তাইওয়ানে কালো ভালুক রক্ষার চেষ্টা
তাইওয়ানের পরিচয়
বুকে ভি-আকারের সাদা চিহ্নওয়ালা এই ভালুকের নাম ‘ফরমোজান ব্ল্যাক বিয়ার’৷ অতীতে তাইওয়ান আন্তর্জাতিকভাবে ফরমোজা নামে বেশি পরিচিত ছিল৷ এই ভালুককে তাইওয়ানের পরিচয়ের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়৷ বর্তমানে এমন ভালুকের সংখ্যা মাত্র কয়েকশ৷
ফাঁদে মৃত্যু
তাইওয়ানের আদিবাসীরা হরিণ ও শূকর ধরার জন্য বনে ফাঁদ পাতেন৷ কিন্তু এসব ফাঁদে মাঝেমধ্যে ফরমোজান ভালুক ধরা পড়ে৷ বেসরকারি সংস্থা তাইওয়ান ব্ল্যাক বিয়ার কনজারভেশন অ্যাসোসিয়েশনের হিসাবে, ২০১৪ সাল থেকে ১৮টি ভালুক এসব ফাঁদে ধরা পড়েছে৷ এর মধ্যে ছয়টিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে৷ বাকিগুলোর মধ্যে কয়েকটি মারাত্মকভাবে আহত হয়েছিল৷
যে কারণে মৃত্যু
আদিবাসীরা সাধারণত মেটাল ফাঁদ পাতেন৷ এতে ধরা পড়লে হাড় ভেঙে যেতে পারে বা থাবা বা পায়ের আঙুল মারাত্মকভাবে জখম হতে পারে৷ এছাড়া আটকে পড়া প্রাণিটি যত বাঁচার চেষ্টা করে তত ফাঁদের বাঁধন শক্ত হতে থাকে৷ ফলে একসময় রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে জানান পশুপাখির তত্ত্বাবধায়ক লিউ লি-ওয়েন৷
নতুন ফাঁদ
বন্যপ্রাণীর মৃত্যু ও আহত হওয়া কমাতে বন ও প্রকৃতি সংরক্ষণ সংস্থা শিকারি ও কৃষকদের নতুন ধরনের ফাঁদ ব্যবহারের অনুরোধ করছে৷ এসব ফাঁদ দিয়ে ছোট প্রাণী ধরা যাবে এবং এগুলোতে আটকে পড়লে প্রাণীদের এমন অবস্থা হবে না যে, তাদের অঙ্গ কেটে ফেলতে হবে৷
আর্থিক সুবিধা
প্রকল্পের আওতায় শিকারি ও কৃষকদের পাঁচ হাজার ৬০০-র বেশি ট্র্যাপ দেওয়া হয়েছে৷ ভালুকের থাবা আকারে বড় হওয়ায় এসব ট্র্যাপে সেগুলো ধরা পড়বে না৷ এসব ট্র্যাপে ভালুক ধরা পড়লে আর্থিক সুবিধা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে৷