'জুলেখা' স্ট্যালিন ক্যাম্পে ভালোবাসার গল্প
১৯ জানুয়ারি ২০১৯ইতোমধ্যে বইটি রাশিয়ায় বেস্ট সেলার হয়েছে৷ ২০টি ভাষায় অনুদিত হয়েছে এই বই৷ এই ফেব্রুয়ারিতেই বিশ্বখ্যাত ওয়ানওয়ার্ল্ড প্রকাশনী এই বইটির ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশ করতে যাচ্ছে৷ বইটি এর মধ্যে পেন অ্যাওয়ার্ড, রাশিয়ার বিগ বুক সম্মাননাসহ বেশ কয়েকটি সম্মাননা পেয়েছে৷ রাশিয়ান বুকার প্রাইজের সংক্ষিপ্ত তালিকায়ও ঠাঁই করে নিয়েছে গিজেলের 'জুলেখা'৷
গিজেল জানান, এই বইয়ের গল্প তাঁর দাদীর৷ তাঁর দাদী ছেলেবেলায় সোভিয়েত ইউনিয়নের অধিবাসী ছিলেন৷ সেই সময় তাঁদের বাড়িতে সোভিয়েত এজেন্টরা হামলা করে৷ পরে পুরো পরিবারকে সার্বিয়াতে নির্বাসিত করে৷
গিজেলের এই বইয়ে শুধু স্ট্যালিন শাসনামলের নির্মমতা, দুর্ভিক্ষ ফুটে ওঠেনি, বরং সেসময়কার মানুষের পারস্পারিক ভালোবাসা ও বন্ধুতের গল্পও প্রকাশিত হয়েছে৷ স্ট্যালিনের ক্যাম্পে কিভাবে মৃ্ত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে একে অপরকে ভালোবেসেছেন, সেই গল্পটাই বলতে চেয়েছেন বলে জানান গিজেল৷
সাহিত্যবোদ্ধারা মনে করছেন, ১৯৭০ সালে আলেকজান্ডার সোলজেনিস্তান স্ট্যালিনের নির্মমতার ইতিহাসকে উপন্যাসের পাতায় ধরে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন, রাশিয়ান সাহিত্যে সেই ধারা ফিরিয়ে আনছে ‘জুলেখা'৷ এমনিতে রাশিয়ার মানুষ কমিউনিস্ট শাসনামলের ভয়ঙ্কর নির্মমতাকে স্বীকার করে না৷ বরং স্ট্যালিনের ভাবমূর্তি বেশ ইতিবাচক করেই তুলে ধরে৷ কিন্তু জুলেখা একদমই ভিন্ন৷
ইয়াখিনা বলেন, স্ট্যালিন শাসনের শুরুতে রাশিয়া ভীষণ ট্রমা বা ভীতির মধ্য দিয়ে গিয়েছে, সেটি এক উপন্যাসের মধ্যে শেষ করে দেওয়া সম্ভব নয়৷ এটি অনেক সময়সাপেক্ষ বিষয় বলে মনে করেন তিনি৷
জুলেখা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি একটি ৩০ বছর বয়সি মুসলমান নারীর জীবন কাহিনি৷ ১৯৩০ সালে তাতারদের গ্রামে বাস করতেন সেই নারী৷ তাঁর একজন অত্যাচারী স্বামী ও শাশুড়ি ছিল৷ তাদের প্রতিদিনকার অত্যাচার ও তাতার গ্রামেই সীমাবদ্ধ ছিল তাঁর জীবন৷ স্বামী মুর্তোজা খুব সামান্য কারণে মারধর করতো তাঁকে৷
এই বইতে তাতারদের নানা ঐতিহ্যের পাশাপাশি মুসলমান ও পেগান ধর্মের নানা বিশ্বাস ও আচারও উঠে এসেছে সমানভাবে৷ লিসা হেইডেন বইটি ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন৷
এফএ/এসিবি (এপি)
বন্ধু, আপনি কি 'জুলেখা' উপন্যাসটি পড়তে চান? পড়ার পর কেমন লাগলো আমাদের জানাতে ভুলবেন না কিন্তু!