1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ডিউটি ফ্রি-তে কড়াকড়ির প্রস্তাব

২০ জানুয়ারি ২০২০

ভারতীয় বিমানবন্দরে ডিউটি ফ্রি বা শুল্কমুক্ত কেনাকাটার মজা কমতে চলেছে৷ বাণিজ্য মন্ত্রকের প্রস্তাব, এখন যে পরিমাণ কেনাকাটা ডিউটি ফ্রি দোকান থেকে করতে পারেন আন্তর্জাতিক বিমানযাত্রীরা, তা অনেক ক্ষেত্রে অর্ধেক করে দেওয়া হোক৷

https://p.dw.com/p/3WSIb
ছবি: picture-alliance/dpa

সাকুল্যে একটা মদের বোতল, অল্প কিছু সিগারেট কেনা যেতে পারে৷ এমনকী পারফিউম, চকোলেট ইত্যাদি কেনার পরিমাণও কম করে দেওয়া হতে পারে৷ এক কথায় ভারতীয় বিমানবন্দরে ডিউটি ফ্রি শপিং এর মজাটা অদূর ভবিষ্যতে কম হয়ে যেতে পারে৷ ভারতে এখন ডিউটি ফ্রি দোকান থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জিনিস কিনতে পারেন যাত্রীরা৷ তার পরিমাণ কমাতে চেয়ে প্রস্তাব দিয়েছে বানিজ্যমন্ত্রক৷ শুল্ক-ক্ষতি কম করতে চেয়ে এই ধরনের কড়াকড়ির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে৷ অর্থমন্ত্রকের সিলমোহর পড়লেই তা কার্যকর হবে৷

ভারতের বেসরকারি এয়ারপোর্ট অপারেটররা অবশ্য এর আগেই দাবি করেছে, ডিউটি ফ্রি থেকে মদকেনার পরিমাণ দ্বিগুণ করা হোক অর্থাৎ যাত্রীপিছু চার বোতল মদ কেনার অনুমতি দেওয়া হোক৷ কারণ, সিঙ্গাপুর, দুবাই এর মতো বিমানবন্দরে সেটাই হয়৷ যাত্রীরা সেখান থেকে জিনিস কিনে আনেন ফলে ভারতীয় ডিউটি ফ্রি শপ মার খায়৷ বিমানবন্দরগুলিরও আর্থিক ক্ষতি হয়৷

এমনিতে বিশ্ব জুড়েই ডিউটি ফ্রিতে সিগারেট কেনার ওপর কড়াকড়ি করা হয়৷ সেটা মূলত ক্ষতিকর তামাক ব্যবহার কম করার জন্য৷ সিঙ্গাপুরে কোনও তামকজাত জিনিস ডিউটি ফ্রিতে পাওয়া যায় না৷ অস্ট্রেলিয়াতে ২৫টা, নিউজিল্যান্ডে ৫০টা সিগারেট কেনা যায়৷ মদের বোতল চীনে দেড় লিটার ও কোরিয়ায় ১ লিটার কেনা যায়৷

হঠাৎ এই ধরনের প্রস্তাব কেন দিল বানিজ্য মন্ত্রক? নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের বিজনেস এডিটর জয়ন্ত রায়চৌধুরী ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ''বলা যেতে পারে, এটা গিমিক৷ এতে শুল্ক যে খুব বেশি বাড়বে এমন নয়৷ ভারত মূলত আমদানি করে পেট্রো পদার্থ, সোনার মতো নির্দিষ্ট কিছু জিনিস৷ সেই জায়গায় ডিউটি ফ্রিতে কড়াকড়ি করে একটা নাটকীয় বার্তা দেওয়ার চেষ্টা থাকতে পারে৷ বিত্তবানদের জন্য সুবিধা সরকার কম করে দিতে চাইছে৷''

জিএইচ/এসজি(পিটিআই/টিওআই)