এর পরিবর্তে, করোনা নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাজ্যকে অঞ্চলভেদে বিভিন্ন স্তরে ভাগ করা হবে, যেমনটা করা হয়েছিল এর আগেও৷ এই অঞ্চলভিত্তিক ‘টিয়ার্ড সিস্টেম' কিছু নির্দিষ্ট অংশগুলিতে, যেখানে বেশি সংক্রমণ রয়েছে, সেখানে কড়াকড়ি বাড়াবে৷ একেবারে উপরের স্তরে, সমস্ত পানশালা, রেস্টুরেন্ট বন্ধ রাখা হবে ও সর্বোচ্চ দুটি বাসার মানুষদেরই একে অপরের সাথে মিশতে দেওয়া হবে৷ কিন্তু অন্যান্য টিয়ারগুলোতে ঠিক কী কী কড়াকড়ি থাকবে, তা এখনও বিস্তারিত জানা যায়নি৷ জনসন জানিয়েছেন যে দেশের বেশিরভাগ অংশই সবচেয়ে বেশি কড়াকড়ির দুটি স্তরের মধ্যেই থাকবে৷ এই নিয়মের আওতায় থাকবে ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস ও উত্তর আয়ারল্যান্ড৷
-
জার্মানিতে করোনা ভাইরাসের টিকা আবিষ্কারে মুসলিম দম্পতি
২০০৮ সালে শুরু
জার্মান শহর মাইনৎসে ১২ বছর আগে বায়োনটেকের পথচলা শুরু হয়৷ এই কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ উগুর জাহিন এবং তাঁর স্ত্রী ইমিউনোলজিস্ট উজলেম টুরেচি৷
-
জার্মানিতে করোনা ভাইরাসের টিকা আবিষ্কারে মুসলিম দম্পতি
তুরস্ক বংশোদ্ভূত
তারা দুইজনই তুরস্ক বংশোদ্ভূত জার্মান নাগরিক৷ এই দম্পতির তৈরি বায়োনটেকে এখন কাজ করে ১৫শ’ কর্মী৷ ৫৫ বছর বয়সি জাহিনের জন্ম তুরস্কে৷ বাবা-মা’র সঙ্গে একসময় জার্মানিতে চলে আসেন তিনি৷ মেডিসিন এবং গণিত নিয়ে পড়ালেখা করেন কোলোন বিশ্ববিদ্যালয়ে৷
-
জার্মানিতে করোনা ভাইরাসের টিকা আবিষ্কারে মুসলিম দম্পতি
ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই
জাহিন কোলোন এবং হামবুর্গে দীর্ঘদিন চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেছেন৷ এরপর জারল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন৷ ১৯৯২ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত একজন চিকিৎসক ও গবেষক হিসেবে সেখানে কাজ করেন৷ মলিকিউলার মেডিসিন এবং ইমিউনোলজি নিয়ে গবেষণা শুরু করেন৷ ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ব্যাপারে তিনি সবসময় আগ্রহী ছিলেন আর এ কারণেই ২০০৮ সালে বায়োনটেক প্রতিষ্ঠা করেন৷ ক্যান্সারের ওষুধ আবিষ্কারের জন্য এখানে মনোনিবেশ করেন তিনি৷
-
জার্মানিতে করোনা ভাইরাসের টিকা আবিষ্কারে মুসলিম দম্পতি
উজলেম টুরেচি
৫৩ বছর বয়সি টুরেচির জন্ম জার্মানিতে৷ কিন্তু তাঁর বাবা-মা তুর্কি৷ হামবুর্গে পড়ালেখা করে, সেখানেই চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেছিলেন তিনি৷ ইমিউনোলজিস্ট টুরেচি ক্যান্সার রোগীদের থেরাপি দিয়ে থাকেন৷
-
জার্মানিতে করোনা ভাইরাসের টিকা আবিষ্কারে মুসলিম দম্পতি
ভ্যাকসিন তৈরির সিদ্ধান্ত
২০০০ সালের জানুয়ারিতে জাহিন করোনা ভাইরাস সম্পর্কে প্রথম জানতে পারেন৷ তখনই তাঁর আশঙ্কা হয় এটি মহামারি রূপ নেবে৷ সেসময়ই ভ্যাকসিন প্রস্তুতের সিদ্ধান্ত নেন তিনি৷
-
জার্মানিতে করোনা ভাইরাসের টিকা আবিষ্কারে মুসলিম দম্পতি
করোনা প্রতিরোধে ভূমিকা
বায়োনটেকের প্রধান নির্বাহী উগুর জাহিন জানিয়েছেন, এই টিকার প্রতিরোধ ক্ষমতা অন্তত এক বছর স্থায়ী হবে৷ যৌথ বিবৃতিতে ফাইজারের চেয়ারম্যান ও তিনি জানিয়েছেন, ‘‘টিকার তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার প্রাথমিক ফলে আমরা প্রমাণ পেয়েছি যে এটি কোভিড-১৯ প্রতিরোধ করতে পারে৷’’
-
জার্মানিতে করোনা ভাইরাসের টিকা আবিষ্কারে মুসলিম দম্পতি
ভ্যাকসিন ট্রায়াল
যাদের আগে কখনও করোনা সংক্রমণ হয়নি, এমন মানুষের ওপর চালানো পরীক্ষায় দেখা গেছে যে টিকা দেয়ার পর শরীরে করোনা ভাইরাস প্রবেশ করলেও তাদের কোভিড-১৯ হয়নি৷ জুলাইয়ের শেষ থেকে শুরু হওয়া তৃতীয় পর্যায়ের এ ট্রায়ালে ৪৩ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ অংশ নিয়েছেন৷ মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা এফডিএর অনুমতির জন্য আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠান দু’টি৷
-
জার্মানিতে করোনা ভাইরাসের টিকা আবিষ্কারে মুসলিম দম্পতি
১৬ হাজার কোটি টাকার চুক্তি
ফাইজার ও বায়োনটেক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টিকা সরবরাহে এরই মধ্যে ১৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি অর্থের চুক্তি সই করেছে৷ চুক্তি সই হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, ক্যানাডা, জাপানের সঙ্গেও৷ ২০২০ সালেই প্রতিষ্ঠান দু’টি পাঁচ কোটি ডোজ টিকা উৎপাদন করবে। ২০২১ সালে আরো ১৩০ কোটি ভ্যাকসিন উৎপাদনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ফিজার৷
-
জার্মানিতে করোনা ভাইরাসের টিকা আবিষ্কারে মুসলিম দম্পতি
বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণ
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাবে বিশ্বজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে পাঁচ কোটি, প্রাণ হারিয়েছেন সাড়ে ১২ লাখেরও বেশি মানুষ৷ ইউরোপসহ বিশ্বের নানা প্রান্তে কয়েক মাস সংক্রমণে ধীরগতি থাকার পর আবার দ্রুত হারে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা৷
লেখক: অমৃতা পারভেজ (কেএম)
টিকার আগমনে বদলাচ্ছে পরিস্থিতি?
বিশ্বে করোনা সংক্রমণের ঢেউ ব্যাপকভাবে আছড়ে পড়েছে যুক্তরাজ্যের ওপর৷ সংক্রমণে প্রাণ হারিয়েছেন ৫৫ হাজার, আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ লাখেরও বেশি মানুষ৷ এর মধ্যে সামনের মাসের নতুন নিয়ম আস্তে আস্তে বিধিনিষেধ শিথিল করবে৷ নতুন নিয়মের আওতায় মানুষ এখন জিমে, দোকানে, সাজগোজের দোকান ইত্যাদিতে আবার যেতে পারবেন৷
শুধু তাই নয়, মানুষ এখন কোনো নির্দিষ্ট প্রয়োজন ছাড়াই বাসা থেকে বেরোতে পারবেন৷ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানেও যোগ দিতে পারবেন যুক্তরাজ্যের মানুষ৷
এই সংকট থেকে উত্তরণ বিষয়ে আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, ‘‘চিকিৎসা পরিষেবা ও টিকা গবেষণায় দ্রুতহারে উন্নতি আমাদের ভরসা দিচ্ছে যে এই সংকটের মোকাবিলা করার জন্য প্রয়োজনীয় বৈজ্ঞানিক সৈন্য প্রস্তুত৷ আমরা জানি যে আগামী বছর এই সংকট কাটিয়ে উঠবই৷ এবছর আমরা যা যা কড়াকড়ির মধ্য দিয়ে গিয়েছি, তা আমাদের আগামী বসন্তে আর করতে হবে না৷ সংকটের কঠিন মোড় পেরিয়ে এসেছি আর সামনে উত্তরণের পথ খুবই স্পষ্ট৷''
টিকা গবেষণা এগোলেও মানুষের ওপর তা চাপিয়ে দিতে চান না জনসন৷ তিনি বলেন, ‘‘টিকা খুবই ভালো জিনিস, টিকা এলে সবারই তা নেওয়া উচিত৷ কিন্তু কাউকে জোর করে টিকা আমরা দেব না৷ আমাদের দেশে তা হয় না৷''
এসএস/কেএম (রয়টার্স, এপি)
-
স্কুল বন্ধ তাই বাড়ছে গর্ভধারণ!
তিনগুণ
কেনিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় শহর লোদওয়ারে কাজ করা দাতব্য সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি’ বলছে, চলতি বছরের জুন-আগস্ট মাসে তাদের গ্রাহকদের মধ্যে গর্ভধারণের সংখ্যা ছিল ৬২৫, যা গতবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় তিনগুন (২২৬)৷ কাছের এক শরণার্থী শিবিরে মার্চ-আগস্টে গর্ভধারণের সংখ্যা ছিল ৫১, যা গতবছর একই সময় ছিল ১৫৷
-
স্কুল বন্ধ তাই বাড়ছে গর্ভধারণ!
সতর্কতা
করোনার কারণে বিভিন্ন দেশে স্কুল বন্ধ থাকায় কিশোরীদের মধ্যে গর্ভধারণের হার বাড়তে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছিল প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা৷ কেনিয়ার নাইরোবির এক বস্তিতে বাস করা ১৭ বছরের স্কুল শিক্ষার্থী জ্যাকলিন বসিবরির (ছবি) ক্ষেত্রে তাই ঘটেছে৷
-
স্কুল বন্ধ তাই বাড়ছে গর্ভধারণ!
বসিবরির গর্ভধারণ
নাইরোবির কিবেরা বস্তিতে (ছবি) এক ঘরে গাদাগাদি করে থাকে বসিবরি, তার পাঁচ ভাইবোন ও মা৷ করোনার সময় দিনের বেলায় মা যখন সব্জি বিক্রি করতে বাইরে গেছে তখন একজনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে ১৭ বছরের বসিবরি৷ পরে গর্ভবতী হয়ে সম্প্রতি সন্তানের জন্ম দিয়েছে সে৷
-
স্কুল বন্ধ তাই বাড়ছে গর্ভধারণ!
স্কুল বন্ধ থাকায়
রয়টার্সকে বসিবরি জানিয়েছে, স্কুল খোলা থাকলে হয়ত সে গর্ভবতী হত না৷ ভবিষ্যতে আইনজীবী হতে চায় সে৷ তাই জানুয়ারিতে স্কুল খুললে সে আবারও পড়াশোনায় ফিরে যেতে চায়৷ ছবিতে বসিবরিকে তার সন্তানকে দুধ খাওয়াতে দেখা যাচ্ছে৷
-
স্কুল বন্ধ তাই বাড়ছে গর্ভধারণ!
সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে
জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের কেনিয়ার প্রধান অ্যাডেমোলা ওলাজিদ বলছেন, সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হওয়ার আশঙ্কায় অনেক কিশোরী গর্ভবতী সেবা নিতে হাসপাতাল বা ক্লিনিকে যেতে চায় না বলে গর্ভধারণের আসল সংখ্যা জানা সম্ভব নয় না৷
-
স্কুল বন্ধ তাই বাড়ছে গর্ভধারণ!
জটিলতা
গর্ভবতী হওয়ার পর হাসপাতালে না যাওয়ায় অনেক কিশোরী বিভিন্ন জটিলতার সম্মুখীন হয়৷ অনেকে অনিরাপদ গর্ভপাতের দিকে যায়৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সি মেয়েদের মৃত্যুর অন্যতম কারণ গর্ভধারণ ও সন্তান জন্মদান৷
-
স্কুল বন্ধ তাই বাড়ছে গর্ভধারণ!
বসিবরির সন্তান ভাল আছে
গর্ভবতী অবস্থায় কঠিন কিছু কাজ করতে বাধ্য হওয়ার পরও বরিসরি ৩.৩ কেজি ওজনের সুস্থ সন্তান জন্ম দিয়েছে৷ ছবিতে বসিবরি ও তার সন্তানের সঙ্গে অন্য বোনদের দেখা যাচ্ছে৷