঁকছে আফিম চাষের দিকে৷ ফলে দ্রুত বাড়ছে আফিম চাষ৷ ইউএনওডিসির সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালের তুলনায় চলতি বছরে আফিম চাষ ইতিমধ্যে ৮ শতাংশ বেড়েছে৷
পপির বীজ নিংড়ে বের করা সাদা দুধের মতো রস শুকিয়ে তৈরি হয় আফিম৷ ইউএনওডিসির প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, চলতি বছরে আফগানিস্তানের অর্থনীতিতে ১.৮ বিলিয়ন থেকে ২.৭ বিলিয়ন ডলারের অবদান রাখতে পারে আফিম৷
-
তালেবানের এই আফগানিস্তান
যেন পুরুষের দেশ
তালেবান দখল নেয়ার পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবন ফিরছে আফগানিস্তানে ৷দোকান, অফিস-আদালত খুলছে৷ তবে কোনো জায়গাতেই নারীদের তেমন দেখা যায় না৷ ছবির এই রেস্তোরাঁতেও খেতে আসা সবাই পুরুষ৷
-
তালেবানের এই আফগানিস্তান
লিঙ্গবৈষম্য
কাবুলের এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো আফগানিস্তানের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই এখন ছেলে আর মেয়েদের বসতে হয় আলাদা৷ মাঝে পর্দা অথবা কার্ডবোর্ডের দেয়াল দিয়ে আলাদা করা হয় তাদের৷ প্রতিটি ক্ষেত্রেই নারী-পুরুষের বৈষম্য এভাবে তুলে ধরতে চায় তালেবান৷ এর কারণ জানাতে গিয়ে তালেবান নেতা আব্দুল বাগি হাক্কানি বলেন, ‘‘সহশিক্ষা ইসলামের মূল নীতিমালা এবং আমাদের জাতীয় মূল্যবোধ, রীতিনীতি এবং ঐতিহ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক৷’’
-
তালেবানের এই আফগানিস্তান
নারীর নিয়ন্ত্রিত অধিকার
হেরাতের মসজিদে এভাবেই এখন নামাজ আদায় করতে যান নারীরা৷ নারীদের শুধু নিজের পছন্দের পোশাক পরার অধিকারই কেড়ে নেয়া হয়নি, তালেবানের সাংস্কৃতিক কমিশনের প্রধান আব্দুল্লাহ ওয়াসিক জানিয়েছেন, এখন থেকে খেলাধুলাতেও সীমিত পরিসরে অংশ নিতে পারবেন মেয়েরা৷
-
তালেবানের এই আফগানিস্তান
অলি-গলিতেও সশস্ত্র তালেবান
ছবির এই রাস্তার মতো আফগানিস্তানের সব শহরের সব রাস্তায়ই থাকে তালেবান পাহারা৷ সশস্ত্র তালেবান যোদ্ধারা কেউ পশ্চিমা পোশাক পরেছেন কিনা, তালেবানবিরোধী কিছু করছেন কিনা এসব দিকে কড়া নজর রাখেন৷
-
তালেবানের এই আফগানিস্তান
বেকারত্ব বাড়ছে
কাবুলের রাস্তার পাশে বসে কোনো কাজের সুযোগের অপেক্ষায় কয়েকজন দিনমজুর৷ আফগানিস্তানে বেকারত্ব দ্রুত বাড়ছে৷ জাতি সংঘের আশঙ্কা, বিদেশি সহায়তা না পেলে চলতি বছরের শেষ নাগাদ বেকারত্ব ভয়াবহ পর্যায়ে চলে যেতে পারে, দারিদ্র্যের হারও সর্বশেষ সমীক্ষার ৭২ শতাংশ থেকে বেড়ে শতকরা ৯৮ ভাগ হয়ে যেতে পারে৷
-
তালেবানের এই আফগানিস্তান
তালেবানকে চ্যালেঞ্জ
প্রতিবাদ, বিক্ষোভ রোধে লাঠি, বেত, এমনকি আগ্নেয়াস্ত্রও চালায় তালেবান৷ এ বিষয়ে তালেবানকে সতর্কও করেছে জাতিসংঘ৷ তালেবানের হামলায় এ পর্যন্ত কমপক্ষে চারজন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন অনেক৷ তা সত্ত্বেও নিজেদের অধিকার আদায়ের দাবিতে সোচ্চার নারীরা৷ ওপরের ছবিতে এক নারী বিক্ষোভকারীর হাতের প্ল্যাকার্ডে লেখা, ‘‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা আমাদের (নারীর) ক্ষমতার ফলাফল৷’’
-
তালেবানের এই আফগানিস্তান
তালেবানের নারী সমর্থক
তালেবান দখল নেয়ার পর আফগানিস্তানে তালেবান সমর্থক নারীদেরও দেখা যাচ্ছে৷ ওপরের ছবিতে তালেবান সমর্থক নারীদের বিক্ষোভের এক প্ল্যাকার্ডে লেখা, ‘‘মুজাহিদিনের দৃষ্টিভঙ্গি ও ব্যবহারে আমরা সন্তুষ্ট৷ ’’
-
তালেবানের এই আফগানিস্তান
তালেবানের পক্ষপাত
তালেবানবিরোধীদের সমাবেশে হামলা হয়েছে, সেই খবর প্রকাশ করতে যাওয়া সাংবাদিকদেরও ধরে নিয়ে পিটিয়েছে তালেবান৷ অন্যদিকে তালেবান সমর্থকদের সমাবেশ কাভার করতে আহ্বান জানানো হয় সাংবাদিকদের৷
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেনা কর্মকর্তা মনে করেন, অর্থনৈতিক সংকটে বিপর্যস্ত আফগানিস্তানের একটা উল্লেখযোগ্য অংশের মানুষ সহজ আয়ের উপায় হিসেবে আফিম চাষকে বেছে নেবে এটা খুবই স্বাভাবিক৷ এবং অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতির কোনো আশা জাগাতে না পারা তালেবান সরকার আফিম চাষ রোধে এখন যে খুব কঠোর ব্যবস্থা নেবে না- এটাও অস্বাভাবিক কোনো বিষয় নয়৷
প্রসঙ্গত, তালেবানের বিরুদ্ধে অনেক দিন ধরেই অস্ত্র কেনা এবং বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি হামলা পরিচালনার খরচ তোলার জন্য মাদক ব্যবসানির্ভরতার অভিযোগ আছে৷
-
যে কারাগারে রাখা হতো তালেবান যোদ্ধাদের
দর্শক তালেবান
রাজধানী কাবুল থেকে একটু দূরে পুল-ই চরখি কারাগার৷ এক মাস আগে এখানে গাদাগাদি করে থাকতে হতো আফগান এবং বিদেশি সৈন্যদের হাতে আটক তালেবান যোদ্ধাদের৷ এখন ছবির এই তালেবান সেনার মতো কেউ কেউ দেখতে যান সেই কারাগার৷
-
যে কারাগারে রাখা হতো তালেবান যোদ্ধাদের
যেমন ছিল শোয়ার ব্যবস্থা
পুল-ই চরখির একটা সেল৷ এভাবে ওপরে, নীচে শোয়ার ব্যবস্থা ছিল কারাবন্দিদের৷ তালেবান আফগানিস্তানের দখল নেয়ার আগেই অবশ্য বন্দিদের মুক্তি দেয়া শুরু হয়৷
-
যে কারাগারে রাখা হতো তালেবান যোদ্ধাদের
পড়ার সুযোগ
একটি সেল ঘুরে দেখছেন এক তালেবান সদস্য৷ সব সেলই এখন ফাঁকা৷ ২০২০ সালে তালেবানের সঙ্গে শান্তি চুক্তির উদ্যোগ নেয়া হয়৷ তালেবানের শর্ত দেয়া হয় আগে বন্দি সহযোদ্ধাদের মুক্তি দেয়া শুরু করতে হবে৷ সেই শর্ত মেনে প্রথমে ৪০০ জনকে মুক্তি দেয়া হয়৷ তালেবান ফিরে এসে সব বন্দিকে মুক্তি দেয়৷ একসময় ছবির এই সেলে বই পড়তেতেন কোনো কোনো তালেবান সেনা৷
-
যে কারাগারে রাখা হতো তালেবান যোদ্ধাদের
নোংরা, অগোছালো
কারাগার ঘুরে দেখছেন এক তালেবান সদস্য৷ ক্যামেরায় ধরা পড়া পুরো জায়গাটাই অপরিচ্ছন্ন, অগোছালো৷
-
যে কারাগারে রাখা হতো তালেবান যোদ্ধাদের
আইএস-এর পতাকা
একটা বইয়ের ওপরে ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর পতাকার ছবি৷ বোঝাই যায়, আইএস যোদ্ধা বা তাদের অনুসারীদেরও আটক করে রাখা হতো পুল-ই চরখিতে৷
-
যে কারাগারে রাখা হতো তালেবান যোদ্ধাদের
মামলার নথি
এই ঘরে রাখা হতো কারাবন্দিদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ সংক্রান্ত নথিপত্র৷ সেসবের কিছু নমুনা দেখা যাচ্ছে ডানদিকের আলমারির ওপরে৷
-
যে কারাগারে রাখা হতো তালেবান যোদ্ধাদের
হাতকড়া
একটা সেলে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে কিছু হাতকড়া৷ তালেবান শাসকেরা পুল-ই চরখিকে কারাগার হিসেবেই ব্যবহার করলে আগামীতে এই হাতকড়া পরানো হবে নতুন বন্দিদের৷
-
যে কারাগারে রাখা হতো তালেবান যোদ্ধাদের
আফগানিস্তানের পতাকা
এখানে হয়ত কাজ করতেন আফগানিস্তানের ক্ষমতাচ্যুত সরকারের কোনো সেনা সদস্য বা কোনো কারা কর্মকর্তা৷ তাই টেবিলের ওপরে এখনো দেখা যাচ্ছে আফগানিস্তানের জাতীয় পতাকা৷
-
যে কারাগারে রাখা হতো তালেবান যোদ্ধাদের
বিশাল এক শূন্য কারাগার
বিশাল এক শূন্য কারাগার পুল-ই চরখির এক পাশের সুবিস্তৃত প্রাচীর৷ প্রাচীরের ভেতরে রয়েছে কারাভবন৷ ভবনের সব কক্ষের দরজাই এখন খোলা, কোনো কারাবন্দি নেই সেখানে৷
শবনম ফন হাইন/ এসিবি