1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তরুণ মজুমদার প্রয়াত

৪ জুলাই ২০২২

তরুণ মজুমদার আর নেই। সোমবার সকালে ৯১ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন পশ্চিমবঙ্গের অত্যন্ত জনপ্রিয় এই চলচ্চিত্র পরিচালক।

https://p.dw.com/p/4Dbfh
তরুণ মজুমদার আর নেই।
তরুণ মজুমদার আর নেই। ছবি: Satyajit Shaw/DW

তিনি কিডনি ও হৃদয়ন্ত্রের সমস্যায় কিছুদিন ধরে ভুগছিলেন। সোমবার কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

দীর্ঘ সময় ধরে পরিচালনার জগতে ছিলেন তরুণ মজুমদার। তার পরিচালিত প্রথম সিনেমা উত্তম-সুচিত্রার 'চাওয়া পাওয়া'। তবে 'চাওয়া পাওয়া'-য় তরুণ মজুমদার একা পরিচালক ছিলেন না। তিনি, শচীন মুখোপাধ্যায় এবং দিলীপ মুখোপাধ্যায় মিলে তৈরি করেছিলেন যাত্রিক। যাত্রিকই ছিল 'চাওয়া পাওয়া'-র পরিচালক। বছর চারেক যাত্রিকের সঙ্গে ছিলেন তরণ মজুমদার। তারপর নিজে পরিচালনার কাজ শুরু করেন।

একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন তরুণ মজুমদার। তার ছবি মানেই ছিল পরিচ্ছন্ন সিনেমা, নিটোল গল্প এবং প্রচুর গান। দীর্ঘসময় ধরে তার ছবির সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। তরুণ মজুমদার এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তার সঙ্গে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের জুটি রেকর্ড সময় ধরে চলেছিল। সিনেমায় তার গল্প বলার ধরণ ছিল খুবই মনোগ্রাহী।

তরণ মজুমদারের জনপ্রিয় ও প্রশংসিত সিনেমার মধ্যে আছে, বালিকা বধূ, দাদার কীর্তি, শ্রীমান পৃথ্বীরাজ, ভালোবাসা ভালোবাসা, আপন আমার আপন, গণদেবতা, অমরগীতি, সংসার সীমান্তে, পলাতক, নিমন্ত্রণ ও আলো। চারবার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। পদ্মশ্রী সম্মানও পেয়েছেন।

বারবার নতুন নায়ক-নায়িকাকে তুলে এনেছেন তিনি। কাচের স্বর্গে তিনি নায়ক করেন দিলীপ মুখোপাধ্যায়কে। বালিকা বধূতে মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়, দাদার কীর্তিতে তাপস পালের মতো প্রচুর উদাহরণ আছে, যেখানে আনকোরা নায়ক-নায়িকাকে নিয়ে কাজ করে সফল হয়েছেন তরুণ মজুমদার।

সেই মানুষটি চলে গেলেন। টলিউডে একটা যুগাবসান ঘটলো।

জিএইচ/কেএম(পিটিআই)