৩২ ধারায় বলা হয়েছে, ‘‘যদি কোনও ব্যক্তি বে-আইনি প্রবেশের মাধ্যমে কোনও সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বা সংবিধিবদ্ধ কোনও সংস্থার কোনও ধরনের অতি গোপনীয় বা গোপনীয় তথ্য-উপাত্ত, কম্পিউটার, ডিজিটাল ডিভাইস, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, ডিজিটাল নেটওয়ার্ক বা অন্য কোনও ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে ধারণ, প্রেরণ বা সংরক্ষণ করেন বা করতে সহায়তা করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে কম্পিউটার বা ডিজিটাল গুপ্তচরবৃত্তির অপরাধ৷''
আর এই অপরাধের শাস্তি হতে পারে সর্বোচ্চ ১৪ বছরের কারাদণ্ড এবং ২৫ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড৷ একাধিকবার কেউ এই অপরাধ করলে তার শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড৷
এই ধারাটি আইনে পরিণত হলে বাংলাদেশে সবচেয়ে চাপের মুখে পড়বে সাংবাদিকতা, বিশেষ করে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা৷ আর তাই এই আইনের প্রতিবাদে বাংলাদেশের সাংবাদিকরা ‘আমি গুপ্তচর' নামে একটি হ্যাশট্যাগ ক্যাম্পেইনও শুরু করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে৷
এই আইনটি'র বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে বাংলাদেশ সম্পাদক পরিষদ৷গত ৬ ফেব্রুয়ারি সম্পাদক পরিষদ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের হয়রানিমূলক ৫৭ ধারা বাতিল করে ওই ধারার বিতর্কিত বিষয়গুলো প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রেখে দেওয়া এবং এর পাশাপাশি আরও নতুন কয়েকটি কঠোর ধারা সংযোজন করায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন্৷ আমরা অবিলম্বে ৫৭ ধারাসহ আইসিটি আইনের বিতর্কিত সব ধারা বাতিল এবং প্রস্তাবিত নতুন আইনে যুক্ত ৩২ ধারাসহ বিতর্কিত ধারাসমূহ খসড়া থেকে বাদ দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি৷''
-
কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ পেশার কথা
জানালা পরিষ্কার
নিজ বাড়ির জানালা পরিষ্কার করাটা হয়ত ঝুঁকিপূর্ণ নয়৷ কিন্তু সেটা যদি হয় উঁচু কোনো ভবনের, তাহলেই সমস্যা৷ জার্মানির মতো দেশে সুউচ্চ ভবনগুলোর বাইরের দিকটা পরিষ্কারের সময় তাই বেশ কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়৷ তবুও দুর্ঘটনা তো ঘটতেই পারে৷
-
কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ পেশার কথা
যুদ্ধ
বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ চলছে৷ আর যুদ্ধ মানেই প্রাণহানি৷ তাই যুদ্ধে অংশ নেয়াটা যে-কোনো সৈন্যের জন্যই যে মারাত্মক হুমকির, তা বলাই বাহুল্য৷
-
কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ পেশার কথা
পাইলট
ছোটবেলায় হয়ত সবারই ইচ্ছা হয় বড় হয়ে পাইলট হবার৷ আকাশে একটা আস্ত বিমান চালিয়ে নিয়ে যাওয়া রোমাঞ্চকরই মনে হয়৷ কিন্তু সমস্যা হলো, আকাশে বিমান দুর্ঘটনা হলে বাঁচার সম্ভাবনা শূন্যই বলা যায়৷ আর পাইলটদের ক্ষেত্রে নিজের কোনো ভুলের কারণে দুর্ঘটনা হলে নিজ জীবনের পাশাপাশি চলে যেতে পারে শত শত যাত্রীর জীবনও৷
-
কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ পেশার কথা
দমকলকর্মী
আগুন লাগা মানেই সেখানে ছুটে যেতে হয় দমকলকর্মীদের৷ কিন্তু আগুনের হাত থেকে মানুষকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ যেতে পারে নিজেরও৷
-
কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ পেশার কথা
পুলিশ
জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশকে প্রায়ই সন্ত্রাসীদের পেছনে ছুটতে হয়৷ তাদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে লিপ্ত হতে হয়৷ ফলে মৃত্যুর সম্ভাবনাতো থেকেই যায়৷ এছাড়া দ্রুতগতিতে গাড়ি চালিয়ে সন্ত্রাসী কিংবা মাস্তানদের ধাওয়া করতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটলে – অবাক হওয়ার কিছু নেই৷
-
কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ পেশার কথা
গভীর সমুদ্রে মাছ ধরা
প্রাকৃতিক দুর্যোগ তো আর বলে কয়ে আসে না৷ তাই গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার সময় কখন যে সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই৷ অবশ্য আধুনিক প্রযুক্তির কল্যাণে এখন আগে থেকেই অনেক কিছু জানা সম্ভব৷ তবে এরপরও ঝুঁকি তো থেকেই যায়৷
-
কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ পেশার কথা
বাড়ির ছাদ ঠিক করা
বাংলাদেশে টিনের বাড়ি দেখতে যেমন হয় জার্মানির অনেক বাড়িও সেরকম৷ শুধু পার্থক্য হচ্ছে, টিনের পরিবর্তে জার্মানিতে ‘টাইলস’ বসানো হয়৷ আর সেই কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনাও ঘটে৷ তাই এই কাজ শুরুর আগে একটা জীবন বিমা করাটা অতি আবশ্যক৷
-
কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ পেশার কথা
গাছ কাটা
জার্মানিতে গাছ কাটতে যে যন্ত্রটি ব্যবহার করা হয়, সেটা যদি কোনোভাবে শরীরের সংস্পর্শে চলে আসে তাহলেই শেষ! ঘটতে পারে বড় কোনো দুর্ঘটনা৷ আর যে গাছ কাটা হচ্ছে সেটা কোনদিকে হেলে পড়তে পারে সেটা বুঝতে অনেকসময় ভুল হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়৷
লেখক: গুডরুন হাইসে/জেডএইচ
সম্পাদক পরিষদ মনে করে, ‘‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩২ ধারায় ডিজিটাল গুপ্তচরবৃত্তি প্রসঙ্গে অপরাধের ধরন ও শাস্তির যে বিধান রাখা হয়েছে, তা গণতন্ত্রের মৌলিক চেতনা এবং বাকস্বাধীনতায় আঘাত করবে৷ একই সঙ্গে তা স্বাধীন সাংবাদিকতাকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলার মতো পরিবেশ সৃষ্টি করবে৷ প্রস্তাবিত এ আইনে কেউ কোনো সরকারি সংস্থার গোপনীয় তথ্য কম্পিউটার, ডিজিটাল যন্ত্র ও ইলেকট্রনিক মাধ্যমে ধারণ করলে তা কম্পিউটার বা ডিজিটাল গুপ্তচরবৃত্তি বলে সাব্যস্ত করে কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে৷'' সম্পাদক পরিষদ আরো মনে করে, ‘‘প্রস্তাবিত এ আইন আরও কঠোর৷ এটি মুক্ত সাংবাদিকতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার পরিসরকেও সংকুচিত করবে৷'' তাই তাড়াহুড়ো না করে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি চূড়ান্ত করার দাবি জানায় সম্পাদক পরিষদ৷
আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা বনাম ডিজিটাল আইনের ৩২ ধারা
আইসিটি আইনের ৫৭ ধারায় বলা হয়েছে–
(১ উপ-ধারা): ‘‘কোনো ব্যক্তি যদি ওয়েবসাইটে বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন, যাহা মিথ্যা ও অশ্লীল বা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেহ পড়িলে, দেখিলে বা শুনিলে নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হইতে উদ্বুদ্ধ হইতে পারেন অথবা যাহার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করিতে পারে বা এ ধরনের তথ্যাদি কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে প্রদান করা হয়, তাহা হইলে তাহার এই কার্য হইবে একটি অপরাধ৷''
(২): ‘‘কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১)-এর অধীন অপরাধ করিলে তিনি অনধিক চৌদ্দ বছর এবং ন্যূনতম সাত বৎসর কারাদণ্ডে এবং অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷''
৫৭ ধারায় মানহানি, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করাসহ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর মতো বিষয়গুলো সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা নাই৷ তাই এর অপপ্রয়োগের সুযোগ ছিল এবং অপপ্রয়োগ হয়েছে৷ বিশেষ করে প্রভাবশালীরা এই আইনটি সাংবাদিকদের হয়রানিতে ব্যাপকভাবে ব্যাহার করেছেন৷ সাধারণ মানুষও কম হয়রানির শিকার হননি৷
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, ডিজিটাল আইনের ৩২ ধারা আরো অনেক কঠোর৷ এই আইন কার্যকর হলে সাংবাদিকরা যেসব বাধার মুখে পড়তে পারেন তা হলো:
১. সরকারি, আধা সরকারি, ,স্বায়ত্তশাসিত বা সংবিধিবদ্ধ কোনও সংস্থায় গিয়ে সাংবাদিকরা ঘুষ-দুর্নীতির অনুসন্ধান করতে পারবেন না৷
২. ঘুস-দুর্নীতির কোনও দালিলিক প্রমাণ সংগ্রহ করতে পারবেন না৷
৩. এসব অবৈধ কাজের কোনও ভিডিও বা অডিও করতে পারবেন না৷
৪. কোনও ডকুমেন্ট, ভিডিও, অডিও সংগ্রহ বা ধারণ করলেও তা প্রকাশ করতে পারবেন না৷
যদি সাংবাদিকরা বৈধ অনুমতি না নিয়ে এসব করেন, তাহলে তারা ডিজিটাল গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে দায়ী হতে পারেন৷ সাধারণ মানুষও আর ঘুস দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ করতে পারবেন না৷ তাঁরা ঘুস দিতে বাধ্য হলেও, তার কোনো প্রমাণ বা ডকুমেন্ট প্রকাশ করলে এই আইনের শিকার হতে পারেন৷
প্রথম আলোর সিনিয়র রিপোর্টার রোজিনা ইসলাম মনে করেন এতে শুধু সাংবাদিকরা নন, সাংবাদিকদের যাঁরা তথ্য দেন তাঁরাও বিপাকে পড়বেন৷ অনুসন্ধানী সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘শুধু অনুসন্ধানী নয়, প্রতিবেদন তৈরি করতেও সাংবাদিকরা তো সহজে তথ্য পায় না৷ তাকে কোনো-না-কোনোভাবে সোর্সের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করতে হয়৷ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের একটি গোপন তথ্য পুলিশ সদর দপ্তর বা পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়েও পাওয়া যেতে পারে৷ এখন সেই খবর প্রকাশের পর যদি আমাকে সোর্স প্রকাশ করতে হয়, তাহলে আমি তো আর তথ্য পাবো না৷ সাংবাদিকতা কঠিন হয়ে যাবে৷''
তিনি আরো বলেন, ‘‘আর কোনা সঠিক এবং তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন করতে হলে আমাকে তো নানা কৌশলে সঠিক তথ্য নিতেই হবে৷ আর তা করতে গিয়ে যদি আমাকে মামলা ও শাস্তির মুখে পড়তে হয়, তাহলে সাংবাদিকতা তো অনেক কঠিন হয়ে পড়বে৷ যিনি তথ্য দেবেন, তাকেও তো আইনে ধরা হবে৷ তাহলে কেউ তো আর তথ্য দিতে আগ্রহী হবেন না৷''
-
সেরা ১১ অনুসন্ধানী প্রতিবেদন
২০০৬ সাল
যুক্তরাষ্ট্রের পত্রিকা ‘ওয়াশিংটন পোস্টে’-র সাংবাদিক সুজান স্মিড, জেমস ভি গ্রিমাল্ডি এবং আর. জেফরি স্মিথ সে বছর পেয়েছিলেন এই পুরস্কার৷ সংস্কারের নামে মার্কিন কংগ্রেসে ওয়াশিংটন লবিস্ট জ্যাক আব্রামোফের দুর্নীতির বিষয়ে প্রতিবেদন করেছিলেন তারা৷
-
সেরা ১১ অনুসন্ধানী প্রতিবেদন
২০০৭ সাল
‘দ্য বার্মিংহ্যাম নিউজ’-এর ব্রেট ব্ল্যাকলেজ পেয়েছিলেন এই পুরস্কার৷ একটি প্রতিবেদনের মাধ্যমে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরের দুর্নীতির তথ্য ফাঁস করে দেন তিনি৷ যার ফলে ঐ চ্যান্সেলরকে বরখাস্ত করা হয়েছিল এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল৷
-
সেরা ১১ অনুসন্ধানী প্রতিবেদন
২০০৮ সাল
এ বছর দু’টি পত্রিকা এ পুরস্কার পায়৷ ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’ পত্রিকার ওয়াল্ট বোগদানিচ এবং জেক হুকার পেয়েছিলেন এ পুরস্কার৷ চীন থেকে আমদানিকৃত ওষুধ ও নিত্য ব্যবহার্য দ্রব্যে বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থের উপস্থিতি সংক্রান্ত অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করেছিলেন তারা৷ এছাড়া ‘শিকাগো ট্রিবিউন’-এর এক প্রতিনিধি জিতেছিলেন এই পুরস্কার৷
-
সেরা ১১ অনুসন্ধানী প্রতিবেদন
২০০৯ সাল
‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’-এর ডেভিড বার্সতো পেয়েছিলেন এ পুরস্কার৷ কিছু অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা রেডিও ও টেলিভিশনে বিশ্লেষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে পেন্টাগনের সমর্থনে ইরাক যুদ্ধকে প্রভাবিত করছে৷ তাদের এসব বক্তব্যের কারণে কত কোম্পানি সুবিধাভোগ করছে তাও তুলে ধরা হয় প্রতিবেদনে৷
-
সেরা ১১ অনুসন্ধানী প্রতিবেদন
২০১০ সাল
‘দ্য ফিলাডেলফিয়া ডেইলি নিউজ’-এর বারবারা ল্যাকার ও ওয়েনডি রুডারম্যান এবং ‘নিউইয়র্ক টাইম ম্যাগাজিন’-এর প্র-পাবলিকার শেরি ফিঙ্ক যৌথভাবে এ পুরস্কার জিতেছিলেন৷ একটি অসৎ পুলিশ দলের মাদক চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ার ঘটনাটি উদঘাটন করেন ল্যাকার ও রুডারম্যান৷ ঘটনাটি নিয়ে ব্যাপক হৈ চৈ হয়েছিল৷ ফিঙ্ক ঘূর্ণিঝড় ক্যাটরিনা আঘাত হানার পর রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে চিকিৎসকদের মানসিক অবস্থা নিয়ে একটি প্রতিবেদন করেছিলেন৷
-
সেরা ১১ অনুসন্ধানী প্রতিবেদন
২০১১ সাল
‘সারাসোতা হেরাল্ড ট্রিবিউন’-এর পেইজি সেন্ট জন সে বছর পুলিৎজার পেয়েছিলেন৷ ফ্লোরিডার বাড়ি মালিকদের সম্পদের ইনস্যুরেন্সে দুর্বলতা সংক্রান্ত একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তাঁকে এ পুরস্কার এনে দিয়েছিল৷
-
সেরা ১১ অনুসন্ধানী প্রতিবেদন
২০১২ সাল
‘অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস’-এর ম্যাট অ্যাপুৎসো, অ্যাডাম গোল্ডম্যান, এইলিন সুলিভান এবং ক্রিস হাওলি সে বছর এই পুরস্কার জিতেছিলেন৷ নিউ ইয়র্ক পুলিশ বিভাগের ‘ক্ল্যানডেস্টাইন গুপ্তচর কর্মসূচি’র আওতায় শহরের মুসলিম সম্প্রদায়ের দৈনন্দিন জীবন যাপনের প্রতি নজর রাখা হচ্ছিল, যা প্রকাশ পায় এপি-র ঐ প্রতিবেদনে৷ প্রতিবেদন প্রকাশের পর কংগ্রেস থেকে কেন্দ্রীয় তদন্ত দাবি করা হয়৷
-
সেরা ১১ অনুসন্ধানী প্রতিবেদন
২০১৩ সাল
‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’ এর ডেভিড বার্সতো এবং আলেহান্দ্রা ইয়ানিক ফন বেরত্রাব এই বছর পুরস্কারটি পান৷ মেক্সিকোতে নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে কীভাবে ওয়াল-মার্ট ঘুষ দেয়, সেটা নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করেছিলেন তারা৷
-
সেরা ১১ অনুসন্ধানী প্রতিবেদন
২০১৪ সাল
ওয়াশিংটর ডিসির ‘দ্য সেন্টার ফর পাবলিক ইনটিগ্রিটি’-র ক্রিস হামবি জেতেন এই পুরস্কার৷ কয়লা খনির শ্রমিকদের ফুসফুসের রোগ নিয়ে কয়েকজন আইনজীবী ও চিকিৎসকের প্রতারণার চিত্র তুলে ধরেছিলেন তার প্রতিবেদনে৷ যার ফলে ঐ আইনজীবী ও চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল৷
-
সেরা ১১ অনুসন্ধানী প্রতিবেদন
২০১৫ সাল
এ বছর দুইজন জিতেছেন এই পুরস্কার৷ ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’-এর এরিক লিপটন কংগ্রেস নেতা ও অ্যাটর্নি জেনারেলদের লবিস্টরা তাদের কতটা প্রভাবিত করে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনের জন্য এবং ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’-এর এক প্রতিনিধির স্বাস্থ্য সেবা সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনের জন্য৷
-
সেরা ১১ অনুসন্ধানী প্রতিবেদন
২০১৬ সাল
চলতি বছরে ‘ট্যাম্পা বে টাইমস’-এর লিওনোরা লাপিটার ও অ্যান্থনি কর্মিয়ার এবং ‘দ্য সারাসোতা হেরাল্ড ট্রিবিউন’-এর মাইকেল ব্রাগা জিতেছেন এই পুরস্কার৷ ফ্লোরিডা মানসিক হাসপাতালের অবহেলার অমানবিক চিত্র ফুটে উঠেছিল তাদের প্রতিবেদনে৷
লেখক: অমৃতা পারভেজ
৩২ ধারা ছাড়াও তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারার বিষয়গুলো নতুন ডিজিটাল আইনের খসড়ার ১৯ ধারায় প্রায় একইভাবে রাখা হয়েছে৷ তাতে বলা হয়েছে–
(১) কোনো ব্যক্তি যদি ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেক্ট্রনিক বিন্যাসে দণ্ডবিধি ( ১৮৬০ সালের ৪৫ নম্বর আইন)-এর ৪৯৯ ধারা মতে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মানহানি ঘটায়, তাহা হইবে একটি অপরাধ৷
(২) কোনো ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইটে বা অন্য কোনও ইলেক্ট্রনিক বিন্যাসে এমন কোনও কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন, যাহা মিথ্যা বা অশ্লীল এবং যাহা মানুষের মনকে বিকৃত ও দূষিত করে, মর্যাদাহানি ঘটায় বা সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে, তাহা হইলে ইহা হইবে একটি অপরাধ৷
(৩) কোনও ব্যক্তি যদি স্বেচ্ছায় কোনও ব্যক্তির ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানিবার অভিপ্রায়ে ওয়েবসাইটে বা অন্য কোনও ইলেক্ট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্পচার করেন, যাহা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেহ পাঠ করিলে বা দেখিলে বা শুনিলে তাহার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করিতে পারে, তাহা হইলে ইহা হইবে একটি অপরাধ৷
তাই বলা চলে নতুন ডিজিটাল আইন তথ্য প্রযুক্তি আইনের চেয়ে আরো কঠোর৷ ডিজিটাল আইনে ৫৭ ধারার বিষয়গুলো তো রাখা হয়েছেই, তার ওপর ৩২ ধারা দিয়ে আরো কন্ঠরোধের পাকা ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ অনুসন্ধানকে আইনে ‘ডিজিটাল গুপ্তচরবৃত্তি' বানানো হয়েছে৷
আইনজ্ঞরা যা মনে করেন:
মন্ত্রিসভা ২৯ জানুয়ারি এই আইনটির অনুমোদন দেয়৷ সেদিন মানবাধিকারকর্মী এবং আইনজীবী ব্যরিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘আইনটির প্রাথমিক খসড়া তৈরির সঙ্গে আমিও যুক্ত ছিলাম৷ কিন্তু আমরা যে প্রস্তাব করেছিলাম তার সঙ্গে মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেয়া আইনের অনেক পার্থক্য৷'' তিনি বলেন, ‘‘এ পর্যন্ত যা জানা গেছে তাতে নতুন ডিজিটাল আইনে বিতর্কিত তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা নতুন আইনের ১৮ এবং ১৯ ধারায় ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে৷ শুধু তাই নয়, ৩২ ধরায় যে বিধান রাখা হয়েছে তাতে বাংলাদেশে সাংবাদিকতার ক্ষেত্র এবং স্বাধীনতা আরো সংকুচিত হবে৷''
তিনি বলেন, ‘‘বিনা অনুমতিতে অফিসে ঢুকে কেউ যদি তথ্য নেয়, সেজন্য অন্য আইন আছে৷ কেউ যদি রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বা ফাইল পাচার করে রাষ্ট্রের ক্ষতি করে, তার জন্য অফিসিয়িাল সিক্রেটস অ্যাক্ট আছে৷ কিন্তু নতুন আইনে আবার তা ঢোকানো হয়েছে৷ কোনো সাংবাদিক স্টিং অপারেশন কেন চালায়৷ ঘুস-দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ করতে৷ এই আইনের ফলে তা আর পারা যাবে না৷ অন্যদিকে সাধারণ মানুষ যদি কোনো সরকারি বা আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ঘুস দিতে বাধ্য হয়, আর তা যদি সে তার মোবাইল ক্যামেরায় ধারণ করে আনে, তা প্রকাশ করতে পারবে না৷ ঘুস খেলেও তার তথ্য প্রকাশ করা যাবে না৷ তাহলে পরিস্থিতি কী দাড়াবে? এটা সুশাসনের পথে বাধা৷ আর সাংবাদিকতা সত্যিই অসুবিধার মুখে পড়বে৷''
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘৩২ ধারায় যেসব অপরাধ, বিশেষ করে গুপ্তচরবৃত্তির বিষয়টি আনা হয়েছে৷ কিন্তু বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে এই অপরাধের আওতা এবং শাস্তির বিধান আছে৷ তাই ডিজিটাল আইনে এটি নিয়ে আসা উদ্দেশ্যপ্রনোদিত৷ এতে দেশের মানুষ হয়রানির শিকার হবে৷ তাদের বাকস্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা সংকুচিত হবে৷ এই আইনটি কোনো ভালো উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে বলে আমার মনে হয় না৷''
তিনি আরো বলেন, ‘‘এই আইনটি সবচেয়ে চাপের মুখে ফেলবে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতাকে৷ সাংবাদিকরা অনেক দুর্নীতি-অনিয়মের অনুসন্ধান করেন গোপনে এবং অগোচরে৷ অনুমতি নিয়ে তো আর দুর্নীতি-অনিয়মের অনুসন্ধান হয় না৷ ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারিসহ বিশ্বের অনেক দুর্নীতি-অনিয়মের অনুসন্ধান সাংবাদিকরা গোপনেই করেছেন৷ তাই বাংলাদেশে এই আইনটি স্বাধীন সাংবাদিকতাকে যেমন বাধাগ্রস্ত করবে, তেমনি দুর্নীতি-অনিয়কে উৎসাহিত করবে৷'' আইনটি পাশের আগে তাই সরকারকে আরো ভালোভাবে তলিয়ে দেখার অনুরোধ জানান আইনের এই অধ্যাপক৷
প্রস্তবিত ডিজিটাল আইনের ৩২ ধারা নিয়ে এরইমধ্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সংবাদ মাধ্যমে একাধিবার কথা বলেছেন৷ তিনি দাবি করেছেন, ‘‘দুর্নীতি-অনিয়মের তথ্য প্রকাশে এই আইন কোনো বাধা হবে না৷ সাংবাদিকদের স্বাধীন সাংবাদিকতার ব্যাপারেও বাধা হবে না৷'' তবে তিনি এ-ও বলেছেন, এই আইনে কোনো সাংবাদিক মামলা বা হয়রানির মুখে পড়লে তাদের মামলা তিনি বিনা খরচে লড়বেন৷ কিন্তু আইনটি সংশোধন না করে একই অবস্থায় রাখার ব্যাপারে এখনো অবিচল রয়েছে সরকার৷
-
বাংলাদেশের গণমাধ্যম আইন এখনো পড়ে আছে ব্রিটিশ আমলে
ছাপাখানা প্রকাশনা (ঘোষণা ও নিবন্ধীকরণ) আইন ১৯৭৩
ব্রিটিশ আমলে ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করতে বেশ কিছু আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল, যার কয়েকটি কিছুটা সংশোধিত আকারে আজও রয়ে গেছে৷ যেমন: ছাপাখানা প্রকাশনা (ঘোষণা ও নিবন্ধীকরণ) আইন ১৯৭৩৷ এ আইন অনুযায়ী, যে কোনো সংবাদপত্র প্রকাশের আগে জেলার ডেপুটি কমিশনারের লিখিত অনুমোদন লাগবে৷ এটি ১৮২৩ সালে ভারতের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত গর্ভনর জেনারেল জন অ্যাডামের অধ্যাদেশ৷
-
বাংলাদেশের গণমাধ্যম আইন এখনো পড়ে আছে ব্রিটিশ আমলে
দণ্ডবিধি ১৮৬০
১৮৬০ সালের দণ্ডবিধি ‘১২৪ ক’ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যদি সরকারের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে, তার তিন বছরের কারাদণ্ড বা জরিমানার বিধান রয়েছে৷ এটি একেবারেই মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতার লঙ্ঘন৷ একই আইনের ‘৫০৫ খ’ অনুচ্ছেদে বলা হয়, কোনো প্রতিবেদন বা বিবৃতি যদি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যায়, তাহলে তাকে ৭ বছর কারাভোগ করতে হবে৷ একইভাবে মানহানির জন্য ৪৯৯ এবং ৫০১ অনুচ্ছেদে শাস্তির বিধান রয়েছে৷
-
বাংলাদেশের গণমাধ্যম আইন এখনো পড়ে আছে ব্রিটিশ আমলে
বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪
বাংলাদেশের অবাধ তথ্যের প্রবাহের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হল অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট ১৯২৩ এবং বিশেষ ক্ষমতা আইন বা স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট ১৯৭৪৷ প্রথমটিতে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা যেতে পারে এমন কোনো বিষয় কাউকে দেয়ার ক্ষেত্রে সরকারি কর্মকর্তাদের উপর বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে৷ দ্বিতীয় আইনে রাষ্ট্রের চোখে অনিষ্টকর কোনো তথ্য গণমাধ্যমে কেউ প্রকাশ করলে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে৷
-
বাংলাদেশের গণমাধ্যম আইন এখনো পড়ে আছে ব্রিটিশ আমলে
সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদ
বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৯ (১) অনুচ্ছেদে ‘চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা’র কথা বলা হয়েছে৷ অথচ ৩৯(২)-এ এই স্বাধীনতা আইনের দ্বারা আরোপিত ‘যুক্তিসঙ্গত বাধা-নিষেধ সাপেক্ষেই’ নিশ্চিত হবে বলা হয়েছে৷ রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, বিদেশি রাষ্ট্রসমূহের সহিত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, জনশৃংখলা, শালীনতা বা নৈতিকতার স্বার্থে অথবা আদালত অবমাননা, মানহানি বা অপরাধ সংঘটনে প্ররোচনা সম্পর্কে এই বাধা-নিষেধের কথা বলা হয়েছে৷
-
বাংলাদেশের গণমাধ্যম আইন এখনো পড়ে আছে ব্রিটিশ আমলে
তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা
২০১৩ সালের সংশোধিত আইনে কোনো ব্যক্তি যদি ইন্টারনেটে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন, যার দ্বারা কারো মানহানি ঘটে, কিংবা আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করতে পারে, বা এ ধরনের তথ্য কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে দেয়া হয়, তাহলে এটি অপরাধ এবং সেই অপরাধে ৭ থেকে ১৪ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে৷
-
বাংলাদেশের গণমাধ্যম আইন এখনো পড়ে আছে ব্রিটিশ আমলে
ডিজিটাল আইনের ৩২ ধারা
এ আইনে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি বেআইনিভাবে প্রবেশের মাধ্যমে কোনো সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বা বিধিবদ্ধ কোনো সংস্থার অতিগোপনীয় বা গোপনীয় তথ্য-উপাত্ত কম্পিউটার, ডিজিটাল যন্ত্র, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, ডিজিটাল নেটওয়ার্ক বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক মাধ্যমে ধারণ, প্রেরণ বা সংরক্ষণ করেন বা করতে সহায়তা করেন, তাহলে সেই কাজ হবে কম্পিউটার বা ডিজিটাল গুপ্তচরবৃত্তির অপরাধ৷
-
বাংলাদেশের গণমাধ্যম আইন এখনো পড়ে আছে ব্রিটিশ আমলে
৩২ ধারায় শাস্তি
এই অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ১৪ বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড হবে৷ কেউ যদি এই অপরাধ দ্বিতীয়বার বা বারবার করেন, তাহলে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড ভোগ করতে হবে৷
-
বাংলাদেশের গণমাধ্যম আইন এখনো পড়ে আছে ব্রিটিশ আমলে
তথ্য অধিকার আইন ২০০৯
এই আইনটি বাক স্বাধীনতার পক্ষে৷ বলা হয়েছে, ‘‘এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে প্রত্যেক নাগরিকের তথ্য লাভের অধিকার থাকিবে এবং কোন নাগরিকের অনুরোধের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাহাকে তথ্য সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবে৷’’ আরো বলা হয়েছে, ‘‘তথ্য প্রদানে বাধা সংক্রান্ত বিধানাবলী এই আইনের বিধানাবলীর সহিত সাংঘর্ষিক হইলে, এই আইনের বিধানাবলী প্রাধান্য পাইবে৷’’
লেখক: অমৃতা পারভেজ
এই আইন নিয়ে আপনার মতামত লিখুন নিচের মন্তব্যের ঘরে৷