ঢাক আর ঢাকির গল্প
মহাষষ্ঠী থেকে বিসর্জন, দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতার সবখানেই ঢাকের বাজনা৷ ছবিঘরে রইল দেশের কয়েকটি জেলার মন্দিরে ঢাকিদের ঢাক বাজানোর গল্প৷
টাঙ্গাইলের ঢাকি নেপাল
ঢাকার নিকটবর্তী টাঙ্গাইল জেলার প্যারাডাইস পাড়া মন্দির, কলেজ পাড়া মন্দিরসহ সব মন্দিরেই শোনা যাচ্ছে ঢাকের ডাক৷ ওই এলাকার ঢাকিদের অনেকে কয়েক প্রজন্ম ধরে ঢোল বাজান৷ তাদেরই একজন নেপাল চন্দ্র দাস৷ জেলার দেলদুয়ার উপজেলার পুটিয়াজানীর নেপাল চন্দ্র বংশ পরম্পরায় ঢাক বাজানোর কাজ করেন৷ জানালেন, ছোটবেলা থেকেই বাবা-দাদার সাথে পূজায় ঢোল বাজাতেন৷ সেখান থেকেই ঢাক বাজানো শেখা৷
চট্টগ্রামে নিমাই চন্দ্র জলদাসের দল
বন্দরনগরী চট্টগ্রামের পূজামণ্ডপগুলোও ঢাকের ডাকে সরগরম৷ চট্টগ্রামের এক মণ্ডপে দেখা হয় ঢাকি নিমাই চন্দ্র জলদাসের সাথে৷ তিন প্রজন্ম ধরে এই পেশায় নিয়োজিত নিমাইয়ের বাবা এবং দাদাও পেশাদার ঢাকি ছিলেন৷ নিমাইয়ের হাত ধরে এই পেশা যাবে তার ছেলের হাতে৷
কুমিল্লার বাবা-ছেলে
পৈত্রিক পেশা হিসেবে ১৫ বছর ধরে ঢাক বাজান শ্রী মানিক চন্দ্র মনি ঋষি ও তার বাবা গজেন্দ্র চন্দ্র মনি ঋষি৷ বাড়ি কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার বোড়ারচর গ্রামে৷ তারা যে শুধুই পূজাতেই ঢাক বাজার তা নয় বরং ওরস, বিয়েসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও রয়েছে তাদের এই গুণের কদর৷
ঝিনাইদহের অজিত কুমারের দল
অজিত কুমার দাস ও কৃষ্ণ কুমার দাস মিলে তৈরি করেছেন ঢাকের দল৷ ঝিনাদহের পুরাতন হাটখোলার এই মন্দিরে অনবরতই শোনো যায় তাদের ঢাকের ডাক৷ পেশায় ঢাকি হলেও সংসার চালাতে অন্যান্য কাজকর্মও করতে হয় বলে জানালেন অজিত৷
গাজীপুরে শতাধিক ঢোলি
গাজীপুর মহানগরে ১০৭টি পূজা মণ্ডপে দেশে বিভিন্ন স্থান থেকে ৫দিনের জন্য ভাড়ায় এসেছেন প্রায় শতাধিক ঢোলি৷ সেখানে কথা হয় গাজীপুর মহানগর পোড়াবাড়ি মন্দিরে আগত হিমেল চন্দ্র দাসের সাথে৷ হিমেল বরেন, ‘‘গত ১০ বছর যাবত পূজায় ঢোল বাজিয়ে আসছেন৷ দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে সকাল সন্ধ্যায় ঢাকঢোল বাজিয়ে মাতিয়ে রাখতে হয় পুরো মণ্ডপ ৷ এক মিনিটের জন্য বিরতিতে যেতে পারি না৷’’