1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইতিহাস গড়লো সৌরবিমান

ফাহমিম ফেরদৌস২৬ জুলাই ২০১৬

শুধুমাত্র সৌরশক্তিতে ভর করে গোটা পৃথিবী প্রদক্ষিণ শেষ করেছে সৌরবিমান সোলার ইম্পাল্স৷ মঙ্গলবার আবুধাবিতে অবতরণ করার মাধ্যমে বিমানটি সৃষ্টি করেছে মহাজগতের এক বিরল ইতিহাস৷

https://p.dw.com/p/1JVzm
আবুধাবিতে সোলার ইম্পাল্স ২
ছবি: AFP/Getty Images/V. Hache

কোনো ধরনের জ্বালানি ছাড়া, শুধুমাত্র সৌরশক্তির ওপর নির্ভর করে পুরো পৃথিবী ঘুরে এলো সুইস বিমান ‘সোলার ইম্পাল্স ২’ ৷ প্রাকৃতিক, কারিগরিসহ নানারকম চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে সাড়ে ষোল মাসের অভিযান শেষে ৪২,০০০ কিলোমিটার আকাশপথ পাড়ি দিয়ে সর্বশেষ উড্ডয়নস্থল কায়রো থেকে আবুধাবি বিমানবন্দরে বিমানটি অবতরণ করান সুইস চালক বার্ট্রান্ড পিকার্ড৷ গত বছরের ৯ই মার্চ এই আবুধাবি থেকেই বিশ্বভ্রমণ শুরু হয়েছিল সোলার ইম্পাল্স ২-এর, যা শেষ হয় ২৬শে জুলাই৷



এই বিশাল যাত্রাপথে বিমানটি উড়াল দিয়েছে মোট ১৭ বার৷ ৪ ঘণ্টা ৪১ মিনিটের ছোট ফ্লাইট থেকে শুরু করে ১১৭ ঘণ্টা ৫২ মিনিটের দীর্ঘ, ক্লান্তিকর যাত্রাও রয়েছে সেই পথে৷ দু’জন প্রতিষ্ঠাতা, প্রকৌশলী-ব্যবসায়ী আন্দ্রে বোর্শবার্গ ও মনোবিশেষজ্ঞ এবং বেলুনচালক বার্ট্রান্ড পিকার্ড মিলে চালিয়েছেন বিমানটি৷ পিকার্ড এর আগে ১৯৯৯ সালে ‘ব্রেইটলিং অরবিটার ৩’ নামে একটি বেলুনে করে একটানা বিশ্বভ্ৰমন করার রেকর্ডও গড়েছিলেন৷

‘ক্লিন এনার্জি’ বা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর নয় এমন শক্তির উৎসকে জনপ্রিয় করতে এই পরীক্ষামূলক প্রকল্পের সূচনা হয় ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে, ‘সোলার ইম্পাল্স ১’ বিমানের প্রথম উড্ডয়নের মধ্যে দিয়ে৷ তারপর অনেক সাফল্য ব্যর্থতার গল্প পেরিয়ে ‘সোলার ইম্পাল্স ২’-এর জন্ম হয় ২০১৪ সালে৷ বেশ কিছু আন্তর্জাতিক ও দূরপাল্লার যাত্রার পর ২০১৫ সালের ৯ মার্চ আবুধাবি থেকে এটি বিশ্ব প্রদক্ষিণে বের হয়, সেই বছরের আগস্ট মাসের মধ্যে তা সম্পন্ন করার প্রত্যয় নিয়ে৷ তবে ২৮শে জুন জাপানের নাগোয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই পর্যন্ত প্রায় ১১৮ ঘণ্টার এক ফ্লাইটে ৭,২১২ কিলোমিটার অতিক্রম করতে গিয়ে বিমানটির ব্যাটারিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং নতুন করে অর্ডার করতে হয়৷ অবশ্য সেই ফ্লাইটটি জ্বালানিবিহীন যে কোনো বিমানের দীর্ঘতম (সময় ও দূরত্ব – দুই হিসেবেই) উড্ডয়নের রেকর্ড সৃষ্টি করে৷

এরপর ভৌগোলিক ও কারিগরি কারণে ‘সোলার ইম্পাল্স ২’-কে হাওয়াইতেই থাকতে হয় ২০১৬ সালের এপ্রিল পর্যন্ত৷ উত্তর গোলার্ধের দিন ছোট হয়ে আসতে থাকার কারণে বিমানটি সেই বছর আর যাত্রায় ফেরেনি৷ তাই ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে পরীক্ষামূলক ফ্লাইটের মাধ্যমে বিমানটিকে প্রস্তুত করে নেয়া হয় এবং অবশেষে ২৮শে এপ্রিল বিমানটি তার বিশ্বপ্রদক্ষিণ পুনরায় শুরু করে৷

জানা যায়, এই বিমানটির ককপিট (চালকের কক্ষ) একটি পাবলিক টেলিফোন বক্সের সমান৷ এতে চালককে অধিক উচ্চতায় থাকার সময় অক্সিজেন মাস্ক পরতে হয়৷ এছাড়া চালক এক নাগাড়ে ২০ মিনিটের বেশি ঘুমানোর সময়ও পান না৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য