ঢাকায় পবিত্র শবে বরাত
শবে বরাত পালিত হলো ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশে৷ এটি হিজরি শাবান মাসের ১৪ ও ১৫ তারিখের মধ্যবর্তী রাতে পালিত মুসলিমদের গুরুত্বপূর্ণ রাত৷ ইসলামী বিশ্বাস মতে, এই রাতে আল্লাহ তার ক্ষমাপ্রার্থী বান্দাদের বিশেষভাবে ক্ষমা করেন৷
রাতভর মসজিদে
রোববার দিবাগত রাতে ঢাকায় শবে বরাত পালিত হয়৷ মুসলিমরা নফল ইবাদতের মাধ্যমে রাতটি পালন করেন৷ জিকির ও দোয়ার আয়োজন থাকে মসজিদগুলোতে৷ ঢাকায় অনেকেই যান জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে৷
কবর জিয়ারত শেষে দান
মৃত স্বজনের কবর জিয়ারত করার পর দান-খয়রাত করে থাকেন অনেকে৷ তাই আজিমপুর কবরস্থানে যাওয়ার সড়কে শত শত মৌসুমি ভিক্ষুকের ভিড় থাকে রাতভর৷
ফুটপাতে টুপির পসরা
শবে বরাতে টুপির চাহিদা অনেক বেড়ে যায়৷ তাই দিন থেকেই টুপি বিক্রি করতে বসে যান ফুটপাতের মৌসুমী ব্যবসায়ীরা৷
শবে বরাতে পুরান ঢাকা
অন্যান্য উপলক্ষ্যের মতো শবে বরাত উদযাপনেও পুরান ঢাকার আলাদা ঐতিহ্য আছে৷ নবাবি যুগের সেই জৌলুস না থাকলেও তার রেশ এখনো বেশ কিছুটা রয়ে গেছে৷
শবেবরাতি বা ফেন্সি রুটি
একসময় নাম ছিল শবেবরাতি রুটি৷ এখন লোকে বলে ফেন্সি রুটি৷ ফুটপাত থেকে অভিজাত বেকারি দোকান- শবে বরাতে পুরান ঢাকায় এই রুটি বিক্রির ধুম পড়ে যায়৷
আনন্দ বেকারিতে ভিড়
পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী খাবার দোকান আনন্দ বেকারি৷ শবে বরাত উপলক্ষ্যে এখানে ফেন্সি রুটি কিনতে ক্রেতাদের ভিড় জমে যায়৷ অন্যান্য পদও দেদার বিক্রি হয়৷
নকশা গড়া রুটি
শবেবরাতি রুটিতে নানা আদল আনা হয়৷ এরমধ্যে আছে মাছ, পাখি, কুমির আকৃতির রুটি৷ বিশেষ কায়দায় এগুলোতে চোখের প্রতিকৃতিও বসানো হয়৷
সুস্বাদু হালুয়া
শবে বরাত উপলক্ষ্যে হালুয়া-রুটি খাওয়া ও বিলি করার প্রচলন আছে৷ বিশেষ মিষ্টান্ন হালুয়া ঘরে তৈরির পাশাপাশি পুরান ঢাকার দোকানে দোকানে বিক্রি করতে দেখা যায়৷
রুটি যাবে স্বজনের বাড়ি
পুরান ঢাকার অভিজাত পরিবারগুলো আত্মীয় বাড়ি, বিশেষ করে মেয়ের শ্বশুরবাড়ি উপহার হিসেবে পাঠায় ফেন্সি রুটি৷
ইফতারির আয়োজন
শবে বরাত উপলক্ষ্যে অনেকেই নফল রোজা রাখেন৷ তাই পুরান ঢাকার অনেক খাবার হোটেলে ইফতারির নানা পদ বিক্রি হয়৷ অলিগলিতে ছোলা, পিঁয়াজু, চপ বিক্রি করতে বসে যান অনেকে৷