ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ভারতে কে কী বললেন?
দ্বিতীয়বারের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর বন্ধু ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানাতে দেরি করেননি নরেন্দ্র মোদী।
কী বলেছেন মোদী
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, ''এই ঐতিহাসিক জয়ের জন্য বন্ধু ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। ভারত-মার্কিন সম্পর্ক আরো শক্তিশালী করার দিকে তাকিয়ে আছি। আপনি যখন আগেরবার প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখন দুই দেশের যে সফল সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল, দুজনে মিলে তাকে আরো শক্তিশালী করতে চাই।'' মোদী বলেছেন, ''আসুন, একসঙ্গে আমরা দুই দেশের মানুষের উন্নতিতে কাজ করি এবং বিশ্বের শান্তি, স্থায়িত্ব ও সমৃদ্ধির জন্য কাজ করি।''
কংগ্রেসের প্রতিক্রিয়া
ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেও এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে বলেছেন, ''কংগ্রেসের তরফ থেকে আমি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তার জয়ের জন্য অভিনন্দন জানাচ্ছি। ভারত ও অ্যামেরিকার মধ্যে একটা সর্বাত্মক ও শক্তিশালী কৌশলগত সম্পর্ক আছে। দুই দেশই দীর্ঘদিন ধরে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে মর্যাদা দেয়। দুই দেশের মানুষের সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ঠ। আমরা বিশ্বের শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য আপনার সঙ্গে কাজ করতে চাই।''
শশী থারুর যা বললেন
কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর বলেছেন, ''ট্রাম্প আগেও চার বছর প্রেসিডেন্ট ছিলেন। আমরা তাকে জানি। তিনি কীরকম রাজনীতি করেন তাও জানি। কী করতে পারেন সেটাও জানি। তিনি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিদেশি সংস্থার উপর মাসুল বসানোর কথা বলেছেন। এটা করলে ভারতীয় সংস্থাগুলির অসুবিধা হবে। ভিসার কড়াকড়ি করলে ভারতীয়রা বিপাকে পড়বেন। ট্রাম্পের চীন নীতি অনেক কড়া। ভারত এক্ষেত্রে ভালো অবস্থায় থাকবে।''
পরিবেশ চুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত জয়রাম
সাবেক পরিবেশমন্ত্রী এবং কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশ বলেছেন, ''ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকার সময় ২০১৫-র প্যারিসের জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত চুক্তি থেকে অ্যামেরিকা বেরিয়ে গিয়েছিল। বাইডেন রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর অ্যামেরিকা আবার তাতে যোগ দেয়। আবার যদি তারা এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে য়ায়, তাহলে তা বিপর্যয়কর হবে।''
বাজার নিয়ে চিন্তা
প্যাসিফিক প্যারাডাইমের পরামর্শদাতা পুনিত সিনহা ইকনমিক টাইমসকে বলেছেন, ''ট্রাম্পের জয়ে শেয়ার বাজর উঠবে। কিন্তু দীর্ঘকালীন ভিত্তিতে তা স্থায়ী হবে না। কারণ, ট্রাম্পের বাণিজ্য মাসুল নীতি, চীনের মোকাবিলা করার নীতির ফলে ভূরাজনীতিতে ব্যাপক বদল হতে পারে। সে বিষয়ে স্পষ্টতা আসার আগে বাজারে ওঠাপড়া থাকবে।'' ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর শেয়ার বাজার ৯০১ পয়েন্ট বেড়েছে।
প্রধান আর্থিক পরামর্শদাতা কী মনে করেন?
ভারতের প্রধান আর্থিক পরামর্শদাতা অনন্ত নাগেশ্বরন মনে করেন, ''নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে ধারাবাহিকতা থাকা দরকার। তার মধ্যে সামান্য কিছু বদল হওয়াটা স্বাভাবিক। কোনো প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব নিলে সেটা হয়।'' তিনি মনে করেন, ''ভারত-মার্কিন আর্থিক সহযোগিতা বাড়বে।''
সাবেক রাষ্ট্রদূতের মতে
অ্যামেরিকায় সাবেক ভারতীয় রাষ্ট্রদূত মীরা শঙ্কর এএনআইকে বলেছেন, ''ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত সম্পর্ক বৃদ্ধি পাবে। কারণ, ভারত ও অ্যামেরিকা দুই দেশেরই ইন্দো-প্যাসিফিকে অভিন্ন স্বার্থ আছে। এই একটি বিষয় নিয়ে ট্রাম্প ও বাইডেন দুজনেই একমত। দুজনেই মনে করেন, চীনই একমাত্র অ্যামেরিকাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে। তাই ভারতের সঙ্গে অ্যামেরিকার সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায়।''