1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজকাতার

তালেবানহীন আফগান সম্মেলন কাতারে

১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

রোববার শুরু হয়েছে দুই দিনের সম্মেলন। জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস সম্মেলন পরিচালনা করছেন।

https://p.dw.com/p/4cYZe
কাতারে আফগানিস্তান সম্মেলন
তালেবানহীন আফগান সম্মেলন কাতারেছবি: Eskinder Debebe/UN Photo/Xinhua/picture alliance

আফগানিস্তানের সঙ্গে কীভাবে সম্পর্কের উন্নতি ঘটানো যায়, সেই লক্ষেই এই সম্মেলন শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তালেবান প্রতিনিধিদেরও এই সম্মেলনে অংশ নেয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তারা জানিয়েছেন, সম্মেলনে যোগ দেয়া সম্ভব নয়। জাতিসংঘের দাবি, তালেবানের পক্ষ থেকে একটি শর্ত দেয়া হয়েছিল। সম্মেলনে তাদের সমালোচনা করা যাবে না। কিন্তু জাতিসংঘ এই শর্ত মানতে রাজি হয়নি।

পাশাপাশি তালেবানের শর্ত ছিল, আফগানিস্তান থেকে কেবলমাত্র তারাই প্রতিনিধিত্ব করবে, অন্য কোনো সংগঠন এই সম্মেলনে যোগ দিতে পারবে না। জাতিসংঘ সেই শর্ত মানতেও রাজি হয়নি। ফলে শেষ মুহূর্তে তালেবন জানিয়ে দেয়, তারা এই সম্মেলনে যোগ দেবে না।

নরওয়ের রিফিউজি কাউন্সিলের প্রধান জ্যান এগেল্যান্ড এক্স-এ লিখেছেন, 'দোহার সম্মেলনে তালেবানের যোগ নেওয়া দেয়া অত্যন্ত দুঃখজনক। সমস্ত পক্ষের কাছে আমার আর্জি, আফগানিস্তানের জনগণের কথা ভেবে সকলে একটি মতৈক্যে পৌঁছান।'

তালেবান যোগ না দিলেও আফগানিস্তানের বেশ কিছু মানবাধিকার সংগঠন এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছে। সম্প্রতি জাতিসংঘ আফগানিস্তানের সামাজিক এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে একটি রিপোর্ট পেশ করেছে। সম্মেলনে তা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। আফগানিস্তানের মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলি নারীর উপর তালেবানের 'অত্যাচারে'র বিষয়টি সামনে নিয়ে আসতে পারে। তবে তালেবান এই সম্মেলনে যোগ না দেয়ায়, শেষপর্যন্ত লাভ কতটা হবে, তা নিয়ে বহু বিশেষজ্ঞই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।

উল্লেখ্য ২০২১ সালের ১৫ অগাস্ট আফগানিস্তানে দ্বিতীয়বার ফিরে আসে তালেবানের সরকার। ক্ষমতায় এসে তারা বেশ কিছু অধিকারের কথা বললেও, ক্রমশ নারীর অধিকার খর্ব করা হয়েছে আফগানিস্তানে। তাদের হাই স্কুলে যাওয়া বন্ধ করা হয়েছে। কাজের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এনিয়ে আফগানিস্তানের ভিতরেও বেশ কিছু মানবাধিকার সংগঠন সোচ্চার হয়েছে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)